চারিদিকে বিষাদ, বিষাদের মাতামাতি
ভোরের হাওয়া দূষিত হয়েছে
কুকুরের করুণ ক্রন্দনে।
অজানা আশঙ্কায় রক্ত কণিকা হিম হয়ে ওঠে,
মৃত মানুষের দৃষ্টির রং দিয়ে সেজেছে
শেষ বিকালের ঘোলাটে আকাশ।
চোখ তুলে তাকাতেই ঝাপসা হয়ে আসে
সামনের একটুকরো দৃশ্য,
চারিদিকে বিষাদ, বিষাদের মাতামাতি
কী করে পাড়ি জমায় দূর দিগন্তে…!
বিদায়ী সন্ধ্যার সাথে তানপুরাতে সুর সাধে
অসংখ্য ঝিঁ ঝিঁ পোকা,
এক–পা এগোতেই দু–পা পিছিয়ে আসি
এ কোন বিষাদের সুর…!
শিরা উপশিরা টান–টান হয়ে আসে,
কুয়াশা কাফনের কাপড় পরিয়ে দেয়
উলঙ্গ নির্লজ্জ পৃথিবীকে।
পাহাড়ের উঁচু চূড়ায় সেই নাম না জানা গাছটি
এখনো দাঁড়িয়ে আছে ঠাঁয়,
অনেক দিনের গচ্ছিত শ্যাওলায়
পিচ্ছিল হয়ে আছে তার চারিধার,
পা দিতেই ফসকে পড়বে অতল গভীরে।
দুয়ারের পাশে দাঁড়িয়ে আছে সমস্ত গায়ে কাঁটা নিয়ে
কারো আদূরে ভালোবাসার ক্যাকটাস,
যে ক্যাকটাসকে ছোঁয়া যায় না,
শুধু ভালোবাসা যায়।
সমস্ত বিষাদের মাতামাতিতে সুখের আশায়,
এতটুকুন ভালোবাসার আশায় দাঁড়িয়ে আছি।
আমি প্রতিক্ষমাণ সেই ক্যাকটাস হয়ে।
আমার গায়ে অসংখ্য কাঁটা,
স্পর্শ করতে পারবে না কোনো বিষাদ,
আমি ক্যাকটাস….!