পাকিস্তান অনূর্ধ্ব–১৯ দলের বিপক্ষে নিজেদের মাঠে জয়ের দেখা পাচ্ছিলনা বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব–১৯ দল। একমাত্র চারদিনের ম্যাচে হারের পর প্রথম দুই ওয়ানডেতেও হারের স্বাদ পেয়েছে স্বাগতিকরা। তবে তৃতীয় ওয়ানডেতে গিয়ে জয়ের দেখা পেল বাংলাদেশ শিবির। গতকাল রাজশাহীর শহীদ কামারুজ্জামান স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত তৃতীয় যুব ওয়ানডেতে ৪ উইকেটে জিতেছে বাংলাদেশ। পাকিস্তানের যুবাদের করা ১৫৪ রান ১৪৪ বল হাতে রেখে টপকে গেছে স্বাগতিকরা। দলের এই জয়ে দারুণ ভূমিকা রেখেছেন পেসার রোহানাত। ৮ ওভার বল করে ৪টি মেডেন সহ মাত্র ২০ রানে ৩ উইকেট নেন রোহানাত। তার হাতেই ওঠে ম্যাচ সেরার পুরস্কার। আরেক পেসার ইকবাল হাসান ৩৭ রানে নিয়েছেন ৩টি উইকেট।
টস হেরে ব্যাট করতে নামা পাকিস্তান শুরুতেই দুই ওপেনারকে হারায়। চতুর্থ ওভারে ফিরেন শাহজাইব খান। পরের ওভারে ইকবালের অফ স্টাম্পের বাইরের বল ড্রাইভ করতে গিয়ে গালিতে ক্যাচ দেন আগের দুই ম্যাচে হাফ সেঞ্চুরি করা আজান আওয়াইস। শুরুর ধাক্কা সামাল দেওয়ার চেষ্টা করেন মোহাম্মদ তৈয়ব আরিফ ও শামিল হাসান। তবে বেশি দূর যেতে পারেননি তারা। দুজনই করেন ১৭ রান। এরপর হামজা নাওয়াজও অল্পতে ফিরে গেলে ৫৪ রানে ৫ উইকেট হারিয়ে বিপদে পড়ে যায় পাকিস্তান। ষষ্ঠ উইকেট জুটিতে ৪৩ রান যোগ করেন মির্জা সাদ বেগ ও আরাফাত আহমেদ। ওয়াসি সিদ্দিকির বলে ছক্কা মারতে গিয়ে ডিপ মিড উইকেটে ক্যাচ দেন সাদ। ৪২ বলে ৩৫ রান করেন পাকিস্তান অধিনায়ক। আরাফাত ফিরেন ৫০ বলে ২৮ রান করে। আলি আসফান্দের ২৭ রানের অপরাজিত ইনিংসে ১৫৪ রানে অল আউট হয় পাকিস্তান যুবারা। উইকেটের পেছনে পাঁচটি ক্যাচ নেন আদিল। যুব ওয়ানডেতে এক ম্যাচে ৫ ক্যাচ নেওয়া দ্বিতীয় বাংলাদেশি তিনি। ২০১৯ সালে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে এই কীর্তি গড়েছিলেন আকবর আলি।
১৫৫ রান তাড়া করতে নেমে দারুণ শুরু করেন বাংলাদেশের দুই ওপেনার আদিল ও মাজহারুল ইসলাম। ৮ ওভারেই ৫০ রান করে ফেলে বাংলাদেশ। পাওয়ার প্লের শেষ ওভারে আদিলকে থামান আইমাল খান। ৮ টি চারের সাহায্যে ৩৪ বলে ৩৬ রান করেন আদিল। পরের ওভারে একই পথ ধরেন আরেক ওপেনার মাজহারুল। ২৫ বলে ২১ রান করেন তিনি। তিন নম্বরে নামা জিসান আলম রানের চাকা সচল রাখেন। তার সঙ্গে মিলে দারুণ ব্যাটিং করেন আরিফুল ইসলাম। আইমালের বলে পুল করতে গিয়ে ক্যাচ আউট হন জিসান। ১৯ বলে ৫ চারের সাহায্যে তিনি করেন ২৪ রান। এর আগে আরিফুল ফিরেন ১৩ বলে ১২ রান করে। এরপর শিহাবের সঙ্গে ভুল বোঝাবুঝিতে রানআউট হন অধিনায়ক আহরার আমিন। তবে রানের চাকা সচল রাখার কাজটি ভালোভাবেই করেন শিহাব। জয়ের জন্য ২০ রান বাকি থাকতে ষষ্ঠ ব্যাটসম্যান হিসেবে আউট হন তিনি। ২৫ বলে তিনি করেন ২৭ রান। পরে আর কোনো বিপদ ঘটতে দেননি মাহফুজুর রহমান ও পারভেজ। দল জিতিয়ে মাঠ ছাড়েন তারা। ম্যান অব দা ম্যাচ হয়েছেন রোহানাত দৌল্লাহ। একই মাঠে আগামীকাল শনিবার সিরিজের চতুর্থ ম্যাচে মুখোমুখি হবে দুই দল।
