দুবাইয়ে বাংলাদেশ কনস্যুলেটে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস পালন

এম এ মান্নান, (আরব আমিরাত) থেকে | বৃহস্পতিবার , ২৫ ফেব্রুয়ারি, ২০২১ at ৫:৫৭ অপরাহ্ণ

স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তীতে প্রবেশ করল বাংলাদেশ। ৫০ বছরের বিভিন্ন চড়াই-উতরাই পেরিয়ে বিগত এক যুগের যে অর্জন তা বাংলাদেশকে পৌঁছে দিয়েছে অনন্য মর্যাদায়। বাংলাদেশের আন্তর্জাতিক বহু অর্জন ও স্বীকৃতির মধ্যে বড় একটি অর্জন হলো ২১ ফেব্রুয়ারি দিনটিকে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস হিসেবে পালন করার স্বীকৃতি অর্জন। ২১ ফেব্রুয়ারি বাঙালির রক্তে অক্ষর কেনার দিন।
সংযুক্ত আরব আমিরাতে বাংলাদেশ দুতাবাস প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল ১৯৮০ সালে। এই সুদীর্ঘ পথ পরিক্রমায় ২১ ফেব্রুয়ারি কয়েকবার প্রথম প্রহরে উদযাপন করার উদ্যোগ নেয়া হয়। পরবর্তীতে বিএনপি সরকারের আমলে পরোপুরি বন্ধ করা হয় উদ্যোগটি।
মুক্তিযোদ্ধার সন্তান হিসেবে দুবাইতে নিযুক্ত ডেপুটি কনসাল জেনারেল মোহাম্মদ সাহেদুল ইসলাম আবার এ উদ্যোগ নেন।
কমিউনিটির স্বতস্ফুর্ত অংশগ্রহণে রাত ১২টা ১ মিনিটে অস্থায়ী শহিদ বেদিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করা হয়।
প্রথমেই কনসাল জেনারেল ইকবাল হোসেনের নেতৃত্বে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন কনস্যুলেটের কর্মকর্তা-কর্মচারীবৃন্দ। তারপর পুষ্পস্তবক অর্পণ করে দুবাই ও শারজাহ জনতা ব্যাংক লি., বাংলাদেশ বিজনেস কাউন্সিল দুবাই, বাংলাদেশ সমিতি দুবাই ও শারজাহ, ইউএই আওয়ামী লীগ, বঙ্গবন্ধু পরিষদ কেন্দ্রীয় কমিটি দুবাই ও শারজাহ, বাংলাদেশ বিজনেস এসোসিয়েশন দুবাই, ইউএই যুবলীগ ও বঙ্গবন্ধু স্মৃতি সংসদ, সামাজিক সংগঠন শেকড়ের খোঁজে, ইয়ুথ বাংলা কালচারাল ফোরাম সহ বিভিন্ন রাজনৈতিক ও সামাজিক সাংস্কৃতিক সংগঠন সমূহ।
সমগ্র অনুষ্ঠানটি পরিচালনা করেন ডেপুটি কনসাল মোহাম্মদ সাহেদুল ইসলাম। তিনি ২১ ফেব্রুয়ারি প্রথম প্রহরে পালনের এই প্রথার বৈপরীত্য আর হবে না এবং কমিউনিটি ব্যক্তিবর্গ এর ধারাবাহিকতা রক্ষায় ভবিষ্যতে সচেতন থাকবেন বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
শেষে এক আলোচনা সভায় বক্তারা আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসের তাৎপর্য তুলে ধরেন।

পূর্ববর্তী নিবন্ধপরীক্ষা স্থগিত করায় আন্দোলনে চবি শিক্ষার্থীরা
পরবর্তী নিবন্ধরাঙামাটিতে ইউপি সদস্যকে হত্যার ঘটনায় ১৮ জনের বিরুদ্ধে মামলা