দেশে একদিনে ২৭৪২ ডেঙ্গু রোগী ভর্তি, ৬২% ঢাকার বাইরের

রাজধানীতে তরুণ চিকিৎসকের মৃত্যু

| বুধবার , ৯ আগস্ট, ২০২৩ at ৫:৩৫ পূর্বাহ্ণ

সারাদেশে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে আরও ২৭৪০ জন রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন; এক দিনে মৃত্যু হয়েছে আরও ১৩ জনের। নতুন রোগীদের মধ্যে ১৭৪০ জন, অর্থাৎ ৬২ দশমিক ৭৩ শতাংশই ঢাকার বাইরের। ঢাকার বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ১১১৯ জন। সব মিলিয়ে এ বছর হাসপাতালে ভর্তি হওয়া ডেঙ্গু রোগীর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৭২ হাজার ২২৫ জনে। তাদের মধ্যে ৩৪০ জনের মৃত্যু হয়েছে মশাবাহিত এ রোগে। খবর বিডিনিউজের।

আগস্টের প্রথম ৮ দিনেই ২০ হাজার ৩৯৩ জন ডেঙ্গু নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। এই সময়ে ৮৯ জনের মৃত্যু হয়েছে, অর্থাৎ প্রতিদিন ১০ জনের বেশি মানুষের মৃত্যুর খবর আসছে ডেঙ্গুতে। বাংলাদেশে এর আগে কেবল ২০১৯ সালের এর চেয়ে বেশি রোগী ভর্তি হয়েছিল। আর মৃত্যুর সংখ্যা ৩০০ ছাড়িয়েছে এবারই প্রথম। ভর্তি রোগী ও মৃত্যুর এই সংখ্যা সামনে আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের।

মঙ্গলবার সারাদেশের বিভিন্ন হাসপাতালে ৯ হাজার ৪৬৩ জন রোগী ভর্তি আছেন। তাদের মধ্যে ঢাকায় ৪ হাজার ৪৮২ জন এবং ঢাকার বাইরের বিভিন্ন জেলায় ৪ হাজার ৯৮১ জন। এ বছর ডেঙ্গুর প্রকোপ শুরু হয়েছিল বর্ষা মৌসুমের আগেই। ভরা বর্ষায় জুলাই মাসে তা ভয়ঙ্কর রূপ নেয়।

তরুণ চিকিৎসকের মৃত্যু : ঢাকায় ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হয়ে এক চিকিৎসকের মৃত্যু হয়েছে, তিনি ঢাকা মেডিকেলে চিকিৎসাধীন ছিলেন। স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানিয়েছে, সোমবার রাত সোয়া ১টার দিকে ডা. আলমিনা দেওয়ান মিশু মারা যান। ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে লাইফ সাপোর্টে ছিলেন তিনি।

চিকিৎসক মিশু ঢাকার মাতুয়াইলে বাংলাদেশ শিশু ও মাতৃ স্বাস্থ্য ইনস্টিটিউটের গাইনি বিভাগে আবাসিক শিক্ষার্থী হিসেবে কর্মরত ছিলেন। তিনি ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজের ৪৬ ব্যাচের শিক্ষার্থী। বাংলাদেশ শিশু ও মাতৃস্বাস্থ্য ইনস্টিটিউটের নির্বাহী পরিচালক অধ্যাপক ডা. এম এ মান্নান বলেন, মিশু আমাদের নিয়মিত কর্মকর্তা নন, আমাদের এখানে এমএস কোর্সের শিক্ষার্থী ছিলেন। আসছে জানুয়ারিতে তার চূড়ান্ত পরীক্ষা দেওয়ার কথা ছিল। জুনের পর থেকে বিএসএমএমইউতে পড়ালেখা করছিলেন তিনি, সেখানে তার প্লেসমেন্ট ছিল। গত ২৪ জুলাই তার জ্বর আসে। ডেঙ্গু ধরা পড়লে প্রথমে বাসাতেই চিকিৎসা নিচ্ছিলেন। অবস্থা খারাপ হলে তাকে এভারকেয়ার হাসপাতালে নেওয়া হয়। তিনচারদিন আগে এভার কেয়ার থেকে তার পরিবারকে জানানো হয় তিনি অলরেডি ব্রেইন ডেড। পরিবার চাচ্ছিল চিকিৎসা চালিয়ে যেতে, সেজন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজে আনা হয়। রাতে সেখানেই মারা যান। ডা. মিশুর বাড়ি নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জ উপজেলার কাঞ্চন এলাকায়। তার ছোট একটি মেয়ে রয়েছে।

পূর্ববর্তী নিবন্ধপ্রাথমিকে বৃত্তি পরীক্ষা থাকছে না
পরবর্তী নিবন্ধশ্রীমাই খালে নির্মাণাধীন রেল সেতুর রেলিংয়ে ধস