ত্যাগের মহিমায় উদযাপিত পবিত্র ঈদুল আজহা

অফিস-আদালত খুলবে রবিবার

আজাদী প্রতিবেদন | শুক্রবার , ১৩ জুন, ২০২৫ at ৬:৩০ পূর্বাহ্ণ

যথাযোগ্য মর্যাদা ও ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্যে চট্টগ্রামসহ সারা দেশে গত শনিবার উদযাপিত হয়েছে ত্যাগের মহিমায় ভাস্বর পবিত্র ঈদুল আজহা। ইসলাম ধর্মাবলম্বীদের দ্বিতীয় বৃহত্তম উৎসব এই ঈদুল আজহা। এদিন মহান রাব্বুল আলামীনকে সন্তুষ্ট করতে পশু কোরবানি দিয়েছেন সামর্থ্যবান মুসলমানরা। একইসঙ্গে জবাইকৃত পশুর মাংস বিলি করেন কোরবানি করতে অক্ষমদের মাঝে। যা সৃষ্টি করে ভ্রাতৃত্ব ও সমতার অনন্য নজির।

পশু কোরবানির আগে সবাই আদায় করেন ঈদুল আজহার নামাজ। ধনীগরিব সবাই এক কাতারে দাঁড়িয়ে আদায় করেন এ নামাজ। নামাজ শেষে ঈদগাহে ঈদগাহে ও মসজিদে মসজিদে দেশের শান্তি ও সমৃদ্ধির জন্য মোনাজাত করা হয়।

নগরে সকাল সাড়ে ৭টায় চট্টগ্রামে পবিত্র ঈদুল আজহার প্রধান জামাত জমিয়াতুল ফালাহ মসজিদে অনুষ্ঠিত হয়। জামাতে ইমামতি করেন মসজিদের খতিব আল্লমা সৈয়দ আবু তালেব মোহাম্মদ আলাউদ্দীন আল কাদেরী। এখানে নামাজ আদায় করেন সিটি কর্পোরেশনে মেয়র ডা. শাহাদাত হোসেন, সাবেক মেয়র ও বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান মীর মোহাম্মদ নাছির উদ্দিন, জাতীয় পার্টি নেতা সোলায়মান আলম শেঠ, বিএনপি নেতা সাঈদ আল নোমানসহ চট্টগ্রামের বিভিন্ন শ্রেণিপেশার মানুষ।

দ্বিতীয় জামাত অনুষ্ঠিত হয় সকাল সাড়ে ৮টায়। দ্বিতীয় জামাতে ইমামতি করেন মসজিদটির পেশ ইমাম মাওলানা মোহাম্মদ আহমদুল হক।

নামাজ শেষে সাংবাদিকদের সামনে সিটি মেয়র ডা. শাহাদত হোসেন বলেন, ত্যাগের উদ্দেশ্যে করা কোরবানি যেন কবুল হয়। নগরবাসীর প্রতি আহ্বান, আপনারা প্রতিবেশী ও আত্মীয়স্বজনের হক আদায় করুন। গরিব দুস্থ মানুষের সঙ্গী হয়ে ঈদের আনন্দে শামিল হন সবাই।

এদিকে ঈদের নামাজ উপলক্ষে জমিয়তুল ফালাহ মসজিদ এলাকায় কঠোর নিরাপত্তাব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়। মসজিদ ও এর আশপাশে পুলিশ, র‌্যাবসহ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা সতর্ক অবস্থায় ছিলেন।

এদিকে জমিয়তুল ফালাহ ছাড়াও চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের তত্ত্বাবধানে ৯টি মসজিদে সকাল সাড়ে ৭টায় ঈদ জামাত অনুষ্ঠিত হয়। মসজিদগুলো হললালদীঘি সিটি কর্পোরেশন শাহী জামে মসজিদ, হযরত শেখ ফরিদ (.) চশমা ঈদগাহ মসজিদ, সুগন্ধা আবাসিক এলাকা জামে মসজিদ, চকবাজার সিটি কর্পোরেশন জামে মসজিদ, জহুর হকার্স মার্কেট জামে মসজিদ, দক্ষিণ খুলশী (ভিআইপি) আবাসিক এলাকা জামে মসজিদ, আরেফীন নগর কেন্দ্রীয় কবরস্থান জামে মসজিদ, সাগরিকা গরুবাজার জামে মসজিদ এবং মা আয়েশা সিদ্দিকী চসিক জামে মসজিদ। এছাড়া মোমিন রোডস্থ শাহ আনিস জামে মসজিদে ও আনজুমানএ রহমানিয়া আহমদিয়া সুন্নিয়া ট্রাস্ট পরিচালিত পশ্চিম ষোলশহরস্থ দায়েম নাজির জামেয়া আহমদিয়া সুন্নিয়া জামে মসজিদে ঈদুল আজহার জামাত অনুষ্ঠিত হয়।

এদিকে চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসনের ব্যবস্থাপনায় ও চট্টগ্রাম কেন্দ্রীয় ঈদজামাত কমিটির উদ্যোগে কাজীর দেউড়িস্থ জেলা স্টেডিয়াম সম্মুখ মাঠে ঈদ জামাত অনুষ্ঠিত হয়। এতে ইমামতি করবেন নগরীর বায়তুশ শরফ আদর্শ কামিল মাদ্রাসার সাবেক প্রিন্সিপ্যাল মাওলানা অধ্যক্ষ ড. সাইয়েদ মুহাম্মদ আবু নোমান। এখানে নারীদের জন্যও আলাদা ব্যবস্থা ছিল। এখানে নামাজ আদায় করেন চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসক ফরিদা খানম। তিনি সাংবাদিকদের বলেন, নারীদের জন্য বিশেষ ব্যবস্থাপনায় ঈদের জামাতের ব্যবস্থা করা হয়। এতে নগরের বিভিন্ন এলাকা থেকে নারীরা অংশ নিয়েছেন। ভবিষ্যতেও এই আয়োজন অব্যাহত থাকবে। নামাজ শেষে নারীরা শুভেচ্ছা বিনিময় করেন।

পূর্ববর্তী নিবন্ধ‘স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলুন, আতঙ্কিত না হয়ে সচেতন হোন’
পরবর্তী নিবন্ধলন্ডনে ড. ইউনূসের সঙ্গে তারেক রহমানের বৈঠক আজ