এম এ আজিজ স্টেডিয়াম। বাংলাদেশের ক্রিকেটের অনেক সাফল্যের সাক্ষী। দেশের দ্বিতীয় টেস্ট ভেন্যু এবং বিশ্বের ৮২ তম টেস্ট ভেন্যুটিতে এখন আর আন্তর্জাতিক ক্রিকেট হয় না। মাঝে মধ্যে এক আধবার প্রক্সি দিয়ে তুষ্ট থাকতে হয়। আজ থেকে যেমন থাকতে হচ্ছে। বাংলাদেশ এবং ওয়েস্ট ইন্ডিজের মধ্যকার টেস্ট সিরিজের আগে আজ থেকে তিন দিনের একটি প্রস্তুতি ম্যাচের আয়োজন করছে এম এ আজিজ স্টেডিয়াম। যেখানে ওয়েস্ট ইন্ডিজ দলের মোকাবেলা করবে বিসিবি একাদশ। প্রায় দুই বছরেরও বেশি সময় পর আবার কোনো বিদেশী দল খেলতে নামছে এম এ আজিজ স্টেডিয়ামে। কাকতালীয়ভাবে ২০১৮ সালের নভেম্বরে সবশেষ এই ওয়েস্ট ইন্ডিজই তিন দিনের প্রস্তুতি ম্যাচ খেলেছিল এই এম এ আজিজ স্টেডিয়ামে।
২০০৬ সালে জহুর আহমদ চৌধুরী স্টেডিয়াম পূর্ণাাঙ্গ ক্রিকেট স্টেডিয়াম হিসেবে যাত্রা শুরুর পর থেকে জাতীয় এবং আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের সব ম্যাচ সেখানেই আয়োজিত হয়। ফলে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট এক রকম নির্বাসিত এম এ আজিজ স্টেডিয়াম থেকে। অথচ বাংলাদেশের প্রথম টেস্ট জয় এসেছিল এই স্টেডিয়ামেই। বিপিএলের আসরও বসেছিল এই স্টেডিয়ামে। অনেক আন্তর্জাতিক ফুটবল এবং ক্রিকেট আসর আয়োজনে গর্বিত এম এ আজিজ স্টেডিয়াম এখন বলতে গেলে স্থানীয় খেলাধুলা আয়োজনের মধ্যেই সীমাবদ্ধ। মাঝেমধ্যে কোন বিদেশী দলের প্রস্তুতি কিংবা প্রস্তুতি ম্যাচ বা ফুটবলের কোন জাতীয় বা আন্তর্জাতিক ম্যাচ আয়োজনের সুযোগ পায়। আর সেটাই সফলতার সাথে আয়োজন করে। আজ থেকে শুরু হতে যাওয়া তিন দিনের প্রস্তুতি ম্যাচকে ঘিরে গতকাল বেশ সরগরম ছিল এম এ আজিজ স্টেডিয়াম। মাঠ কর্মীরা শেষ মুহূর্তের পরশ বুলাচ্ছিলেন তাদের প্রস্তুতিতে। আজকের ম্যাচের আম্পায়ার এবং ম্যাচ রেফারী এসে পরিদর্শন করে গেছেন মাঠ এবং ড্রেসিং রুম সহ সকল সুযোগ সুবিধা।
করোনাকাল বলে এখন খেলাধুলায় এসেছে নানা পরিবর্তন। সামাজিক দুরত্ব কিংবা স্বাস্থ্য বিধি নামক একটি শব্দ এখন জুড়ে গেছে সবকিছুতে। আর যেহেতু বিদেশী দল খেলতে নামছে সেহেতু তাদের নিয়ে সতর্কতাটা একটু বেশি। ক্রিকেটে নতুন সংযোজন জৈব সুরক্ষা বলয় নামক আরো একটি শব্দ এখন যোগ হয়েছে । সে হিসেবে ক্রিকেটাররা যে পথ দিয়ে প্রবেশ করবেন বা বের হবেন সে পথ দিয়ে অন্য কারো প্রবেশ বা বের হওয়ার সুযোগ নাই। তাই এই ম্যাচেও কোন দর্শক মাঠে যাওয়ার সুযোগ পাবেনা। কেবল মাত্র ম্যাচের সাথে যারা একান্তই সংশ্লিষ্ট তারাই কেবল স্টেডিয়াম এলাকায় প্রবেশ করতে পারবেন। আজ সকাল সাড়ে নয়টায় শুরু হবে ম্যাচটি। আগামী ৩১ ডিসেম্বর শেষ হবে এই তিন দিনের প্রস্তুতি ম্যাচ। এরপর আগামী ৩ ফেব্রুয়ারী থেকে শুরু হবে দুই ম্যাচ সিরিজের প্রথম টেস্ট ম্যাচ। তার আগে সফরকারী ওয়েস্ট ইন্ডিজ যেমন নিজেদের প্রস্তুত করে নিতে চায় তেমনি বিসিবি একাদশের হয়ে যারা খেলছেন তারাও এই ম্যাচে ভাল করে টেস্ট দলে ফিরতে চান। তাই এই ম্যাচটি দু দলের জন্যই গুরুত্বপূর্র্ণ।