তুমি যখন কথা বলতে থাকো–সে কি আর কথা থাকে?
যেন আকাশ থেকে ঝরে পড়া
স্বপ্নের ঝুমঝুম পুষ্পবৃষ্টি।
চুপটি করে থাকলে তাকে আর চুপ থাকা বলা যায় না;
এটমবোমা না হোক, নিদেনপক্ষে যেন একটি ককটেল,
বিস্ফোরণের অপেক্ষায় উন্মুখ।
তোমার অভিমানে থমকে যায় ঝিরঝির কোমল হাওয়া,
গুমোট মেঘরাশি নিরেট পাহাড় হয়ে ঠাঁই দাঁড়িয়ে যেন
আচানক বজ্রপাতের আশঙ্কায়।
তোমার এড়িয়ে চলা আমার কাছে যেন প্রবল ঝড়ো হাওয়া,
লণ্ডভণ্ড করে লেপ্টে দেয়
আমার পাই পাই করে বোনা সকল স্বপ্নসুখ।
অথচ চোখটি যখন রাখো চোখের উপর,
হাতটি রাখো এ হাতের পরে–
নুইয়ে পড়ে হাজার গোলাপ বাগান, লক্ষ পদ্ম সারি,
হাঁটু গেঁড়ে বসে ধ্যান করে আমার ভালোবাসার মিনারের পাদদেশে।
ভরসা পাই পাড়ি দিতে যোজন যোজন দূরত্বের বিশাল সমুদ্রপথ
কিংবা অসীম নিরুদ্দেশ আকাশের সামিয়ানা।
এই যে তোমার ‘পাওয়া– না পাওয়ার’ লুকোচুরির খেলা,
‘কাছে আসা–না আসার‘ গল্প– আমাকে জিম্মি করেই রাখলো আজীবন।
তোমার জয়ে উচ্ছ্বসিত হই আর পরাজয়ে হই আহত, মর্মাহত–
খেলার মাঠে তুমি খেলছো আপন নৈপুণ্যে আর
গ্যালারিতে বসে থাকা আমি যেন এক নিরীহ দর্শক–
কেবলই নিরীহ দর্শক।