তৃতীয় ধাপে ভাসানচর যাচ্ছে আরো ৩ হাজার রোহিঙ্গা। এর মধ্যে প্রথম ব্যাচে গতকাল বৃহস্পতিবার প্রায় দেড় হাজার রোহিঙ্গা উখিয়া ছেড়েছে। আজ শুক্রবার দ্বিতীয় ব্যাচে আরও দেড় হাজার রোহিঙ্গা উখিয়া ছাড়বে বলে জানা গেছে। গতকাল বৃহস্পতিবার সন্ধ্যার পর প্রথম ব্যাচে উখিয়া ছেড়ে আসা রোহিঙ্গারা চট্টগ্রাম পৌঁছেছে। আজ শুক্রবার তাদের ভাসানচর নিয়ে যাওয়া হবে। এর আগে গত বুধবার বিকেল থেকে ভাসানাচরে যাওয়ার উদ্দেশ্যে রোহিঙ্গারা ক্যাম্প হতে উখিয়া ডিগ্রি কলেজ মাঠে অস্থায়ী ট্রানজিট ক্যাম্পে আসা শুরু করে। গতকাল সকালেও বেশকিছু রোহিঙ্গা ট্রানজিট ক্যাম্পে আসে। সেখানে রেজিস্ট্রেশন কার্যক্রম শেষে গতকাল বাসযোগে তারা নগরীর বিএফ শাহীন কলেজ মাঠে অস্থায়ী ট্রানজিট ক্যাম্পে আসে। এ বিষয়ে অতিরিক্ত শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনার মোহাম্মদ শামছুদ্দৌজা জানান, পতেঙ্গা নৌ-ঘাট থেকে শুক্রবার (আজ) সকালে রোহিঙ্গাদের নিয়ে নৌ-বাহিনীর জাহাজ ভাসানচরে উদ্দেশ্যে যাত্রা করবে।
উখিয়া কুতুপালং-৯নং রোহিঙ্গা ক্যাম্পের মাঝি আবদুল মোতালেব জানান, তাদের শিবির থেকে ৩৭ পরিবারের প্রায় ১৭০ জন রোহিঙ্গা ভাসানচরে যাওয়ার উদ্দেশে ক্যাম্প ছেড়ে গেছে। বিষয়টি নিশ্চিত করে কুতুপালং-২ ক্যাম্পের ইনচার্জ রাশেদুল ইসলাম জানান, তাদের ক্যাম্প থেকে পাঁচ শতাধিক রোহিঙ্গা স্বেচ্ছায় ভাসানচর যাচ্ছে। ২০১৭ সালের ২৫ আগস্ট মিয়ানমার সেনাবাহিনীর নির্যাতনের শিকার হয়ে সাড়ে সাত লাখের বেশি রোহিঙ্গা বাংলাদেশে পালিয়ে আসে। এর আগে থেকে ছিল আরও প্রায় চার লাখ। বর্তমানে ১১ লক্ষাধিক রোহিঙ্গা রয়েছে উখিয়া ও টেকনাফের ৩৪টি ক্যাম্পে। রোহিঙ্গাদের জন্য নিজস্ব অর্থায়নে দুই হাজার ৩১২ কোটি টাকা ব্যয়ে নোয়াখালীর ভাসানচরে আশ্রয়ণ প্রকল্প বাস্তবায়ন করে সরকার। গত ৩ ডিসেম্বর কক্সবাজারের বিভিন্ন ক্যাম্প থেকে ১ হাজার ৬৪২ জন রোহিঙ্গাকে ভাসানচর নেয়ার মধ্য দিয়ে তাদের আনুষ্ঠানিক স্থানান্তর প্রক্রিয়া শুরু হয়। দ্বিতীয় দফায় গত ২৯ ডিসেম্বর ১ হাজার ৮০৪ জন রোহিঙ্গা স্থানান্তরিত হয়। এরই ধারাবাহিকতায় আজ শুক্রবার আরও ৩ হাজার রোহিঙ্গাকে ভাসানচর স্থানান্তর করা হবে।