বাঁশখালী উপজেলার ৯ নং গণ্ডামারা ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচনে আনারস প্রতীকের প্রার্থী মো. লেয়াকত আলী ১নং ওয়ার্ডে তার বাড়ি সংলগ্ন মাঠে এবং ৬ নং ওয়ার্ডের পশ্চিম বড়ঘোনা নতুন মার্কেটের উত্তর পাশে চলাচলের রাস্তার উপর তোরণ নির্মাণ করেছেন। সংশ্লিষ্ট প্রার্থীর বিরুদ্ধে নির্বাচনী আচরণবিধি ভঙ্গের অভিযোগ এনে গত ৫ জুন এই ইউনিয়নের নৌকা প্রতীকের চেয়ারম্যান প্রার্থী মোহাম্মদ শিহাব উল হক সিকদার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তার কাছে লিখিত অভিযোগ করেছেন।
বর্তমান নির্বাচনী আচরণবিধিতে নির্বাচনী প্রচারণায় কোনো প্রার্থী তার পোস্টার–ব্যানার দিয়ে তোরণ বা গেট নির্মাণ করলে সেটা গুরুতর অপরাধ।
নির্বাচনী আচরণবিধি ভঙ্গের এমন গুরুতর অভিযোগের ছয়দিনেও উল্লিখিত চেয়ারম্যান প্রার্থীর বিরুদ্ধে কোনো আইনি পদক্ষেপ নেয়া হয়নি।
নির্বাচনী আচরণবিধিতে কোনো প্রার্থী তোরণ নির্মাণ করতে পারবেন কিনা জানতে চাইলে চট্টগ্রামের অতিরিক্ত জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মো. কামরুল আলম আজাদীকে জানান, ‘বর্তমান নির্বাচন ব্যবস্থায় কোনো প্রার্থী পোস্টার–ব্যানার দিয়ে তোরণ নির্মাণ করতে পারবেন না। তোরণ নির্মাণ আচরণবিধি লক্সঘনে পড়বে।’ বাঁশখালীর গণ্ডামারায় যে চেয়ারম্যান প্রার্থী তোরণ নির্মাণ করেছেন–এই ব্যাপারে ব্যবস্থা নেয়ার জন্য বাঁশখালীর এসিল্যান্ডকে (নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট) রিটার্নিং কর্মকর্তার অফিস থেকে চিঠি দেয়া হয়েছে।
এই ব্যাপারে গতকাল শুক্রবার রাতে বাঁশখালী উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা ফয়সল আলম আজাদীকে জানান, বাঁশখালীর ৯ নং গণ্ডামারা ইউনিয়নে আনারস প্রতীকের প্রার্থী মো. লেয়াকত আলীর বিরুদ্ধে তোরণ নির্মাণসহ
আচরণবিধি ভঙ্গের যে অভিযোগ দেয়া হয়েছে–বিষয়টি সংশ্লিষ্ট ইউনিয়নের রিটার্নিং কর্মকর্তার মাধ্যমে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের কাছে পাঠানো হয়েছে। নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট দুয়েকদিনের মধ্যে অভিযানে যাওয়ার কথা।