চতুর্থবারের মত আবারো রাঙামাটি জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি নির্বাচিত হয়েছেন দীপংকর তালুকদার এমপি। গতকাল মঙ্গলবার বিকেলে জেলা আওয়ামী লীগের সম্মেলনের কাউন্সিল অধিবেশনে রাঙামাটির ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর ইনস্টিটিউটে কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দের অনুরোধে সভাপতি প্রার্থী নিখিল কুমার চাকমা তার প্রার্থিতা প্রত্যাহার করেন। এতে দীপংকর তালুকদার আবারো বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় সভাপতি নির্বাচিত হন। অপরদিকে, হাজী মুছা মাতব্বর কাউন্সিলরদের ভোটে ১৩৮ ভোট পেয়ে ২য় বারের মতো সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন। এ পদে প্রতিদ্বন্দ্বী হাজী কামাল উদ্দিন পেয়েছেন ১০২ ভোট। এর আগে গতকাল সকাল ১১টায় জেলা আওয়ামী লীগের সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সেতু মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেন, পার্বত্য চট্টগ্রাম শান্তি চুক্তির প্রতিটি শর্ত শেখ হাসিনার সরকার অধীনে অক্ষরে অক্ষরে পূরণ হবে। তিনি বলেন, ১৩ বছর আগের রাঙামাটি, বান্দরবান, খাগড়াছড়ির সঙ্গে আজকের তিন জেলার অনেক পার্থক্য। সবখানে উন্নয়নের ছোঁয়া। তিনি বলেন, বিএনপি যতবার ক্ষমতায় গেছে তাদেরকে টেনে হিছড়ে নামাতে হয়েছে। বিএনপি মহাসচিব ফখরুল পদ্মা সেতু নিয়ে অন্ধকারে ঢিল ছুঁড়ছেন। রাঙামাটি জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি দীপংকর তালুকদারের সভাপতিত্বে সম্মেলনে উদ্বোধক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন এমপি। বিশেষ অতিথি ছিলেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব-উল আলম হানিফ, কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক আবু সাঈদ আল মাহমুদ স্বপন, ওয়াসিকা আয়েশা খান এমপি, কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের ত্রাণ ও সমাজ কল্যাণ বিষয়ক সম্পাদক সুজিত রায় নন্দী। উপস্থিত ছিলেন পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডের চেয়ারম্যান নিখিল কুমার চাকমা, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক হাজী মুছা মাতব্বর, পার্বত্য জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান অংসুইপ্রু চৌধুরী।
সম্মেলনে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব-উল আলম হানিফ বলেন, বাংলাদেশ কখনো শ্রীলংকা হবে না। বাংলাদেশ আফগানিস্তান, পাকিস্তানও হবে না। শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশের অর্থনীতির ভিত্তি যথেষ্ট শক্তিশালী সেটা প্রমাণিত হয়েছে।
