সারাদেশে ৩৪ লাখেরও বেশি পথশিশু বাবা–মায়ের যত্ন ছাড়াই জীবনযাপন করছে বলে এক গবেষণায় উঠে এসেছে। সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয় ও ইউনিসেফ বাংলাদেশের যৌথ উদ্যোগে ‘চাইল্ড সেনসিটিভ সোশ্যাল প্রোটেকশন ইন বাংলাদেশ ফেইজ–২’ প্রকল্পের অধীনে গবেষণাটি পরিচালিত হয়। প্রকল্প বাস্তবায়নে সহযোগিতা করছে ইউরোপীয় ইউনিয়ন ও সুইডিস ইন্টারন্যাশনাল ডেভলপমেন্ট এজেন্সি। গতকাল সোমবার বিকালে বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির জাতীয় চিত্রশালায় এ গবেষণাপত্রের মোড়ক উন্মোচন করেন সমাজকল্যাণমন্ত্রী দীপু মনি। খবর বিডিনিউজের।‘বাংলাদেশে পথশিশুদের পরিস্থিতি–২০২৪’ শীর্ষক এ গবেষণা প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, চরম দারিদ্র্য, পারিবারিক অস্থিরতা এবং শারীরিক বা মানসিক নির্যাতনের পটভূমি থেকে বেড়ে ওঠা শুরু হয় পথশিশুদের। অর্থনৈতিক চাপ প্রায়ই এসব শিশুকে শ্রমে বাধ্য করে, তাদের শিক্ষার সুযোগ কমিয়ে দেয় এবং দারিদ্র্যের একটি চক্রকে স্থায়ী করে। পিতামাতার অবহেলা, অপব্যবহার এবং পরিত্যাগসহ পারিবারিক কর্মহীনতা সরাসরি তাদের রাস্তায় বেরিয়ে আসতে প্রভাবিত করে। গবেষণাপত্রে বলা হয়, পথশিশুরা বেঁচে থাকার জন্য বিভিন্ন কৌশল অবলম্বন করে, যার মধ্যে রয়েছে জনগণের সহানুভূতি চাওয়া, অনানুষ্ঠানিক শ্রমে জড়িত হওয়া এবং কিছু ক্ষেত্রে অবৈধ কার্যকলাপের অবলম্বন করে।
অনুষ্ঠানে দীপু মনি বলেন, গবেষণায় বলা হয়েছে ৩৪ লাখের মতো শিশু সারাদেশে পথশিশু হিসেবে রয়েছে। এই শিশুরা সমাজের অংশ। তাদের জীবনের নিরাপত্তা থেকে শুরু করে সব মৌলিক অধিকার রয়েছে। তারা এসব অধিকার থেকে বঞ্চিত হবে, এটা কাম্য নয়।












