তিন সপ্তাহ ধরে সংজ্ঞাহীন রাজকুমারী বজ্রকিটিয়াভা

| সোমবার , ৯ জানুয়ারি, ২০২৩ at ৪:৪৬ পূর্বাহ্ণ

তিন সপ্তাহের বেশি সময় আগে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে পড়ে যাওয়া থাইল্যান্ডের রাজার বড়মেয়ে রাজকুমারী বজ্রকিটিয়াভার জ্ঞান এখনো ফেরেনি বলে শনিবার থাই প্রাসাদের পক্ষ থেকে এক বিবৃতিতে জানানো হয়েছে। মাইকোপ্লাজমা সংক্রমণের কারণে গত ১৫ ডিসেম্বর তিনি অজ্ঞান হয়ে যান বলেও ওই বিবৃতিতে জানানো হয়। বলা হয়, রাজকুমারীর সর্বশেষ অবস্থা বলতে গেলে বলতে হয়, তিনি এখনো অজ্ঞান হয়ে আছেন। এ অবস্থায় তার হৃদযন্ত্র, ফুসফুস এবং কিডনির কার্যকারিতা ঠিক রাখতে সহায়তার জন্য চিকিৎসকরা প্রয়োজনীয় ওষুধ এবং যন্ত্রপাতি ব্যবহার করছেন। খবর বিডিনিউজের।

তাকে নিবিড় পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে। ৪৪ বছর বয়সের রাজকুমারী বজ্রকিটিয়াভাকে থাইল্যান্ডের সিংহাসনের সম্ভাব্য উত্তরাধিকারী বিবেচনা করা হয় বলে জানায় বার্তা সংস্থা রয়টার্স। রাজকুমারী বজ্রকিটিয়াভা ১৫ ডিসেম্বর উত্তরপূর্বের নাখোঁ রাতচাসিমা প্রদেশে তার কুকুরদের একটি প্রতিযোগিতার অংশগ্রহণের জন্য প্রস্তুত করার সময় অসুস্থ হয়ে পড়েন। সঙ্গে সঙ্গে তাকে স্থানীয় একটি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় এবং পরে হেলিকপ্টারে করে ব্যাংকক আনা হয়।

থাইল্যান্ডের রাজা মাহা ভাজিরালংকর্ণের তিন সন্তানের মধ্যে তিনি বড় এবং তার আনুষ্ঠানিক পদবী রয়েছে। দেশটির সংবিধান এবং রাজপরিবারের উত্তরাধিকার আইন অনুযায়ী তিনি থাইল্যান্ডের সিংহাসনের উত্তরাধিকার হওয়ার যোগ্য। যদিও রাজা ভাজিরালংকর্ণ এখনো আনুষ্ঠানিকভাবে তার উত্তরসূরির নাম ঘোষণা করেননি। বজ্রকিটিয়াভা রাজা ভাজিরালংকর্ণের প্রথম স্ত্রী রাজকুমারী সোমসাওয়ালীর মেয়ে। তার জন্ম ১৯৭৮ সালের ৭ ডিসেম্বর।

২০১৬ সালে রাজা ভাজিরালংকর্ণ তার বাবা প্রয়াত রাজা ভূমিবলের স্থলাভিষিক্ত হন। ভাজিরালংকর্ণ রাজা হওয়ার পর রাজকুমারী বজ্রকিটিয়াভা রাজার ঘনিষ্ঠ বৃত্তের অংশ হয়ে ওঠেন। রাজার ব্যক্তিগত নিরাপত্তায় নিয়োজিতদের মাঝে জ্যৈষ্ঠ কর্মকর্তা করা হয় তাকে। যুক্তরাষ্ট্রের দুটি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আইন বিষয়ে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করেছেন রাজকুমারী বজ্রকিটিয়াভা। ২০১২ থেকে ২০১৪ সাল পর্যন্ত অস্ট্রিয়ায় থাইল্যান্ডের রাষ্ট্রদূত হিসেবেও নিযুক্ত ছিলেন তিনি। ফিটনেস ধরে রাখার ব্যাপারে বেশ উৎসাহী থাই এই রাজকুমারী নারী অধিকারের ক্ষেত্রেও অনেক সোচ্চার। বিশেষ করে নারী বন্দিদের জন্য বিভিন্ন সময়ে নানা পদক্ষেপের পক্ষে কথা বলেছেন তিনি। বিশ্বের অন্য যেকোনো দেশের তুলনায় থাইল্যান্ডে নারী কারাবন্দি অনেক বেশি।

পূর্ববর্তী নিবন্ধঅ্যান্ট গ্রুপের ওপর একচ্ছত্র নিয়ন্ত্রণ ছাড়ছেন জ্যাক মা
পরবর্তী নিবন্ধজোরকদমে এগুনোর অঙ্গীকার রাশিয়ার