দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) উপ সহকারী পরিচালক পদ থেকে মো. শরীফ উদ্দিনকে চাকরিচ্যুতি বৈধতা নিয়ে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট। ২০২২ সালে শরীফের করা এক রিটের শুনানি নিয়ে গতকাল মঙ্গলবার বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি কাজী ইবাদত হোসেনের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন। খবর বাংলানিউজের।
রুলে চাকরিচ্যুতির আদেশ কেন বেআইনি হবে না এবং বেতন, সব সুবিধাদিসহ তাকে চাকরিতে পুনর্বহাল করতে কেন নির্দেশ দেওয়া হবে না, তা জানতে চেয়েছেন। আদালতে শরীফের পক্ষে ছিলেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী মো. সালাহ উদ্দীন দোলন ও আইনজীবী মিয়া মোহাম্মদ ইশতিয়াক। দুদকের পক্ষে শুনানি করেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী খুরশীদ আলম খান। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল সাইফুদ্দিন খালেদ।
শরীফকে ২০২২ সালের ১৬ ফেব্রুয়ারি অপসারণ করলে তিনি দুদক কর্মচারী বিধিমালার ৫৪ (২) বিধি ও চাকরিচ্যুতির বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে রিট করেন। পরে একই বছরের ১১ এপ্রিল তা শুনানির জন্য উঠে। কিন্তু তখন পর্যন্ত দুদক থেকে একই বিধিতে অপসারিত মো. আহসান আলীর মামলায় দুদকের রিভিউ আবেদনের নিষ্পত্তি না হওয়ায় শরীফের রিটের শুনানি মুলতবি করে আদেশ দেন হাইকোর্ট। পরে এ মুলতবি আদেশের বিরুদ্ধে ২০২২ সালের ১৬ জুন আপিল বিভাগে লিভ টু আপিল (আপিলের অনুমতি চেয়ে আবেদন) করেন শরীফ।
দুটি আবেদনের শুনানি নিয়ে গত বছরের ১৬ মার্চ আপিল বিভাগ দুদকের করা আপিল মঞ্জুর করে রায় দেন। রায়ে ওই বিধিটি বাতিল করে হাইকোর্টের দেওয়া রায় বাতিল করা হয়। ফলে ৫৪(২) বিধিতে আহসান আলীর চাকরিচ্যুতি বৈধ হয়ে যায়। আর হাইকোর্টের আদেশের বিরুদ্ধে শরীফ উদ্দিনের করা লিভ টু আপিলটি ‘প্রয়োজনের বাড়তি’ বলে উল্লেখ করা হয়। এরপর গত বছরের ২১ ডিসেম্বর আপিল বিভাগের পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশিত হয়। পূর্ণাঙ্গ রায়ে দুর্নীতি দমন কমিশন (কর্মচারী) চাকরি বিধিমালার ৫৪(২) বিধিটি সর্বোচ্চ সতর্কতার সঙ্গে প্রয়োগ করতে বলা হয়। আর বিধিটি প্রয়োগের ক্ষেত্রে দুদককে ১২ দফা পর্যবেক্ষণ বা গাইডলাইন অনুসরণ করতে বলা হয়। আপিল বিভাগের পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশের পর হাইকোর্টে মুলতবি থাকা শরীফের রিট ফের শুনানির জন্য উপস্থাপন করা হয়।