কাপ্তাই উপজেলার এক আওয়ামী লীগ নেতাকে গুলি করে হত্যা করেছে সন্ত্রাসীরা। নিহত ব্যক্তির নাম নেথোয়াই মারমা (৫৬)। তিনি কাপ্তাই উপজেলার ৩ নং চিৎমরম ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি। আসন্ন ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে তিনি চেয়ারম্যান পদে আওয়ামী লীগের দলীয় মনোনয়ন পেয়েছিলেন। গত শনিবার তিনি উপজেলা নির্বাচন অফিসে গিয়ে মনোনয়ন জমা দেন। রাত ১২টার সময় নিজ বাড়িতে সন্ত্রাসীদের গুলিতে মারা যান।
চন্দ্রঘোনা থানার ওসি ইকবাল বাহার চৌধুরী বলেন, নেথোয়াই মারমা চিৎমরমের আগাপাড়ায় তার বাড়িতে অবস্থান করছিলেন। গভীর রাতে ১০ থেকে ১২ জন সন্ত্রাসী তার ঘরে ঢোকার চেষ্টা করে। সামনের দরজা দিয়ে ঢুকতে না পেরে পেছনের দরজা ভেঙে ঘরে ঢুকে নেথোয়াই মারমাকে লক্ষ্য করে কয়েক রাউন্ড গুলি ছুড়ে পালিয়ে যায়।
সন্ত্রাসীদের প্রত্যেকের গায়ে সবুজ গেঞ্জি ছিল বলে নিহতের ছেলের বরাত দিয়ে পুলিশ জানায়। ঘটনান্থলেই নেথোয়াই মারমা মারা যান। তার গায়ে তিনটি গুলির চিহ্ন পাওয়া গেছে। গতকাল রোববার পুলিশ লাশ উদ্ধার করে চন্দ্রঘোনা থানায় আনে। পরে ময়না তদন্তের জন্য লাশ রাঙামাটি মর্গে পাঠায়। এই ঘটনায় সন্ধ্যা পর্যন্ত থানায় কোনো মামলা হয়নি।
এই খবর ছড়িয়ে পড়লে নেথোয়াই মারমার বাড়িতে ছুটে আসে মানুষ। সবাই এই ঘটনার সুষ্ঠু বিচার চান এবং দ্রুত সন্ত্রাসীদের আইনের আওতায় আনার দাবি জানান।
কাপ্তাই উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি অংসুইছাইন চৌধুরী ও সাধারণ সম্পাদক মো. ইব্রাহিম খলিল একে বর্বরোচিত হামলা উল্লেখ করেন এবং দোষীদের দ্রুত গ্রেপ্তার করার দাবি জানান।
এলাকাবাসী জানান, নেথোয়াই মারমা এবার ইউপি নির্বাচনে নৌকা প্রতীকে চিৎমরম ইউনিয়নের চেয়ারম্যান প্রার্থী ছিলেন। আগামী ১১ নভেম্বর নির্বাচনের তারিখ নির্ধারিত ছিল।
ঘটনার পর এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন রয়েছে। পাশাপাশি বিজিবি ও সেনাবাহিনীর টহলও জোরদার করা হয়েছে। উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে সার্বিক পরিস্থিতি নজরদারি করা হচ্ছে।