চট্টগ্রাম বন্দরের কন্টেনার জট নিরসনে নিয়মিত নিলাম আয়োজন করে আসছিল কাস্টমস কর্তৃপক্ষ। গত দুই বছর ধরে প্রত্যেক মাসে অন্তত দুটি করে নিলাম অনুষ্ঠিত হতো। তবে গত দুই মাসে হয়নি একটিও।
চট্টগ্রাম কাস্টমস কর্তৃপক্ষ সর্বশেষ নিলাম আয়োজন করেছে গত ৩০ অক্টোবর। নিলাম ব্যবসায়ীরা বলছেন, গত দুই মাস ধরে নিলাম না হওয়ার কারণে বন্দরের জট বেড়ে যাচ্ছে। এছাড়া যারা নিয়মিত বিডার তারা ব্যবসায়িক দিক থেকেও ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। অন্যদিকে কাস্টমস কর্মকর্তারা বলছেন, নিলাম অনুষ্ঠিত না হলেও এই সময়ে কাস্টমসের ধ্বংস কার্যক্রম চালু ছিল। ফলে দুই মাস ধরে নিলামে স্থবিরতা দেখা দিয়েছে। জানতে চাইলে চট্টগ্রাম
কাস্টমস নিলাম ব্যবসায়ী কল্যাণ সমিতির সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ ইয়াকুব চৌধুরী বলেন, গত দুই মাস ধরে নিলাম বন্ধ। তাই আমরা যারা নিয়মিত নিলাম কার্যক্রমে অংশ নিই, আমরা আর্থিক সম্মুখীন হচ্ছি। কারণ এখানে ৩০–৪০ বছর ধরে বিড করে এমন ব্যবসায়ীও আছে। নিলাম শাখার কর্মকর্তারা আমাদের এ ব্যাপারে কোনো সুদুত্তর দেননি। এ বিষয়ে জানতে চাইলে চট্টগ্রাম কাস্টমসের নিলাম শাখার উপ–কমিশনার অনুপম চাকমা বলেন, আমরা এতদিন পুরাতন গোলা থেকে ধ্বংসযোগ্য পণ্য সরিয়ে ধ্বংস কার্যক্রম নিয়ে ব্যস্ত ছিলাম। যার ফলে নিলাম কার্যক্রম বন্ধ ছিল। তবে নিলাম আমাদের একটি চলমান প্রক্রিয়া। খুব শিগগিরই আমরা নিলাম কার্যক্রম শুরু করবো।
উল্লেখ্য, আমদানীকৃত পণ্য জাহাজ থেকে বন্দর ইয়ার্ডে নামার ৩০ দিনের মধ্যে সরবরাহ নিতে হয়। এই সময়ের মধ্যে কোনো আমদানিকারক পণ্য সরবরাহ না নিলে তাকে নোটিশ দেয় কাস্টমস। নোটিশ দেওয়ার ১৫ দিনের মধ্যে এই পণ্য সরবরাহ না নিলে তা নিলামে তুলতে পারে কাস্টমস কর্তৃপক্ষ। এছাড়া মিথ্যা ঘোষণায় জব্দ পণ্যও নিলামে তোলা যায়। সর্বমোট ৪৫ দিনের মধ্যে নিলামে তোলার এই নিয়ম দীর্ঘদিন ধরে কার্যকর করতে পারেনি বন্দর ও কাস্টমস। এতে করে বন্দরের ইয়ার্ডে এসব কন্টেনার পড়ে থাকে। আমদানি পণ্য যথাসময়ে খালাস না নেয়ায় বন্দরগুলোতে প্রায়ই কন্টেনার জট লাগে। দিনের পর দিন কন্টেনার পড়ে থাকলেও বন্দর কর্তৃপক্ষও চার্জ পায় না।