পৌরসভা নির্বাচনের প্রথম ধাপে আজ সীতাকুণ্ড পৌরসভায় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হচ্ছে। আজ দৃষ্টি থাকবে সীতাকুণ্ডে। এখানে মোট কেন্দ্র ১৭টি। সবগুলো কেন্দ্রকে ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে চিহ্নিত করে প্রতিটি কেন্দ্রে প্রশাসনকে সর্বোচ্চ সতর্কাবস্থায় থাকতে বলা হয়েছে। তবে সর্বাধিক ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে সীতাকুণ্ড বিশ্ববিদ্যালয় কলেজ কেন্দ্রকে। সীতাকুণ্ড পৌরসভাকে তিন স্তরের নিরাপত্তার চাদরে ঢেকে ফেলা হয়েছে। পুলিশ, র্যাব ও বিজিবির টহল জোরদার করা হয়েছে।
চট্টগ্রামের ডিআইজি মোহাম্মদ আনোয়ার হোসেন বলেন, নির্বাচন সুষ্ঠুভাবে হবে। সন্ত্রাসী যে দলেরই হোক না কেন বিন্দুমাত্র ছাড় দেওয়া হবে না। পুলিশের বিরুদ্ধেও কোনো অভিযোগ পেলে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
সীতাকুণ্ড পৌরসভা নির্বাচনকে চ্যালেঞ্জ হিসেবে নেওয়া হয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, পরিস্থিতির ওপর সার্বক্ষনিক নজর রাখা হচ্ছে। শুধু সাদা পোশাকের পুলিশ নয়, সাধারণ মানুষের মাঝেও সোর্স নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। পুলিশের ওপরও চলছে গোয়েন্দা নজরদারি। প্রার্থীদের মধ্যে কাউকে ভোট কেন্দ্র দখল করার সুযোগ দেওয়া হবে না। ভোটারদের কেন্দ্রে আসতে বাধা দেওয়ার ঘটনা ঘটালে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে। সাধারণ ভোটাররা যাতে উৎসবমুখর পরিবেশে ভোট দিতে পারে প্রশাসন তা নিশ্চিত করবে।
জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ ইলিয়াস হোসেন আজাদীকে বলেন, তিন স্তরের নিরাপত্তা বলয় গড়ে তোলা হয়েছে। পুলিশ, র্যাব এবং বিজিবি মোতায়েন করা হয়েছে। প্রতিটি ওয়ার্ডে একজন করে ম্যাজিস্ট্রেট দায়িত্ব পালন করবেন। রাখা হয়েছে স্টাইকিং ফোর্স। সন্ত্রাসীদের বিন্দুমাত্র ছাড় দেওয়া হবে না জানান তিনি।
পুলিশ সুপার এস এম রশিদুল হক আজাদীকে বলেন, সীতাকুণ্ডে উৎসবমুখর পরিবেশে মানুষ ভোট দেবে। কোনো ধরনের সন্ত্রাস বা ভয়ভীতি দেখানোর সুযোগ কাউকে দেওয়া হবে না। কোথাও হুমকি ধমকির ঘটনা ঘটলে সাথে সাথে পুলিশকে জানানোর জন্য অনুরোধ জানান তিনি।