দীর্ঘসূত্রতার কবলে গম ও চালবাহী ৪ জাহাজ

বহির্নোঙরে অপেক্ষা

আজাদী প্রতিবেদন | শনিবার , ১২ নভেম্বর, ২০২২ at ৬:৩৭ পূর্বাহ্ণ

চট্টগ্রাম বন্দরের বহির্নোঙরে এক লাখ টনের বেশি গম এবং পাঁচ হাজার টনের বেশি চাল নিয়ে অলস ভাসছে চারটি বিদেশি জাহাজ। শুধুমাত্র কাস্টমস আনুষ্ঠানিকতার জন্য জাহাজগুলো আটকে আছে। সরকারি নির্দেশনায় চব্বিশ ঘন্টা কাস্টমস চালু থাকার ব্যাপারটি কাগুজে সিদ্ধান্তে পরিণত হয়েছে বলে ক্ষোভ প্রকাশ করে সূত্রগুলো বলেছে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা কর্মচারীরা ডেস্কে না থাকায় শুল্কায়ন প্রক্রিয়া বিলম্বিত হচ্ছে। একইসাথে একজন কর্মকর্তাকে অনেকগুলো কাজের দায়িত্ব দিয়ে রাখার কারণেও সংকট তীব্র হচ্ছে।

সূত্র জানিয়েছে, সরকারিভাবে বিদেশ থেকে ১৩ লাখ টনেরও বেশি চাল গম আমদানি করা হচ্ছে। জিটুজি প্রক্রিয়ায় আমদানিকৃত এসব চাল এবং গমের কোন শুল্ক না থাকলেও শুল্কায়ন প্রক্রিয়া সম্পন্ন করেই জাহাজ থেকে পণ্য খালাস করতে হয়। শুল্কায়ন সম্পন্ন না হওয়া পর্যন্ত জাহাজগুলোকে বন্দরে বার্থিং কিংবা আউটারে লাইটারিং করতে দেয়া হয়না।

চট্টগ্রাম বন্দরে সাম্প্রতিক সময়ে আসা চারটি জাহাজ কাস্টমসের দীর্ঘসূত্রতার কবলে পড়েছে। এর মধ্যে ৪৯ হাজার ৪শ টন গম নিয়ে এমভি ভেরুদা নামের জাহাজটি গত ৭ নভেম্বর রাশিয়া থেকে চট্টগ্রাম পৌঁছার পর থেকে অলস ভাসছে। একইভাবে ইউক্রেন থেকে ৫১ হাজার ১৭৫ টন গম নিয়ে আসা এমভি ম্যাগনাম ফরচুনও গত ৮ নভেম্বর থেকে ভাসছে। এই দুইটি জাহাজ থেকে গম লাইটারিং করার কথা। কিন্তু শুধুমাত্র কাস্টমস প্রক্রিয়ার কারণে জাহাজ দুইটি থেকে গম লাইটারিং করা সম্ভব হচ্ছে না। বহির্নোঙরে ড্রাফট কমিয়ে জাহাজ দুইটিকে গ্রেন সাইলো জেটিতে নিয়ে আসার সুযোগ রয়েছে। সাইলো জেটি খালি থাকলে কাস্টমসের দীর্ঘসূত্রতার কারণে জাহাজ দুইটিকে সাইলোতে আনাও সম্ভব হচ্ছে না। অপরদিকে মিয়ানমার থেকে ২ হাজার ৬৫০ টন চাল নিয়ে গত ৭ নভেম্বর এমসিএল-৭ এবং একই পরিমাণ চাল নিয়ে এমসিএল-১৯ গত ৮ নভেম্বর বহিনোঙরে পৌঁছালেও জাহাজ দুইটির কোন হিল্লে হয়নি। এই দুইটি জাহাজও অলস ভাসছে। অথচ গ্রেন সাইলোতে খুব সহজেই এই দুইটি জাহাজের চাল খালাস করার সুযোগ ছিল। খাদ্য বিভাগের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা বলেছেন কাস্টমসের দীর্ঘসূত্রতার কবলে পড়া গমবাহী বিদেশী দুইটি মাদার ভ্যাসেলকে প্রতিজন কমপক্ষে ৬০ হাজার ডলার গচ্ছা দিতে হচ্ছে। এ ব্যাপারে খাদ্য বিভাগের পক্ষ থেকে কাস্টমস কর্তৃপক্ষের সহায়তা কামনা করা হয়েছে।

পূর্ববর্তী নিবন্ধরক্তমাখা চশমা এবং দুটি মৃত্যু
পরবর্তী নিবন্ধচট্টগ্রামে ডেঙ্গুতে ৯ দিনে আট মৃত্যু অর্ধেক শিশু