দুদফা টেন্ডারেও অংশ নেয়নি কেউ চালু করা যাচ্ছে না ফেরি সার্ভিস

তৃতীয় দফা টেন্ডার আহ্বান করা হবে ।। ২০ জুন থেকে কালুরঘাট সেতু সংস্কার কাজ শুরু নিয়ে শঙ্কা

শুকলাল দাশ | বৃহস্পতিবার , ১১ মে, ২০২৩ at ৫:০৮ পূর্বাহ্ণ

পরপর দুই দফা টেন্ডার আহ্বান করার পরও টেন্ডারে কেউ অংশ নেয়ায় চালু করা যাচ্ছে না কালুরঘাট ফেরি সার্ভিস। ফেরির রক্ষণাবেক্ষণসহ ইজারা আদায়ের জন্য এখন তৃতীয় দফা টেন্ডার আহ্বান করতে যাচ্ছে সড়ক ও জনপথ বিভাগ। এদিকে আগামী ২০ জুন থেকে কালুরঘাট সেতু মেরামতের কাজ শুরু করার পরিকল্পনা নিয়েছে রেলওয়ে পূর্বাঞ্চল কর্তৃপক্ষ। জুনে সেতু মেরামতের কাজ শুরু করে ১৫ সেপ্টেম্বরের মধ্যে মেরামত কাজ শেষে কক্সবাজার রুটে ট্রেন চলাচলের উদ্বোধনের কথা জানিয়েছেন রেলপথ মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. মো. হুমায়ুন কবীব। সেতু মেরামতের কাজ শুরু হলে সেতু দিয়ে সকল ধরনের যানবাহন চলাচল বন্ধ হয়ে যাবে। তখন ভারী যানবাহন ছাড়া অন্যান্য সব যানবাহন ফেরি দিয়ে চলাচল করবে।

সড়ক ও জনপথ বিভাগ চট্টগ্রামের নির্বাহী প্রকৌশলী পিন্টু চাকমা বলেন, ফেরির রক্ষণাবেক্ষণসহ ইজারা আদায়ের জন্য আমরা পরপর দুই দফা টেন্ডার আহ্বান করেছি, কিন্তু কেউ অংশ গ্রহণ করেনি। এখন আবার টেন্ডার (তৃতীয় দফা) আহ্বান করা হবে। আগামী রবিসোমবারের দিকে পত্রিকায় দেবো। তিনি বলেন, ফেরি সার্ভিস চালু না হলে তো সেতুর সংস্কার কাজ শুরু করা যাবে না। হয়তো লাভ হবে না মনে করে কেউ অংশ নিচ্ছে না। এরপরও টেন্ডারে যদি কেউ অংশ না নেয় তাহলে আমাদের ডিপার্টমেন্টের মাধ্যমে চালানো হবে।

এদিকে গত ৬ মে চট্টগ্রাম সার্কিট হাউসে রেলপথ মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. মো. হুমায়ুন কবীরের উপস্থিতিতে কালুরঘাট সেতুর সংস্কারকাজ বাস্তবায়ন ও ফেরি চালুর বিষয়ে এক মতবিনিময় সভায় রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলের প্রধান প্রকৌশলী আবু জাফর মিঞা প্রেজেন্টেশনের মাধ্যমে কালুরঘাট সেতুর সংস্কারকাজের জন্য প্রয়োজনীয় তথ্য উপাত্ত উপস্থাপন করেন। এসময় তিনি বলেন, সংস্কার ছাড়া কালুরঘাট সেতু দিয়ে কঙবাজার পর্যন্ত ভারি ইঞ্জিনের ট্রেন নেওয়া সম্ভব নয়। ইতোমধ্যে বুয়েটের পরামর্শক দল কালুরঘাট সেতু সংস্কার করে ট্রেন চলাচলের পরামর্শ দিয়েছেন। তাই বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) পরামর্শক দলের পরামর্শে সেতু সংস্কার করার উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। সংস্কার কাজের জন্য ইতিমধ্যে ঠিকাদার নিয়োগে দরপত্র আহ্বান করা হয়েছে।

২০ জুন সংস্কার কাজ শুরুর পরিকল্পনা রয়েছে। সেপ্টেম্বরে মূল সংস্কারকাজ শেষ করা হবে। এবারের সংস্কারকাজে রেলসেতুতে মানুষের হেঁটে পার হওয়ার জন্য ওয়াকওয়ে (হাঁটাপথ) রাখা হবে। বর্তমানে এই সেতুতে ট্রেনের গতিবেগ ১০ কিলোমিটার। সংস্কারের পর ৫০৬০ কিলোমিটার বেগে ট্রেন চলাচল করা যাবে।

৬ মে চট্টগ্রাম সার্কিট হাউসের মতবিনিময় সভায় বোয়ালখালী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ মামুন বলেছিলেন, সংস্কারের জন্য কালুরঘাট সেতু বন্ধ হয়ে গেলে দুটি ফেরি দিয়ে যানজট হয়ে যেতে পারে। এই সেতু দিয়ে প্রচুর যানবাহন চলাচল করে। তাই চারটি ফেরি চালু হলে যানজট কমবে বলে আমি মনে করি। একই দাবি করেছিলেন পৌরসভার চেয়ারম্যান জহুরুল ইসলামও। তিনি দুটির পরিবর্তে চারটি ফেরি চালুর পরামর্শ দেন। সরেজমিনে গতকাল বুধবার কালুরঘাট সেতু এলাকায় গিয়ে দেখা গেছে, উভয় পাশে ফেরি চলাচলের জন্য এপ্রোচ সড়কের কাজ শেষ হয়েছে অনেক আগে। নদীতে অবস্থান করছে তিনটি ফেরি। দুটি ফেরি দুই পাশে থেকে গাড়িসহ মানুষ পারাপার করবে। একটি ফেরি রিজার্ভ থাকবে বলে জানা গেছে।

পূর্ববর্তী নিবন্ধচবি শিক্ষককে সাবেক শিক্ষার্থীর হুমকি, মূল ফটক অবরোধ
পরবর্তী নিবন্ধকেজিতে চিনির দাম বাড়ল ১৬ টাকা