দলাদলি আর বিভক্তির কারণেই সুন্দর দেশ গড়তে ব্যর্থ হয়েছি : ফখরুল

আসুন ঐক্যবদ্ধ হয়ে স্বপ্নপূরণের উদ্দেশ্যে কাজ করি

আজাদী ডেস্ক | বুধবার , ৩ মার্চ, ২০২১ at ১১:০৫ পূর্বাহ্ণ

বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, মুক্তিযুদ্ধ করে দেশ গড়ার যে প্রত্যয় ছিল, তা করতে পারিনি। উদার সমাজ বা রাষ্ট্রব্যবস্থা সৃষ্টি করতে ব্যর্থ হয়েছি। আমরা সবাই দলাদলি করেছি, বিভক্ত হয়েছি, কিন্তু সুন্দর বাংলাদেশ গড়তে পারিনি। এই দায় আমাদের। দলাদলি আর বিভক্তির কারণেই উদার ও সুন্দর বাংলাদেশ গড়তে ব্যর্থ হয়েছি, এর দায় কোনোভাবেই এড়ানো যাবে না।
গতকাল মঙ্গলবার দুপুরে রাজধানীর কাকরাইলে ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশনের মুক্তিযুদ্ধ স্মৃতি মিলনায়তনে জিয়া শিশু একাডেমির উদ্যোগে স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে ১১তম জাতীয় শিশু শিল্পী প্রতিযোগিতা ‘শাপলা কুঁড়ি-২০১৯’ এর পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন। অনুষ্ঠানে মির্জা ফখরুল শিশুদের হাতে পুরস্কার তুলে দেন। বাংলানিউজসহ বিভিন্ন সংবাদ সংস্থার সূত্রে এ তথ্য জানা যায়।
মির্জা ফখরুল আরও বলেন, স্বাধীনতার ৫০ বছরে আমাদের শিশুদের জন্য কি সত্যিকার অর্থে একটা ভালোবাসার দেশ, স্বপ্নের দেশ নির্মাণ করতে পেরেছি? তখন নিজের কাছে ঘৃণা লাগে, আমরা সেটা করতে পারিনি। আমরা আমাদের শিশুদের জন্য সেই আবাসস্থল তৈরি করতে পারিনি, যেখানে তারা নিরাপদে গড়ে উঠবে। সেখানে সত্যিকার অর্থেই ভালোবাসা, শান্তিময় একটা জগত তৈরি করা সম্ভব হবে। সবার কাছে আমার আহ্বান, আসুন আমরা সবাই মিলে উদ্যোগ নেই, চেষ্টা করি যে, আমরা আমাদের শিশুদের জন্যে সত্যিকার অর্থেই একটা শান্তিময় নিরাপদ পৃথিবী গড়ে তুলি, একটা জগত গড়ে তুলি। আসুন আমরা সবাই মিলে এ দেশটাকে সত্যিকার অর্থেই হাসি-গান আর ফুলের দেশ বানিয়ে তুলি। এটাই হোক আমাদের লক্ষ্য।
একাত্তরের স্বাধীনতার স্মৃতিচারণ করে মির্জা ফখরুল বলেন, এ বছর আমাদের স্বাধীনতার ৫০ বছর পূরণের বছর, এ মাসটা স্বাধীনতার মাস। এ মাসে বাংলাদেশের মানুষরা নিজেদের মুক্ত করার জন্যে পাকিস্তান শাসকগোষ্ঠীর হাত থেকে, আমরা যুদ্ধে নেমেছিলাম। সত্যিকার অর্থে যুদ্ধ কিন্তু। কোনো খেলা খেলা যুদ্ধ নয়। নয় মাস যুদ্ধ হয়েছে, বহু মানুষ মারা গেছে, বহু মানুষের ক্ষতি হয়েছে, প্রায় এক কোটি মানুষ বাংলাদেশ ছেড়ে ভারতে আশ্রয় নিয়েছিল। এখানে গণহত্যা হয়েছে।
অনুষ্ঠানে স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে শিক্ষায় অধ্যক্ষ সেলিনা আখতার, স্বাস্থ্যসেবায় অধ্যাপক হাসিনা আফরোজ, সঙ্গীতে এএসএম শফি মণ্ডল, শিল্পায়নে আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ, প্রবাসী কল্যাণে খান মনিরুল মনি, জনপ্রতিনিধি মনিরুল আলম সেন্টু ও আদর্শ মা মৌসুমী সাহাকে ‘কমলপদক-২০২০’ দেওয়া হয়। পরে ক্ষুদে শিল্পীদের পরিবেশনায় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান হয়।
সংগঠনের নির্বাহী মহাপরিচালক এম হুমায়ুন কবীরের সভাপতিত্বে ও মাশুক সিদ্দিকী এবং নওশিন রথির সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন একাডেমির পৃষ্ঠপোষক এলবার্ট পি কস্টা, কণ্ঠ শিল্পী খুরশীদ আলম, জিনাত রেহানা, সামিনা আখতার সম্পা ও সুলতানা জামান জ্যোস্না প্রমুখ। এ শিশু প্রতিযোগিতায় সারাদেশের ২২ হাজার ক্ষুদে শিল্পীরা বাছাই পর্বে অংশ নিয়ে ৪৭৬ জন চূড়ান্ত পর্বে উত্তীর্ণ হয়েছে।

পূর্ববর্তী নিবন্ধআর কোনো নির্বাচনে যাব কিনা, সিদ্ধান্ত প্রেসিডিয়ামে : বাবলু
পরবর্তী নিবন্ধখাগড়াছড়িতে ছাত্রীকে ধর্ষণের চেষ্টা, শিক্ষকের বিরুদ্ধে মামলা