আওয়ামী লীগ সরকারের ১৫ বছরে ব্যাংকিং খাতে ‘চরম অব্যবস্থাপনা, লাগামহীন দুর্নীতি ও অর্থ পাচারে’ দেশের অর্থনীতি ‘ফোকলা’ হয়ে গেছে বলে অভিযোগ করেছেন মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। গতকাল শুক্রবার সকালে এক সংবাদ সম্মেলনে ১৫ বছরের ‘অর্থনীতির অবস্থা’ তুলে ধরে বিএনপি মহাসচিব এই অভিযোগ করেন। তিনি বলেন, প্রকৃতপক্ষে পুরো সম্পদকে তারা লুট করে নিয়ে চলে গেছে। সেই সম্পদকে বিদেশে নিয়েছে। মির্জা ফখরুলের দাবি, নতুন বিনিয়োগ না হওয়ায় নতুন কর্মসংস্থান সৃষ্টি হয়নি। ফলে যারা দরিদ্র, তারা দরিদ্রই থেকে যাচ্ছে। আয় বৈষম্য দিনে দিনে বাড়ছে।
এমন একটা জায়গায় গিয়ে দাঁড়িয়েছে যে, এখন একটা পয়েন্ট অব নো রিটার্নে গিয়ে দাড়িয়েছে। যার ফলে সিপিডি বলছে, এখানে দুইটা সোসাইটি তৈরি হয়ে গেছে। একটা হচ্ছে খুবই বড়লোক শ্রেণি, যারা বিদেশে যায়, পোশাক–আশাক, দামী গাড়ি বিএমডব্লিউ, মার্সিডিজ এগুলো চড়ছে। খবর বিডিনিউজের।
অন্যদিকে এই গুলশানেই দেখবেন সিগন্যাল পয়েন্টগুলোতে ভিক্ষার হাত বাড়িয়ে দিচ্ছে অসংখ্য মানুষ, তারা তাদের প্রতিদিনের খাবার সংগ্রহ করতে পারে না। এটাই বাস্তবতা।
ফখরুল বলেন, দেশে আইনের শাসন ও সার্বিক শৃঙ্খলার অন্যতম প্রধান শর্ত হচ্ছে জবাবদিহিতা। যেহেতু বর্তমান ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের জনগণের কাছে কোনো জবাবদিহিতা নেই, তাদের হাতে আমাদের এই দেশের অর্থনীতি, রাজনীতি, সংস্কৃতি, বিচার ব্যবস্থা কোনো কিছুই নিরাপদ নয়। দেশবাসীর উদ্দেশে বিএনপি মহাসচিব বলেন, আসুন, বাংলাদেশে একটি সত্যিকার জবাবদিহিমূলক গণতান্ত্রিক সরকার প্রতিষ্ঠা করার লক্ষ্যে চলমান গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের যুদ্ধে অংশগ্রহণ করি এবং দুঃসহ আওয়ামী ফ্যাসিস্ট সরকারের অবসান ঘটিয়ে একটি নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ ও অংশগ্রহণমূলক গ্রহণযোগ্য নির্বাচন অনুষ্ঠান নিশ্চিত করি, তাহলেই ভবিষ্যতে গণতান্ত্রিক ও জবাবদিহিতামূলক সরকার ব্যাংকিং সেক্টর তথা সামগ্রিক অর্থনীতিকে চরম বিপর্যয় থেকে উদ্ধার করে টেকসই উন্নয়ন ও আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা করতে সক্ষম হব।