দেশে থ্যালাসেমিয়া রোগের বিস্তার রোধে বিয়ের আগে রক্ত পরীক্ষার আইন প্রণয়ণের জন্য সরকারের পদক্ষেপ গ্রহণ করা একান্ত জরুরী। গতকাল সোমবার ৮ মে বিশ্ব থ্যালাসেমিয়া দিবস উপলক্ষে থ্যালাসেমিয়া সেবা কেন্দ্র–বাংলাদেশ আয়োজিত অনুষ্ঠান থেকে এ আহ্বান জানানো হয়। উক্ত অনুষ্ঠানে বক্তারা বলেন, দেশে বর্তমানে থ্যালাসেমিয়া রোগের প্রসার দ্রুত ঘটছে। সরকার দেশে স্বাস্থ্য ব্যবস্থার উন্নয়নে অনেক পদক্ষেপ নিয়েছেন। থ্যালাসেমিয়া রোগের প্রসার রোধে যদি বাধ্যতামূলক বিয়ের আগে রক্ত পরীক্ষার আইন প্রণয়ন করা হয় তাহলে এটি হবে এক যুগান্তকারী পদক্ষেপ। থ্যালাসেমিয়া দিবসে উপলক্ষে থ্যালাসেমিয়া সেবা কেন্দ্র–বাংলাদেশের উদ্যোগে আয়োজিত অনুষ্ঠান কর্মসূচির মধ্যে ছিল দরিদ্র রোগীদের বিনামূল্যে ওষুধ সরবরাহ ও আলোচনা সভা। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন চট্টগ্রাম শিক্ষা বোর্ডের পরিচালনা কমিটির সদস্য অধ্যক্ষ শিমুল বড়ুয়া। সংগঠনের সভাপতি সাংবাদিক হেলাল উদ্দিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় উপস্থিত ছিলেন হাসিনা আক্তার নীলু, আশীষ ধর, সিরাজুল ইসলাম, রেহেনা আক্তার হেনা, কান্তা আলম, রবিন তালুকদার, খোদেজা বেগম, তাহমিনা সুলতানা প্রমুখ।
ফটিকছড়িতে বিশ্ব থ্যালাসেমিয়া দিবস পালন
আর নয় রক্তচোষা থ্যালাসেমিয়া, প্রতিরোধই প্রতিকার এই শ্লোগানকে সামনে রেখে ফটিকছড়ি সরকারি কলেজ অডিটোরিয়ামে স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন ফটিকছড়ি ব্লাড ডোনার্স ক্লাবের ব্যবস্থাপনায় বিশ্ব থ্যালাসেমিয়া দিবস–পালন ও থ্যালাসেমিয়া বিষয়ক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। ফটিকছড়ি সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ (ভারপ্রাপ্ত) মো. মনিরুজ্জামানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে মুখ্য আলোচক ছিলেন চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজের সাবেক অধ্যাপক ডা. শাহেদ আহমেদ চৌধুরী। বিশেষ অতিথি ছিলেন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কনসালটেন্ট ডা. মো. জয়নাল আবেদীন মুহুরী। বক্তারা বিভিন্ন তথ্য উপাত্তের মাধ্যমে কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয় পড়ুয়া শিক্ষার্থীদের মাঝে থ্যালাসেমিয়া মহামারীর ভয়াবহতার কথা তুলে ধরেন। এই মহামারী রোধে বিয়ের আগে অবশ্যই পাত্র–পাত্রীর রক্তের হিমোগ্লোবিন ইলেকট্রফসিস পরীক্ষা করে নেওয়া প্রয়োজনীয়তার উপর গুরুত্ব দেন এবং পাশাপাশি সবাইকে এই বার্তা ছড়িয়ে দেওয়ার জন্য আহ্বান জানান। প্রেস বিজ্ঞপ্তি।