তথ্যমন্ত্রী হাছান মাহমুদ বলেছেন, ধর্ষকরা দুষ্কৃতকারী, তাদের অন্য কোনো পরিচয় থাকতে পারে না; এদের দমনে সরকার বদ্ধপরিকর। সচিবালয়ে গতকাল সোমবার এক অনুষ্ঠানে সাংবাদিকদের প্রশ্নে মন্ত্রী বলেন, যারা এ ধরনের অপকর্মে (ধর্ষণ) সঙ্গে যুক্ত, যারা এগুলো করছে, তারা হচ্ছে দুষ্কৃতকারী, তাদের অন্য কোনো পরিচয় থাকতে পারে না। ইতিপূর্বে এ ধরনের যেসব ঘটনা ঘটেছে তার অনেকগুলোর দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি হয়েছে এবং অনেক শাস্তি কার্যকর করা হয়েছে মন্তব্য করে তিনি বলেন, এ ধরনের ঘটনা যে আগে ঘটেনি, তা নয়। আগে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের তেমন ব্যাপকতা ছিল না। তখন অনেক ঘটনাই আড়ালে থেকেছে, এখন বেশিরভাগ ঘটনা আড়ালে থাকে না, প্রকাশ্যে আসে। এ বিষয়টি ভালো। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে যারা সোচ্চার, বিষয়গুলো তুলে ধরছেন তাদের ধন্যবাদ জানাই। সরকারের পক্ষ থেকে প্রশাসনের পক্ষ থেকে এ ধরনের অপকর্ম যারা ঘটাচ্ছে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া সহজতর হচ্ছে। খবর বাংলানিউজের।
আওয়ামী লীগ নেতা হাছান বলেন, এ ধরনের দুষ্কৃতকারী, তারা যে পরিচয়ই ব্যবহার করার চেষ্টা করুক না কেন, তাদেরকে কঠোর হস্তে দমন করার জন্য সরকার বদ্ধপরিকর। এগুলো নিয়ে রাজনীতি করার কোনো অবকাশ নেই, এ ধরনের অপকর্ম নিয়ে রাজনৈতিক রূপ দেওয়ার জন্য বিএনপির পক্ষ থেকে অপচেষ্টা চালানো হয়। ২০০১ সালে বিএনপি জাতীয় নির্বাচনে জেতার পর সংখ্যালঘুদের ওপর যে হামলা-নির্যাতন হয়েছিল, সে ঘটনাগুলো মনে করিয়ে দেন তথ্যমন্ত্রী। তিনি বলেন, বিএনপি তো দলীয়ভাবে আশ্রয়-প্রশ্রয় দিয়ে বাংলাদেশে নারী ধর্ষণ করেছে। ২০০১ সালের পর আট বছরের শিশুকে ধর্ষণ করা হয়েছে, অন্তঃসত্ত্বা মহিলাকে ধর্ষণ করা হয়েছে, পুরো গ্রাম অবরুদ্ধ করে নৌকায় ভোট দেওয়ার অপরাধে সেখানকার মহিলাদের ধর্ষণ করা হয়েছে। সেই দুঃসহ স্মৃতি এখনও অনেকে বয়ে বেড়াচ্ছে। যারা এসব অপকর্মের সাথে দলীয়ভাবে যুক্ত ছিল তাদের এগুলো নিয়ে কথা বলার নৈতিক অধিকার কতটুকু আছে সেটাই বড় প্রশ্ন।
এক প্রশ্নের উত্তরে তথ্যমন্ত্রী বলেন, মানুষের জবাবদিহিতার জায়গা আগের থেকে বেড়েছে। কারণ আগে এ ধরনের ঘটনা অনেক ঘটত, সেগুলো প্রকাশ্যে আসত না। এখন বেশিরভাগ ঘটনা প্রকাশ্যে আসে, এতে করে সরকার ও প্রশাসনের পক্ষে ব্যবস্থা নেওয়া সহজ হচ্ছে।