চট্টগ্রাম জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এম. এ. সালাম বলেছেন, থ্যালাসেমিয়া রোগের প্রকোপ বৃদ্ধি গোটা জাতির জন্য উদ্বেগের। উন্নত ও সুলভ চিকিৎসার জন্য অচিরেই সমন্বিত উদ্যোগ প্রয়োজন।
গত ২ জানুয়ারি বিকেলে থ্যালাসেমিয়া সেবা কেন্দ্র বাংলাদেশের ২০ বছর পূর্তি উৎসবে প্রধান অতিথি এ উদ্বেগ প্রকাশ করে বলেন, থ্যালাসেমিয়া রোগীদের ভোগান্তি আজীবন বহন করতে হয়। তা খুবই হৃদয়বিদারক। তিনি বলেন, থ্যালাসেমিয়া রোগীদের জন্য চিকিৎসা সেবায় থ্যালাসেমিয়া সেবা কেন্দ্রের উদ্যোগকে পূর্ণতা দিতে সবার হাত বাড়ানো দরকার। থ্যালাসেমিয়া সেবা কেন্দ্র সভাপতি হেলাল উদ্দিন চৌধুরী বৃহত্তর চট্টগ্রাম থ্যালাসেমিয়া রোগের জন্য খুবই ঝুঁকিপূর্ণ ও স্পর্শকাতর এলাকা বলে চিহ্নিত হয়েছে বলে তথ্য প্রকাশ করে বলেন, কেন্দ্র ইতোমধ্যে পরিচালিত থ্যালাসেমিয়া যাচাই ক্যাম্পে ২২-২৩ শতাংশ হারে থ্যালাসেমিয়া রোগের বাহক পেয়েছে। এখনই সরকার থেকে সৌদি আরব, ভারতসহ বিভিন্ন দেশের মতো বিয়ের আগে রক্ত পরীক্ষার বিধান চালু করা প্রয়োজন।
হেলাল উদ্দিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সম্মাননা প্রদান অনুষ্ঠানে সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক আশীষ ধর স্বাগত বক্তব্য রাখেন।
রেবা বড়ুয়ার সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে সংবর্ধিতরা হলেন, সাংবাদিক এম, নাসিরুল হক, বীর মুক্তিযোদ্ধা ও রাজনীতিবিদ ইন্দু নন্দন দত্ত, গবেষক শামসুল হক, কণ্ঠশিল্পী শাহরিয়ার খালেদ, প্রকৌশলী রথীন সেন, ক্রীড়াবিদ সুনীল দে চৌধুরী, সঙ্গীতজ্ঞ সমর বড়ুয়া, সমাজ সেবক হাসিনা আক্তার নীলু, শিক্ষাবিদ রনজিত পাল, রক্তদাতা সংগঠক মুহাম্মদ আনোয়ার হোসাইন সুজন, রিফাত আফরোজ ঊর্মি।
বক্তব্য রাখেন, হাকীম মোহাম্মদ সেলিম রেজা, অধ্যক্ষ ফরহাদুর রহমান, আনোয়ারুল মোবিন, সিরাজুল ইসলাম, এ.কে.এম মাহাতাবুল ইসলাম, কুলসুম আকতার কান্তা, মোহাম্মদ নুরুল হোসেন, ওসমানগণি চৌধুরী বাবুল প্রমুখ।
জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান এম. এ. সালাম সংবর্ধিতদের মধ্যে সম্মাননাপত্র প্রদান করেন। পরে কেক কেটে জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান কেন্দ্রের ২০ বছর পূর্তি উৎসবের উদ্বোধন করেন। অনুষ্ঠানের শেষপর্বে সমর বড়ুয়া ও শাহরিয়ার খালেদ সংগীত পরিবেশন করেন। প্রেস বিজ্ঞপ্তি।
 
        
