দণ্ডিত খালেদার রাজনীতি করার সুযোগ কোথায় : কাদের

আইনমন্ত্রী বলছেন তার রাজনীতি করা নিয়ে শর্ত নেই

| শুক্রবার , ২৪ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ at ৫:৪৩ পূর্বাহ্ণ

দণ্ডিত খালেদা জিয়া শর্তাধীনে মুক্ত থাকলেও তার রাজনীতিতে সক্রিয় হওয়ার সুযোগ রয়েছে কি না, তা নিয়ে ক্ষমতাসীন দলের মধ্য থেকে দুই রকম বক্তব্য আসছে। বিএনপি চেয়ারপারসনের রাজনীতিতে যুক্ত হওয়ার ক্ষেত্রে কোনো শর্ত নেই বলে আইনমন্ত্রী আনিসুল হক জানালেও আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলছেন ভিন্ন কথা। দলীয় প্রধানের রাজনীতিতে ফেরা নিয়ে বিএনপির পক্ষ থেকে কোনো বক্তব্য এখনও আসেনি। তারা বরাবরই বলে আসছে, রাজনৈতিক উদ্দেশ্য প্রণোদিত মামলায় তাদের নেত্রীকে সাজা দেওয়া হয়েছে। খবর বিডিনিউজের।

গতকাল বৃহস্পতিবার ঢাকায় বাংলাদেশ ইনস্টিউট অব ইন্ট্যারন্যাশনাল অ্যান্ড স্ট্র্যাটেজিক স্টাডিজ আয়োজিত এক অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে আইনমন্ত্রী বলেন, উনি (খালেদা জিয়া) ঢাকাস্থ নিজ বাসায় থেকে চিকিৎসা নেবেন, দেশের বাইরে যেতে পারবেন না। এর বাইরে কোনো শর্ত নাই। আপনারা প্রশ্ন করেছেন উনি রাজনীতি করতে পারবেন কি না। আমি সত্য বলি বলেই বলেছি, রাজনীতি করার ব্যাপারে কোনো শর্ত নাই। রাজনীতির বিষয়ে কোনো শর্ত না থাকলেও ৭৭ বছর বয়সী খালেদার শারীরিক অবস্থা রাজনীতি করার মতো নেই বলেও মনে করেন আনিসুল হক।

এদিনই আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সভার পর দলটির সাধারণ সম্পাদক ও সড়ক পরিবহনমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরকে সাংবাদিকরা প্রশ্ন করেন, খালেদা জিয়ার রাজনীতিতে অংশগ্রহণের সুযোগ রয়েছে কি না? জবাবে তিনি বলেন, বেগম খালেদা জিয়া, তিনি কি দণ্ডাদেশ থেকে মুক্তি পেয়েছেন? তিনি কি মুক্তি পেয়েছেন? যে টুকু পেয়েছেন, সেটা মানবিক কারণে। শেখ হাসিনার উদারতার জন্য পেয়েছেন। অসুস্থ মানুষকে মানবিক কারণে তার দণ্ডাদেশ থেকে মুক্ত নয়, স্থগিত করা হয়েছে। কী জন্য? তিনি অসুস্থ। অসুস্থ না হলে তিনি থাকতেন কোথায়? কারাগারে। তাহলে রাজনীতি করার সুযোগ কোথায়? দণ্ডিত ব্যক্তির রাজনীতি করার সুযোগ কোথায়? দণ্ডিত ব্যক্তি তো জেলে থাকবে।

পাঁচ বছর আগে খালেদা জিয়া কারাগারে যাওয়ার পর তার ছেলে দলের জ্যেষ্ঠ ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান করে। কয়েকটি মামলায় দণ্ড নিয়ে লন্ডনে থাকা তারেক এখনও সেই দায়িত্বেই রয়েছেন। সে বিষয়টি দেখিয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, বিএনপিও বুঝতে পারছে যে খালেদা জিয়ার রাজনীতিতে যুক্ত হওয়ার সুযোগ নেই। তিনি বলেন, দণ্ডিত ব্যক্তির ব্যাপারে তাদের সন্দেহ না থাকলে তারা ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে কেন ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান করেছেন? নিশ্চয়ই ইনি ভ্যালিডেবল না, সে জন্য তাকে বাদ দিয়েছে।

বিএনপির সমালোচনা করে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, এই দেশে সন্ত্রাসের জন্মই দিয়েছে বিএনপি। যখন ক্ষমতায় ছিল, ক্ষমতায় থাকতেই তারা সন্ত্রাস করেছে। আজকে তাদের মুখে সন্ত্রাসের বয়ান আমাদের শুনতে হচ্ছে! শেখ হাসিনা বাংলাদেশে যেখানেই গেছে তারা আক্রমণ, হামলা করেছে। সন্ত্রাসের সঙ্গে বিএনপির নাম সম্পৃক্ত হয়ে গেছে। সন্ত্রাসের অপর নাম হচ্ছে বিএনপি। বাংলাদেশে নষ্ট রাজনীতির ঠিকানা হচ্ছে বিএনপি। তারাই নষ্ট রাজনীতির হোতা। নির্দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচনের দাবিতে বিএনপির সক্রিয় হওয়ার প্রেক্ষাপটে কাদের বলেন, আমরা আমাদের কর্মসূচি চালিয়ে যাব।

আওয়ামী লীগের যৌথসভায় দলের সভাপতি মণ্ডলীর সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানক, মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া, মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হাছান মাহমুদ, মাহবুবউল আলম হানিফ, দপ্তর সম্পাদক বিপ্লব বড়ুয়া, শিক্ষা বিষয়ক সম্পাদক সামসুন্নাহার চাঁপা, ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ সম্পাদক আমিনুল ইসলাম আমিন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

পূর্ববর্তী নিবন্ধরিহ্যাবের মেলায় ফ্ল্যাট ক্রেতাদের আকর্ষণের কেন্দ্রে উইকন প্রপার্টিজ
পরবর্তী নিবন্ধআওতায় আসছে জেলায় একটি করে সরকারি স্কুলের শিক্ষার্থী