টানা কয়েকদিনের তীব্র গরমের পর গতকাল নগরবাসীকে কিছুটা স্বস্তি দিয়েছে গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি। এদিন দিনভর আকাশ ছিল মেঘলা। আগের দিনের চেয়ে তাপমাত্রা কমেছে ২ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস। কমেছে গরমের অনুভূতিও। তবে বৃষ্টিতে শিক্ষার্থীসহ পথচারীদের কিছুটা ভোগান্তি হয়েছে। এদিকে স্বস্তির মধ্যেই দুঃসংবাদ হয়ে আসতে পারে বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট সম্ভাব্য ঘূর্ণিঝড় ‘রেমাল’।
পতেঙ্গা আবহাওয়া অফিসের গতকাল সন্ধ্যা ৬টায় দেয়া পরবর্তী ২৪ ঘণ্টার পূর্বাভাস অনুযায়ী, চট্টগ্রাম ও পার্শবর্তী এলাকায় অস্থায়ীভাবে কিছু কিছু জায়গায় দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। এছাড়া বিক্ষিপ্তভাবে কিছু জায়গায় শিলাবৃষ্টি হতে পারে। অর্থাৎ আজও বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। এদিকে গতকাল সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত সর্বশেষ ২৪ ঘণ্টায় ১৮ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড হয়েছে নগরে। এছাড়া একইসময়ে সন্দ্বীপে ৭১ মিলিমিটার এবং সীতাকুণ্ডে ৪ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত হয়েছে।
রাজধানীর আগারগাঁওসহ আবহাওয়া অধিদপ্তরের আবহাওয়াবিদ হাফিজুর রহমান জানান, আগামী ২২ মে দক্ষিণ–পশ্চিম বঙ্গোপসাগরে একটি লঘুচাপ সৃষ্টি হতে পারে। পরবর্তীতে এটি ঘণীভূত হতে পারে। কানাডার সাসকাচোয়ান বিশ্ববিদ্যালয়ের আবহাওয়া ও জলবায়ু বিষয়ক পিএইচডি গবেষক মোস্তফা কামাল পলাশ জানান, আমেরিকান ও ইউরোপীয়ান আবহাওয়া পূর্বাভাস মডেল বিশ্লেষণ করে আশঙ্কা করা হচ্ছ্তে ঘূর্ণিঝড় রেমাল আগামী ২১ ও ২২ মে এর মধ্যে লঘুচাপের শক্তি অর্জন করতে পারে। ২২ ও ২৩ মে এর মধ্যে নিম্নচাপ ও গভীর নিম্নচাপের শক্তি অর্জন করার সম্ভাবনা রয়েছে এবং ২৪ মে পূর্ণাঙ্গ ঘূর্ণিঝড়ের শক্তি অর্জন করতে পারে। ঘূর্ণিঝড় রেমাল যদি ভারতের অন্ধ্রপ্রদেশ ও ওড়িশা রাজ্যের মধ্যবর্তী উপকূলে আঘাত করে, তবে স্থাল ভাগে আঘাতের সম্ভব্য সময় হবে ২৫ মে সন্ধ্যার পর থেকে ২৬ মে সন্ধ্যার মধ্যে। ঘূর্ণিঝড়টি যদি বাংলাদেশের বরিশাল ও খুলনা বিভাগ এবং ভারতের পশ্চিমবঙ্গের মধ্যবর্তী স্থানের উপকূল দিয়ে স্থলভাগে আঘাত করে, তবে সম্ভব্য সময় হবে ২৬ মে দুপুর ১২টার পর থেকে ২৭ মে সন্ধ্যার মধ্যে।