দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ায় ইলিশ ধরা বিঘ্নিত

অল্প মাছ নিয়ে ঘাটে ফিরেছে ট্রলার

কক্সবাজার প্রতিনিধি | বুধবার , ২ আগস্ট, ২০২৩ at ৬:০৩ পূর্বাহ্ণ

বঙ্গোপসাগরে মাছ ধরার উপর টানা ৬৫ দিনের নিষেধাজ্ঞা গত ২৩ জুলাই শেষ হলেও দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ার কারণে গভীর সাগরে পুরোদমে ইলিশ ধরা শুরু করা যায়নি। নিষেধাজ্ঞা অতিবাহিত হওয়ার পর ইলিশ ধরার জন্য ট্রলারগুলো সাগরে রওয়ানা দিলেও দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ার কারণে অল্প মাছ নিয়েই ফিরে আসতে বাধ্য হয়।

গত ২৪ জুলাই সাগরে মাছ ধরা শুরু হওয়ার পরদিন ২৫ জুলাই থেকে সাগরের আবহাওয়া দুর্যোগপূর্ণ হয়ে ওঠে। ফলে মাছ না ধরেই ঘাটে ফিরে আসে জেলেরা। কিন্তু সেই দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়া কেটে যাওয়ায় গত রোববার থেকে ট্রলারগুলো ফের সাগরে রওয়ানা দিলেও পরদিন সোমবার বিকেলে আবহাওয়া দপ্তর ৩ নম্বর সতর্কতা সংকেত জারি করে। এরপর সাগরের অবস্থা দুর্যোগপূর্ণ হয়ে ওঠলে মঙ্গলবার ট্রলারগুলো মাছ না ধরেই ফের ঘাটে ফিরে আসে বলে জানান কক্সবাজার জেলা ফিশিং বোট মালিক সমিতির সাংগঠনিক সম্পাদক মাস্টার মোস্তাক আহমদ।

তিনি বলেন, বঙ্গোপসাগরে মাছ ধরার উপর টানা ৬৫ দিনের নিষেধাজ্ঞা গত ২৩ জুলাই মধ্যরাতে শেষ হলেও এখনও গভীর সাগরে ইলিশ ধরা শুরু করা যায়নি। নিষেধাজ্ঞা অতিবাহিত হওয়ার পর ইলিশ ধরার জন্য ট্রলারগুলো সাগরে রওয়ানা দিলেও দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ার কারণে বার বার মাছ না ধরেই ফিরে আসতে বাধ্য হচ্ছে। সর্বশেষ গত রোববার ও সোমবার রওয়ানা দেয়া ট্রলারগুলো মাছ না ধরেই মঙ্গলবার ঘাটে ফিরে এসেছে।

কক্সবাজার শহরের প্রধান মৎস্য অবতরণকেন্দ্র ফিশারিঘাট, কস্তুরাঘাট, কলাতলী ও দরিয়ানগর ঘাট থেকেই শহরের অধিকাংশ ট্রলার সাগরে আসাযাওয়া করে। বাকি ট্রলারগুলো জেলার অন্যান্য উপকূল থেকে সাগরে যাতায়াত করে। দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ার কারণে এসকল ঘাটের ট্রলার নোঙর করে রাখা হয়েছে। দরিয়ানগর বোট মালিক সমিতির সভাপতি নজির আলম বলেন, কলাতলী ও দরিয়ানগর ঘাটের ছোটবোটগুলো গত ২৩ জুলাই মধ্যরাতে নিষেধাজ্ঞা অতিবাহিত হওয়ার পরই মাছ ধরতে সাগরে যাচ্ছে। তবে দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ার কারণে গত কয়েকদিন মাছ ধরা বন্ধ থাকার পর রোববার বিকেল থেকে সোমবার বিকাল পর্যন্ত মাছ ধরে। কিন্তু মঙ্গলবার আবহাওয়া দুর্যোগপূর্ণ থাকায় সাগরে মাছ ধরা সম্ভব হয়নি।

কঙবাজার ও শহরতলী ছাড়াও উখিয়ার ইনানী, পাটুয়ারটেক, রেজু ঘাটঘর, মনখালী ও টেকনাফের শাপলাপুর ঘাটের বোটগুলোও রোববার বিকেল থেকে সোমবার বিকেল পর্যন্ত সাগরে ফের মাছ ধরলেও মঙ্গলবার সকাল থেকে ট্রলারগুলো সৈকতে তুলে রাখা হয়েছে বলে জানান শামলাপুর হাইস্কুলের প্রধান শিক্ষক ও বাজার কমিটির সভাপতি মাস্টার এমএ মনজুর।

কঙবাজার শহরের প্রধান মৎস্য অবতরণ কেন্দ্র ফিশারিঘাটস্থ মৎস্য ব্যবসায়ী সমিতির পরিচালক জুলফিকার আলী বলেন, নিষেধাজ্ঞার কারণে গত দুই মাসাধিককাল ধরে নির্জীব থাকা জেলার প্রধান মৎস্য অবতরণকেন্দ্র ফিশারিঘাটসহ জেলার অন্যান্য জেলেপল্লীগুলোতে আবারও প্রাণচাঞ্চল্য ফিরে এলেও দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ার কারণে সাগরে মাছ ধরা বন্ধ থাকায় এখনও ইলিশের দেখা পায়নি কঙবাজারের জেলেরা।

পূর্ববর্তী নিবন্ধপরিচালক পদে সম্মিলিত ব্যবসায়ী পরিষদের ১৫, ঐক্য পরিষদের ৮জন নির্বাচিত
পরবর্তী নিবন্ধঅক্টোবরে আসবে মার্কিন প্রাক-নির্বাচনী পর্যবেক্ষক দল