হেফাজতের লাঠি মিছিল ও ভাঙচুরের ঘটনায় গত দুদিন ধরে উত্তপ্ত পটিয়া। শুক্রবার ঢাকা ও হাটহাজারীতে হেফাজতের সাথে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সংঘর্ষ ও মৃত্যুর ঘটনায় পটিয়ায় শুক্রবার বিকেলে লাঠি মিছিল করে তারা। হেফাজতের লাঠি মিছিলকে কেন্দ্র করে পটিয়ায় রাজনীতির মাঠ হঠাৎ করে উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে। হেফাজতকে প্রতিহত করতে আওয়ামী লীগ, যুবলীগ ও ছাত্রলীগসহ অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীরাও পাল্টা লাঠি মিছিল ও সমাবেশ করেছে। এ সময় শান্তিপূর্ণ অবস্থানের পাশাপাশি আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় পুলিশ সতর্ক অবস্থান নেয়।
গত দুদিনে পটিয়ায় দোকান বন্ধ করে ব্যবসায়ীরা নিরাপদে থাকেন। এ সময় আতংক ছড়িয়ে পড়ে। চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কে প্রায় এক ঘণ্টা যানবাহন চলাচল বন্ধ থাকে।
পটিয়া আল জামিয়া মাদ্রাসা থেকে শুক্রবার লাঠি হাতে কয়েক হাজার ছাত্র চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কে থানা ভবন ও বিভিন্ন স্থানে ইটপাটকেল ছোড়ে। এ সময় থানার গেটের লাইট ও গৌরাঙ্গ বাড়ির দেয়ালের গ্লাস ভেঙে যায়। পরে তারা উপজেলা গেট চত্বরে গিয়ে স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে টাঙানো বিভিন্ন ব্যানার ছিঁড়ে ফেলে। তবে এতে কোনো হতাহতের ঘটনা ঘটেনি। পরে বিকালে পটিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে মৌলাবাদ বিরোধী একটি মিছিল বের করা হয়। মিছিলটি চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়ক প্রদক্ষিণ করে।
গতকাল শনিবার দুপুরে হেফাজত ও যুবলীগের পৃথক মিছিল বের হয়। দুপুরে আল জামেয়া মাদ্রাসা থেকে হেফাজতের উদ্যোগে কয়েক হাজার ছাত্রের একটি লাঠি মিছিল বের করা হয়। মিছিলটি মাদ্রাসা থেকে বের হয়ে পটিয়া চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কের ইন্দ্রপুল গিয়ে পুনরায় মাদ্রাসায় গিয়ে শেষ হয়। তবে এতে অপ্রীতিকর কোনো ঘটনা ঘটেনি। বিকালে উপজেলা যুবলীগের আহ্বায়ক হাসান উল্লাহ চৌধুরী ও যুগ্ম আহ্বায়ক ইমরান উদ্দিন বশির, মাস্টার রিটন নাথের নেতৃত্বে হরতাল ও মৌলবাদ বিরোধী একটি লাঠি মিছিল বের করা হয়। মিছিলটি চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়ক প্রদক্ষিণ করে পটিয়ার থানার মোড়ে গিয়ে একটি সমাবেশে মিছিল হয়। সমাবেশে পটিয়া উপজেলা যুবলীগ নেতৃবৃন্দ বক্তব্য রাখেন। পটিয়া থানার ওসি রেজাউল করিম মজুমদার বলেন, শুক্রবার হেফাজতের ভাঙচুরের ঘটনায় মামলার প্রস্তুতি চলছে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় পুলিশ সতর্ক রয়েছে।