তীব্র গরম, সাথে বিদ্যুতের আসা-যাওয়া

আজাদী প্রতিবেদন | রবিবার , ২৫ এপ্রিল, ২০২১ at ৬:০০ পূর্বাহ্ণ

তীব্র গরমের মাঝে বিদ্যুতের ভেল্কিবাজিতে অতিষ্ঠ সাধারণ মানুষ। পবিত্র রমজান মাসে ইফতার ও সেহরির সময়ে অনেক এলাকায় বিদ্যুৎ না থাকার অভিযোগ একাধিক এলাকার ভুক্তভোগী মানুষের। গত দুদিনে বিভিন্ন এলাকা থেকে অভিযোগ এসেছে আজাদীতে।
চলছে গ্রীষ্মের তাপদাহ। রমজানে তারাবির নামাজ, সেহরি ও ইফতারের মতো গুরুত্বপূর্ণ সময়ে গত দুদিন ধরে বিদ্যুতের আসা-যাওয়ার ঘটনায় ধর্মপ্রাণ মুসল্লিসহ সাধারণ মানুষ অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছেন। প্রতি বছর বর্ষাকালে ভারী বাতাস ও বর্ষণের পাশাপাশি গাছের ডাল ভেঙে পড়লে সঞ্চালন লাইনে সমস্যা সৃষ্টি হয়। বিদ্যুতের আসা-যাওয়ার বিষয়টি লেগেই থাকে। প্রতি বছর রমজান মাসে নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহের জন্য পিডিবি নানা উদ্যোগ নেয়। প্রতিটি ডিভিশনে এই ব্যাপারে লিখিত নির্দেশনা দিয়ে থাকেন প্রধান প্রকৌশলী। এ বছরও রমজান শুরুর আগে এই ধরনের সার্বিক প্রস্তুতি নিয়েছিল পিডিবি কর্তৃপক্ষ। তারপরও ট্রান্সফরমার বিকল এবং সঞ্চালন লাইনের টেকনিক্যাল সমস্যার কারণে মাঝে মাঝে বিভিন্ন এলাকায় তারাবির নামাজ, সেহরি ও ইফতারের সময় বিদ্যুতের আসা-যাওয়ার ঘটনা ঘটছে।
এ ব্যাপারে বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড বিতরণ চট্টগ্রাম দক্ষিণাঞ্চলের প্রধান প্রকৌশলী দেওয়ান সামিনা বানু আজাদীকে বলেন, রমজান মাসে চট্টগ্রামে চাহিদ অনুযায়ী প্রায় শতভাগ বিদ্যুৎ সরবরাহের জন্য আমরা সর্র্বাত্মক প্রস্তুতি গ্রহণ করেছি। গত শুক্রবার রাতে স্টেডিয়াম এলাকায় একটি ট্রান্সফরমানের সমস্যা ছিল। সেটি তারাবির নামাজের পর ঠিক করে দেওয়া হয়েছে। আজকে (গতকাল) আগ্রাবাদ এলাকায় একটু সমস্যা হয়েছে। এগুলো টেকনিক্যাল সমস্যা। এগুলো সাথে সাথেই সমাধান করা হচ্ছে। এমনিতে চট্টগ্রামে কোনো লোডশেডিং নেই। এখন গরম বেশি পড়ায় বিদ্যুতের চাহিদাও একটু বেড়েছে। এখন ১২শ ৭০ মেগাওয়াটের মতো চাহিদা আছে।
এদিকে, নগরীর বিভিন্ন এলাকা থেকে টেলিফোনে সাধারণ মানুষ আজাদীকে প্রচণ্ড গরমের এই সময়ে আধ ঘণ্টা থেকে দেড় ঘণ্টা পর্যন্ত বিদ্যুৎ না থাকার বিষয়ে জানান। তারা বলেন, ভ্যাপসা গরমে জনজীবন অসহনীয় হয়ে উঠেছে। তবে পিডিবি বলছে, এই মুহূর্তে চট্টগ্রামে কোনো লোডশেডিং নেই। কিন্তু ট্রান্সফরমারের পাশাপাশি সঞ্চালন লাইনের সমস্যার কারণে দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে সাধারণ মানুষকে।
পবিত্র রমজানে সুষ্ঠুভাবে বিদ্যুৎ সরবরাহের জন্য বিতরণ দক্ষিণাঞ্চলের সংশ্লিষ্ট সকল কর্মকর্তা-কর্মচারীকে গ্রিড অনুসারে কার্যপরিধি নির্ধারণ করে প্রধান প্রকৌশলীর পক্ষ থেকে দপ্তরাদেশ প্রদান করা হয়েছে। উক্ত আদেশে বিদ্যুৎ বিতরণ ব্যবস্থা মনিটর ও সুষম লোড বণ্টন নিশ্চিত করার লক্ষ্যে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের সমন্বয়ে রোস্টার দায়িত্বও নির্ধারণ করে দেওয়া হয়েছে।

পূর্ববর্তী নিবন্ধকমেছে মৃত্যু ও শনাক্ত
পরবর্তী নিবন্ধমাহে রমজানের সওগাত