দুদিনে তাপমাত্রা কমেছে ৪ ডিগ্রি

মাসের শেষে আরো কমবে সীতাকুণ্ড ও সন্দ্বীপে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা

আজাদী প্রতিবেদন | শনিবার , ১৪ জানুয়ারি, ২০২৩ at ৫:৪১ পূর্বাহ্ণ

টানা চারদিন দিন তাপমাত্রা বৃদ্ধির পর আবারও শীতের তীব্রতা বেড়েছে নগরে। গত কয়েকদিন শীতের অনুভূতি কম থাকায় কিছুটা স্বস্তিতে ছিলেন নগরবাসী। তবে বুধবার থেকে পাল্টে যায় সেই চিত্র। দ্রুত কমতে থাকে তাপমাত্রা। গতকাল শুক্রবার পর্যন্ত দুই দিনের ব্যবধানে তাপমাত্রা কমে প্রায় ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। সাথে যোগ হয় উত্তর এবং উত্তর পশ্চিম দিক থেকে আসা ঠাণ্ডা বাতাস। শেষ রাতে বাড়ছে কুয়াশার আধিক্যও। তীব্র ঠাণ্ডায় ভাসমান লোকজন ও পথশিশুদের পাশাপাশি দিন মজুর বা খেটে-খাওয়া লোকজনের দুর্ভোগও বৃদ্ধি পাচ্ছে।

আবহাওয়া অফিস জানায়, আগামী কয়েকদিন তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থেকে আরও কমতে পারে। চলতি মাসের শেষ সপ্তাহে বাড়বে শীতের প্রকোপ। গতকাল চট্টগ্রাম জেলায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছে সীতাকুণ্ড এবং সন্দ্বীপ উপজেলায়। এ দুই উপজেলায় রেকর্ডকৃত সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১০ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস।

দুদিনে তাপমাত্রা কমেছে প্রায় চার ডিগ্রি : গত মঙ্গলবার নগরে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১৭ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। গতকাল শুক্রবার ছিল ১৩ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। অর্থাৎ দুইদিন পর তৃতীয় দিনে এসে তাপমাত্রা কমেছে ৩ দশমিক ৯৬ সেলসিয়াস। বৃহস্পতিবার আগের দিনের চেয়ে ১ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস কমে রেকের্ড হয় ১৪ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস। বুধবার আগের দিনের চেয়ে ১ দশমিক ৪২ ডিগ্রি কমে রেকর্ড হয় ১৫ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস।

আবহাওয়া অধিদপ্তরের সহকারী আবহাওয়াবিদ সুমন সাহা দৈনিক আজাদীকে জানান, চট্টগ্রাম ও পার্শ্ববর্তী এলাকায় অস্থায়ীভাবে মেঘলা আকাশসহ আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে। সে সাথে মধ্যরাত থেকে সকাল পর্যন্ত নদী অববাহিকায় মাঝারি থেকে ঘন এবং অন্যত্র হালকা থেকে মাঝারি ধরনের কুয়াশা পড়তে পারে। রাত ও দিনের তাপমাত্রা সামান্য বৃদ্ধি পেতে পারে। উত্তর অথবা উত্তর-পশ্চিম দিক থেকে ঘণ্টায় ৫ থেকে ১০ কিলোমিটার বেগে বাতাস প্রবাহিত হতে পরে।

এক প্রশ্নের জবাবে এ আবহাওয়াবিদ বলেন, দুয়েকদিন তাপমাত্রা অপরিবর্তিত থাকতে পারে। এরপর বুঝা যাবে বাড়বে নাকি কমবে। তবে শেষ সপ্তাহে এসে শীত বাড়তে পারে। ২২ জানুয়ারি থেকে শীত বাড়ার সম্ভাবনা রয়েছে বলেও জানান তিনি। এদিকে শীত বাড়ার সঙ্গে দুর্ভোগ বাড়ার কথা জানিয়েছেন লোকজন। সিআরবি এলাকায় রিকশাচালক ফরিদ আহমদ বলেন, মাঝখানে শীত কমে গিয়েছিল। তখন ভালই ছিলাম। এখন আবার বাড়তে শুরু করেছে। আবার কষ্ট বাড়ছে আমাদের।

পূর্ববর্তী নিবন্ধভিয়েতনামে বাংলাদেশের রপ্তানি ১০০ মিলিয়ন ডলার ছাড়িয়েছে : রাষ্ট্রদূত
পরবর্তী নিবন্ধডিমের দাম ডজনে ১০ টাকা বাড়ল