জমজমাট হয়ে উঠেছে দা, বঁটি, ছুরি, চাকু ও চাপাতির বাজার। পুরো বছরে যা বিক্রি হয় না পবিত্র ঈদুল আজহার আগে কয়েক দিনে তার চেয়ে বেশি বিক্রি হচ্ছে। নতুন করে কেনার পাশাপাশি অনেকে পুরনোগুলোয় শান দিচ্ছেন। কোরবানির পশু জবাই ও মাংস টুকরো করার কাজে ব্যবহৃত দেশীয় দা-বঁটি নিয়ে কামারেরা স্থায়ী দোকানের পাশাপাশি মোড়ে মোড়ে অস্থায়ী দোকানও গড়ে তুলেছেন। তবে লোহার দাম বেশি বলে এবার দর বেশ চড়া বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।
লোহার দাম বেড়ে যাওয়ায় দা, বঁটি, ছুরি ও চাপাতির দাম বেড়ে গেছে উল্লেখ করে কামাররা জানান, কয়লার দামও বেশি। তাই আগে দুই- তিনশ টাকায় যে দা-বঁটি বিক্রি করা হতো, এখন তা ছয়শ টাকার নিচে বিক্রি করা যাচ্ছে না। অবশ্য ধামা চারশ থেকে পাঁচশ টাকার মধ্যে পাওয়া যাচ্ছে। লোহা আগুনে পুড়িয়ে ছুরি, দা, বঁটি ও চাপাতি তৈরি করেন কামাররা। গত কয়েক মাস ধরে তারা এসব তৈরি করে ঈদে বিক্রি করার জন্য মজুদ করেছেন। এখন নিজেদের দোকানে বিক্রির পাশাপাশি ভাসমান হকারদের মাধ্যমেও বিক্রি করা হচ্ছে। গতকাল খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, একটি বড় বঁটি ছয়শ টাকার কমে বিক্রি হচ্ছে না। ছুরি বিক্রি হচ্ছে একশ থেকে দেড়শ টাকায়। শান দেওয়ার ক্ষেত্রে ৩০ থেকে ৫০ টাকা পর্যন্ত নেওয়া হচ্ছে। মেশিনে শান দেয়ার ব্যবস্থা থাকায় কয়লার উপর নির্ভরতা কমেছে। এছাড়া মেশিন কাঁধে নিয়ে অলিগলিতে ঘুরে দা-বঁটি শান দিচ্ছেন এক শ্রেণীর কামার। তাদের আয় ভালো হচ্ছে।
লোহা ও কয়লার দাম বেড়ে না গেলে আরো কম দামে দা-বঁটি বিক্রি করা যেত বলে গতকাল আমানত শাহ (র.) মাজারের সামনের একজন বিক্রেতা জানিয়েছেন।
সীতাকুণ্ডের একজন কামার গতকাল জানান, দা-বঁটির দাম চড়া। ভালো লোহা দিয়ে তৈরি করলে দাম বেশি পড়ে। শিপইয়ার্ডের লোহা দিয়ে করলে কমে বিক্রি করা সম্ভব। এক কেজি ওজনের একটি বঁটি সাতশ টাকায় বিক্রি করা হয়েছে। দা-বঁটি কেনার পাশাপাশি অনেকে পুরনোগুলোয় শান দিচ্ছেন বলে জানান তিনি।