‘দুর্নীতিগ্রস্ত ব্যক্তিকে মহাপরিচালক করে পটিয়া মাদরাসার ঐতিহ্যকে ভুলণ্ঠিত করা হয়েছে’

আজাদী অনলাইন | বৃহস্পতিবার , ২৮ মার্চ, ২০২৪ at ৪:১৭ অপরাহ্ণ

মানুষের মধ্যে বিরোধ থাকতেই পারে। কিন্তু শিক্ষকরা হলেন মানুষ গড়ার কারিগর, সভ্যতার নির্মাতা এবং শান্তি-শৃঙ্খলা-শিষ্টাচার ও নিয়মানুবর্তিতার ক্ষেত্রে শিক্ষার্থীদের জন্য আদর্শ। শিক্ষক বা কর্তৃপক্ষের মাঝে মতবিরোধের সৃষ্টি হলে অত্যন্ত ধৈর্যের সাথে, শান্তি-শৃঙ্খলা বজায় রেখে, যথাযথ নিয়মে, অহিংস পদ্ধতিতে ও আলাপ আলোচনার মাধ্যমে এর সমাধান হওয়া উচিত ছিল বলে মন্তব্য করেছেন পটিয়া মাদ্রাসার প্রাক্তন ছাত্র মাওলানা মোঃ আমিনুল হক

আজ বৃহস্পতিবার চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবের এস রহমান মিলনায়তনে পটিয়া মাদরাসা ঐতিহ্য সংরক্ষণ পরিষদের আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন মাওলানা মোঃ আমিনুল হক।

লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, গত ২০২৩ সালের ২৮ অক্টোবর দিবাগত রাতে ঐতিহ্যবাহী জামিয়া ইসলামিয়া পটিয়ায় সন্ত্রাবসীরা ভয়াবহ হামলা, ব্যাপক ভাঙ্চুর ও জিম্মি করে মাদরাসার মহাপরিচালক আল্লামা ওয়াইদুল্লাহ হামযাহকে জোরপূর্বক পদত্যাগপত্রে স্বাক্ষর করিয়ে নিয়ে পরশ্রীকাতর শিক্ষক-কর্মচারী, প্রভাবশালী কায়েমি দুর্ণীতিগ্রস্ত সিন্ডিকেট, মধ্যস্বত্বভোগী দালাল, ভূমিদস্যু, সম্পদ আত্মসাৎকারী, অনৈতিক সুবিধাবাদী, ক্ষমতালোভী ও একদল উগ্রপন্থী পারস্পরিক যোগসাজশে ও ন্যাক্কারজনক হামলার ঘটনা সংঘটিত করেছে।

মাওলানা মোঃ আমিনুল হক বলেন, গত ১৪ ফেব্রুয়ারী মাত্র দুদিনের নোটিশে আমন্ত্রিত শূরার ২৩ সদস্যের মধ্যে ১১ জনই শূরার বহির্ভূত। নিয়মতান্ত্রিক মজলিসে শূরার ১৬ সদস্যের মধ্যে মাত্র ১২ জন আমন্ত্রিত হলেও উপস্থিত হয়েছিলেন মাত্র তিনজন। শূরার বৈধতার জন্য সভাপতির অনুমোদন ও মোট সদস্যের এক-তৃতীয়ংশের উপস্থিতি আবশ্যক। কাজেই এই শূরা অবৈধ এবং এর কোনো সিদ্ধান্ত গ্রহণযোগ্য নয়।

পূর্ববর্তী নিবন্ধলাখ টাকার জালনোটসহ চট্টগ্রামে চক্রের ৩ সদস্য গ্রেফতার
পরবর্তী নিবন্ধনোংরা পরিবেশে ঈদের সেমাই প্রস্তুত, চট্টগ্রামে ৩ প্রতিষ্ঠানকে জরিমানা