বাঙালির যাপিত জীবনাচরণের সঙ্গে রবীন্দ্রনাথের কবিতা ও গান অবিচ্ছেদ্যভাবে জড়িয়ে আছে। রবীন্দ্রনাথ বাঙালির জীবনে অনন্ত প্রেরণার উৎস। বাংলা ভাষা ও সাহিত্যের অনেক কিছুরই প্রথম রূপকার তিনি। তার হাত ধরেই বাংলা সাহিত্যে নতুন যুগের সৃষ্টি হয়। নতুন নতুন সুর ও বিচিত্র গানের বাণী, এমনকি চিত্রকলায়ও রবীন্দ্রনাথ চিরনবীন, চিরঅমর। রবীন্দ্রনাথ আজও আমাদের মনমানসিকতা গঠনের, চেতনার উন্মেষের প্রধান অবলম্বন। বাংলাদেশ রবীন্দ্রসঙ্গীত শিল্পী সংস্থা চট্টগ্রাম বিভাগীয় শাখার আয়োজনে বৃহস্পতিবার জেলা শিল্পকলা একাডেমি মিলনায়তনে ‘তোমামাঝে অসীমের চিরবিস্ময়’ শিরোনামে আয়োজিত অনুষ্ঠানের উদ্বোধনী পর্বের আলোচনায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে শিল্প সংস্থার কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক ড. মকবুল হোসেন এসব কথা বলেন। আবৃত্তিজন প্রবীর পালের সঞ্চালনায় স্বাগত বক্তব্য দেন চট্টগ্রাম বিভাগীয় শাখার সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপিকা লাকী দাশ। উপদেষ্টা তুষার কান্তি বড়ুয়ার সঞ্চালনায় সভাপতির বক্তব্য রাখেন ড. আনোয়ারা আলম। আলোচনা পর্বের শুরুতে প্রধান অতিথি সবাইকে সাথে নিয়ে মঙ্গল প্রদীপ প্রজ্বলন করেন। সমবেত কণ্ঠে পরিবেশিত হয় ‘হে নূতন দেখা দিক আরবার’, ‘বরিষ ধরা মাঝে শান্তির বারি’, ‘আমার মুক্তি আলোয় আলোয়’, ‘প্রাণ ভরিয়ে তৃষা হরিয়ে’। দলীয় পরিবেশনা শেষে শিল্পীরা একক, দ্বৈত ও ত্রয়ী গান পরিবেশন করেন। লাকী দাশের সঙ্গীত পরিচালনায় শিল্পীরা ছিলেন ড. মকবুল হোসেন, লাকী দাশ, মুন্নি চক্রবর্ত্তী, রুমা মিত্র, বর্ণালী দাশ, সনজিতা ভট্টাচার্য্য, শ্যামলী বড়ুয়া, মো. মহিউদ্দিন, বহ্নিশিখা রক্ষিত, অনিমেষ বড়ুয়া, সুবর্ণা ধর, পূজা ধর, শুভাগত চৌধুরী, বনানী শেখর রুদ্র, শীলা চৌধুরী, দোলন চাপা বড়ুয়া, চুমকি চন্দ ও রিনি পালিত। কিবোর্ডে সৃজন রায়, তবলায় পলাশ দেব, বেহালায় শ্যামল চন্দ্র দাশ ও পারকিউশনে ছিলেন ফারুক। শেষে শুভ্র সেনগুপ্তার পরিচালনায় নৃত্যনাট্য ‘চিত্রাঙ্গদা’ পরিবেশিত হয়।