ত্রিদেশীয় সিরিজের ফাইনালটা হয়েছে ফাইনালের মতো। ১৮১ রানের লক্ষ্যে জয়ের পথেই ছিল দক্ষিণ আফ্রিকা। শেষ ওভারে তাদের জয়ের জন্য দরকার ছিল ৭ রান। সেই রান অসাধারণ দক্ষতায় ডিফেন্ড করেছেন পেসার ম্যাট হেনরি। তাতে ৩ রানের রোমাঞ্চকর জয়ে শিরোপা নিশ্চিত করেছে নিউজিল্যান্ড। যেভাবে প্রোটিয়ারা ব্যাট করছিল তাতে ম্যাচটা হেলে পড়েছিল তাদের দিকে। দশম ওভারে বিনা উইকেটে দলটির সংগ্রহ ছিল ৯২। তার পর অবশ্য সঠিক পথে থাকেনি প্রোটিয়ারা। ৩৯ রানে হারায় ৪ উইকেট। শেষ ২৯ বলে তাদের যখন ৫০ রান প্রয়োজন, তখন ২৫ বলে ৪৩ রানের জুটি গড়ে জয়ের সম্ভাবনা জোরালো করে তুলেছিলেন ডেওয়াল্ড ব্রেভিস ও জর্জ লিন্ডে। কিন্তু শেষ ওভারে স্নায়ু পরীক্ষায় পেরে ওঠেননি তারা। হেনরির ওভারের দ্বিতীয় বলেই ক্যাচ তুলে ফেরেন ব্রেভিস। ১৪ বলে ঝড়ো ব্যাট করতে থাকা এই ব্যাটার আউট হন ৩১ রানে। তার পর নতুন ব্যাটার করবিন বশ দুই বলে নেন তিন রান। পঞ্চম বলে লিন্ডেও হেনরির (১০) শিকার হলে শেষ বলে প্রয়োজন পড়ে ৪ রান। কিন্তু কোনও রানই নিতে পারেননি সেনুরান মুথুসামি। প্রোটিয়ারা শেষ পর্যন্ত ৬ উইকেটে করেছে ১৭৭ রান। ১৯ রানে ২ উইকেট নিয়ে ম্যাচ সেরা হেনরি। ১০ উইকেট নিয়ে সিরিজের সর্বোচ্চ উইকেট শিকারিও তিনি। এর আগে টস হেরে ব্যাট করতে নেমে ৫ উইকেটে ১৮০ রানের সংগ্রহ দাঁড় করায় নিউজিল্যান্ড। উদ্বোধনী জুটিতেই ৭৫ রান যোগ করেন টিম সেইফার্ট ও ডেভন কনওয়ে। তারা ভালো সূচনা এনে দিলেও বাকি জুটিগুলো প্রত্যাশা মেটাতে পারেনি। সেইফার্ট ২৮ বলে ৩ চার ও ১ ছক্কায় ৩০ রানে ফিরলে ভাঙে শুরুর জুটি। তার পর ডেভন কনওয়ে ৩১ বলে ৬ চার ও ১ ছক্কায় ৪৭ এবং রাচিন রবীন্দ্র ২৭ বলে ৪ চার ও ২ ছক্কায় ৪৭ রানে দলকে টেনে নেওয়ার চেষ্টা করেন। কিন্তু শেষটা প্রত্যাশা মতো করতে পারেনি বাকিরা। তাদের ভালো মতোই চাপ ফেলেছিল প্রোটিয়া বোলিং। শেষ তিন ওভারে মাত্র তিনটি বাউন্ডারি নিতে পেরেছে। ৫ উইকেট হাতে থাকলেও সংগ্রহ বাড়িয়ে নিতে পারেনি। প্রোটিয়াদের হয়ে ২৪ রানে দুটি উইকেট নেন লুঙ্গি এনগিদি। একটি করে নেন নান্দ্রে বার্গার, কিউনা মাফাকা ও সেনুরান মুথুসামি।