ভূমি অধিগ্রহণেই তিনটি বিদ্যুৎ কেন্দ্রের দুর্নীতি হয়েছে ৩৯০ কোটি ৪৯ লাখ টাকা। এছাড়া জমি দখল, আদিবাসীদের উচ্ছেদের ঘটনাও ঘটেছে। গতকাল বুধবার ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে এক গবেষণা প্রতিবেদন উপস্থাপন করে এ তথ্য জানায় ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি)। এতে সংস্থাটি নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান, পরিচালক শেখ মন্জুর-ই-আলমসহ অন্যরা উপস্থিত ছিলেন।
টিআইবি বলছে, বরিশাল কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র, বাঁশখালী এসএস বিদ্যুৎ কেন্দ্র ও মাতারবাড়ী এলএনজি বিদ্যুৎ কেন্দ্রের ভূমি ক্রয় অধিগ্রহণ এবং ক্ষতিপূরণ দেওয়ার ক্ষেত্রে ৩৯০ কোটি ৪৯ লাখ টাকার দুর্নীতি ও অনিয়ম হয়েছে। এর মধ্যে বরিশাল কয়লা ভিত্তিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রে ১৫ কোটি ৫৯ লাখ ৯০ হাজার টাকা, বাঁশখালী এসএস বিদ্যুৎ কেন্দ্রে ২৫৫ কোটি টাকা ও মাতারবাড়ী এলএনজি বিদ্যুৎ কেন্দ্রে ১১৯ কোটি ৪৫ টাকা দুর্নীতি হয়েছে। এই অর্থ নিয়েছে বিদ্যুৎ কেন্দ্রের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের একাংশ, স্থানীয় জনপ্রতিনিধি, এনজিও কর্মী, ভূমি অধিগ্রহণ শাখার কর্মকর্তা-কর্মচারীদের একাংশ এবং মধ্যস্বত্বভোগী। খবর বাংলানিউজের।
এছাড়া ভারত, চীন, পাকিস্তান ও অস্ট্রেলিয়ায় নির্মিত কয়লা ভিত্তিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রে উৎপাদিত ইউনিট প্রতি বিদ্যুতের দাম বাংলাদেশি টাকায় ৩ দশমিক ৪৬ টাকা থেকে ৫ দশমিক ১৫ টাকা পড়লেও বরিশাল কয়লা ভিত্তিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র ও বাঁশখালী এসএস বিদ্যুৎ কেন্দ্র থেকে বেশি মূল্যে বিদ্যুৎ কেনার সুযোগ রেখে প্রকল্প অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। এক্ষেত্রে ২২ থেকে ৪৯ শতাংশ বেশি মূল্য ধরা হয়েছে।
অন্যদিকে প্রকল্প অনুমোদেন দুর্নীতি, প্রয়োজনের অধিক জমি ক্রয় অধিগ্রহণ, ভূমি ও ক্রয় অধিগ্রহণে জোরপূর্বক উচ্ছেদ, আদিবাসীদের জমি ও উপকূলীয় বনসহ নদী ও খাল দখল, স্থানীয় জনপ্রতিনিধি কর্তৃক কম মূল্যে স্থানীয়দের থেকে জমি ক্রয করে বেশি মূল্যে এস আলম কর্তৃপক্ষকে হস্তান্তর, ক্ষতিপূরণের অর্থ প্রদানে অনিয়ম, ক্ষতিগ্রস্তদের পুনর্বাসন ও কর্মসংস্থানের ক্ষেত্রে অনিয়ম ও ক্ষতিগ্রস্তদের হয়রানিসহ মানবাধিকার লঙ্ঘন মতো বিষয়ও উঠে এসেছে টিআইবির গবেষণায়।