ঈদুল আযহা তথা কোরবানির ঈদ যা ইসলামী নির্দেশনাবলীর মধ্যে অন্যতম। এটি ওয়াজিব। বিভিন্ন দেশে বিভিন্ন জাতি তাদের নিজ আকীদা–বিশ্বাস, চিন্তা চেতনার, জাতীয় চরিত্রের দর্পণ হিসেবে এটি প্রকাশ করে। এই কোরবানি বা ত্যাগের মাধ্যমে আল্লার আদেশে নিজপুত্র ইসমাঈল আলাইহে ওয়া সাল্লামকে আল্লার সন্তুষ্টির লক্ষ্যে কোরবানী করার জন্য হযরত ইব্রাহিম (আ🙂 এর ইচ্ছা ও ত্যাগের মহৎ কাজকে স্মরণ করা হয়। বাঙালি মুসলমানরাও আনন্দ আর উৎসাহের মধ্য দিয়ে আল্লার সন্তুুষ্টির অর্জনের জন্য পশু জবাই এর মাধ্যমে ত্যাগের উৎসবে মেতে উঠে। কোরবানি মহান আল্লাহর দরবারে নজরানা নিবেদনের নাম, তাই সামর্থ্য অনুযায়ী উত্তম ও ভালো পশু নির্বাচন করার প্রতি লক্ষ্য রাখা দরকার। এক চোখের দৃষ্টিহীনতা, অতি রুগ্ন, সম্পূর্ণ রোগা এমন পশুতে কোরবানি করা থেকে বিরত থাকা জরুরি। কারণ পশুর রক্ত, মাংস কিছুই আল্লার কাছে পৌঁছায় না শুধু বিধাতার অপার মহিমা লাভের প্রত্যাশা, তাঁর প্রিয় বন্ধুর মহান ত্যাগের ইচ্ছা ও উদ্দেশ্যকে সম্মান জানানোর জন্য কোরবানির নিয়তটাই অনেক মুল্যবান। গরীব দুঃখীদের জন্য, আত্মীয় স্বজনদের জন্য, নিজের জন্য একজন ব্যক্তি একটি পশু কোরবানিতে শরীক হতে পারেন।