থেমে নেই ফুটপাত দখল। নগরবাসীর আপত্তি, সিটি কর্পোরেশনের (চসিক) অভিযান কিছুতেই বন্ধ হচ্ছে না দখলদারদের দৌরাত্ম্য। অবশ্য অনেক ক্ষেত্রে খোদ সিটি কর্পোরেশনের প্রশ্রয়ে ফুটপাত দখল করে নানা স্থাপনা নির্মাণের অভিযোগও আছে।
জানা গেছে, সপ্তাহ দুয়েক আগে থেকে স্টেশন রোডের ফুটপাতে সিটি কর্পোরেশন পরিচ্ছন্ন বিভাগের অফিস নির্মাণ শুরু করে। বিষয়টি নিয়ে চলছে নানা সমালোচনা। এ অবস্থায় কাজির দেউড়ি এলাকায় ফুটপাতে গত কয়েকদিন ধরে স্থাপনা নির্মাণের কাজ শুরু হয়েছে। তবে এখানে কারা করছে সে সম্পর্কে অবগত নয় চসিক। গতকাল রোববার বিকেলে সরেজমিনে দেখা গেছে, কাজির দেউড়ি থেকে নূর আহম্মদ সড়ক হয়ে সামান্য এগোলে হাতের বাঁ পাশে ফুটপাতের উপর লোহার ১১টি খুঁটি স্থাপন করা হয়েছে। এর মধ্যে সাতটি লাল রঙের। এ সময় সেখানে কাউকে দেখা যায়নি। স্থানীয় কয়েকজন বাসিন্দা জানান, দোকান করার জন্য খুঁটিগুলো স্থাপন করা হয়েছে।
সোয়েব নামে এক পথচারী আজাদীকে বলেন, পুরো শহরের বেশিরভাগ ফুটপাত দখল হয়ে আছে। হয়তো ভাসমান নয়তো দখল করে গড়ে তোলা হয়েছে স্থায়ী দোকানপাট। আবার অনেক জায়গায় দোকানের সাথে লাগানো ফুটপাতগুলোতে দোকানের মালামাল রাখা হয়। ফলে বাধ্য হয়ে মূল সড়ক দিয়ে হাঁটতে হয় পথচারীদের। এতে প্রায় সময় দুর্ঘটনা ঘটছে। শহরের ফুটপাতগুলো উদ্ধারের পাশাপাশি কাজির দেউড়িতে নতুন করে যেন ফুটপাত দখল না হয় সে বিষয়ে দ্রুত পদক্ষেপ নিতে হবে সিটি কর্পোরেশনকে।
শহীদ নামে আরেক পথচারী বলেন, নতুন মেয়র দায়িত্ব নেওয়ার পর আশা করেছিলাম ফুটপাত দখলমুক্ত হবে। সে জায়গায় নতুন করে দখল হওয়া দুঃখজনক।
কাজির দেউড়ি এলাকায় ফুটপাতে স্থাপনা নির্মাণ প্রসঙ্গে চসিকের স্টেট অফিসার কামরুল ইসলাম আজাদীকে বলেন, আমি দায়িত্ব নেওয়ার পর সেখানে কাউকে সৌন্দর্যবর্ধন করার জন্য অনুমতি দেওয়া হয়নি। আগে দেওয়া হয়েছে কিনা জানা নেই। তবে দিয়ে থাকলে নিশ্চয় তখনই করে ফেলত। বিষয়টি সরেজমিনে পরিদর্শন করে খতিয়ে দেখব এবং যথাযথ ব্যবস্থা নেব।