বৈধ পথে দেশে প্রতিদিন আন্তর্জাতিক কল আসে প্রায় দুই কোটি মিনিট। এর মধ্যে ৬০ থেকে ৭০ লাখ মিনিট রাষ্ট্রায়ত্ত টেলিকম প্রতিষ্ঠান বিটিসিএলের ইন্টারন্যাশনাল গেটওয়ে (আইজিডাব্লিউ) দিয়ে। আর বাকিটা আসে বেসরকারি আইজিডাব্লিউ অপারেটর ফোরামের (আইওএফ) মাধ্যমে। অন্যদিকে প্রতিদিন প্রাায় সাড়ে তিন কোটি মিনিট কল আসে অবৈধ ভিওআইপি কারবারিদের হাত ধরে। নগরীর বাকলিয়ার ময়দার মিল এলাকার ইয়ার আলী খান মসজিদের পাশের কাশেম ম্যানশনে এমনই এক চক্রের সন্ধান পেয়েছে র্যাব। একপর্যায়ে গতকাল শুক্রবার সেখানে অভিযান পরিচালনা করে চক্রের মূল হোতা বদরুদ্দোজাকে (৩৬) গ্রেপ্তার করা হয়। এ সময় উদ্ধার করা হয় ভিওআইপি ব্যবসার কাজে ব্যবহৃত বিপুল পরিমাণ সরঞ্জাম। এর মধ্যে রয়েছে অত্যাধুনিক ভিওআইপি ব্যবসার তিনটি মেশিন, চারটি ল্যাপটপ, একটি ট্যাব, আটটি রাউটার, ১৩৫০টি মোবাইল সিম, এক ব্যাগ সিম কার্ডের খালি প্যাকেট, একটি সিসি ক্যামেরা, একটি আইপিএস মেশিন, দুটি কী বোর্ড ও চারটি মাউস, একটি চার্জার ও চারটি মাল্টিপ্লাগ, একটি পেইনড্রাইভ, পাঁচটি মডেম, একটি আইপিএস ব্যাটারী ও চারটি ল্যাপটপের এয়ারকুলার।
গ্রেপ্তারকৃত বদরুদ্দোজা সাতকানিয়ার মধ্যম কাঞ্চনা এলাকার মাওলানা শফিকুর রহমানের ছেলে। গ্রেপ্তার পরবর্তী বদরুদ্দোজা র্যাবকে জানায়, তার আপন ছোটভাই নুরুল হুদা রনিও তার সাথে জড়িত। ২০০৪ সাল থেকে দীর্ঘ আঠারো বছর ধরে তারা দুজন এ ব্যবসা করছেন।
র্যাব সূত্র জানায়, হোয়াটসঅ্যাপ, ফেসবুক, মেসেঞ্জারের মতো উন্নত প্রযুক্তি এখন দেশে ব্যাপকহারে ব্যবহৃত হলেও কমেনি ভিওআইপির মাধ্যমে সাধারণ ফোনে কল আদান-প্রদান। ফলে বিদেশ থেকে টেলিফোন কল আসা ও যাওয়ার পরিমাণ বাড়লেও কাঙ্ক্ষিত রাজস্ব থেকে বঞ্চিত হচ্ছে দেশ। র্যাব-৭ এর সহকারী পরিচালক (মিডিয়া) নুরুল আবছার আজাদীকে বলেন, গ্রেপ্তার পরবর্তী বদরুদ্দোজাকে সংশ্লিষ্ট থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে। চক্রের অন্য আসামিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।