পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান জোর দিয়ে বলছেন, তার নেতৃত্বাধীন পাকিস্তান তেহরিক–ই–ইনসাফ (পিটিআই) দলের অনেক সিনিয়র নেতার পদত্যাগের পর ক্ষমতায় ফেরার লক্ষে তিনি আন্দোলন চালিয়ে যাবেন। বিবিসির সঙ্গে এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, যারা দল ছেড়েছে, তাদের জায়গায় তরুণ রাজনীতিবিদদের বসানো হবে। প্রায় তিন সপ্তাহ আগে ইমরান খানকে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল, এর জেরে শুরু হয়েছিল দেশব্যাপী এক বিক্ষোভ। কিন্তু ওই ঘটনার পর থেকে তার প্রতি জনসমর্থন কমে যাচ্ছে। খবর বাংলানিউজের।
প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে তার পদত্যাগের জন্য খান সেনাবাহিনীর চাপকে দায়ী করেছেন। বিবিসির পাকিস্তান সংবাদদাতা ক্যারোলাইন ডেভিসকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে পিটিআই চেয়ারম্যান বলেন, ৯ মের সহিংসতার পর থেকে তিনি এখন পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছেন এবং পরিস্থিতি কোন দিকে গড়ায় তার জন্য ওয়েট অ্যান্ড সি নীতি অনুসরণ করছেন। সাক্ষাৎকারে খানকে প্রশ্ন করা হয়েছিল, বর্তমান পরিস্থিতিতে তিনি কীভাবে দল চালাবেন? সাবেক এই প্রধানমন্ত্রী জবাবে বলেন, প্রথমেই দলের শূন্য পদে নিয়োগ দেব, এবং তরুণ নেতাদের সামনের কাতারে আনব। এদেরও (নতুন নেতাদের) আটক করা হবে বলে আমার আশঙ্কা। এটাও হতে পারে যে তারা আমাকেও জেলে ঢোকাবে।
পিটিআই বর্তমান অবস্থা প্রসঙ্গে ইমরান খান বলেন, ভোট–ব্যাংক হারালে আমার অবস্থান দুর্বল হয়ে যাবে। তিনি বলেন, আপনি ভাবতে পারেন যে এটি (বর্তমান পরিস্থিতি) আমার জন্য একটি বড় সঙ্কট, কিন্তু আমি তা মনে করি না। আসলে আমরা সামরিক আইনের সম্মুখীন হচ্ছি। আমি ভাবছি তারা এসব থেকে কী পেতে চায়। অর্থনৈতিক পরিসংখ্যানগুলো দেশের সবচেয়ে খারাপ অবস্থার দিকেই ইঙ্গিত করছে। আমি জানতে আগ্রহী, আমাদের বাতিল করে দেওয়া হলে তাতে দেশের কী উপকার হবে।