তিন বছর পর রেলের জায়গা ব্যবহারের অনুমোদন

সিডিএর সাথে চুক্তি, প্রাথমিকভাবে দেওয়া হবে ১০ বছরের ভাড়া

আজাদী প্রতিবেদন | মঙ্গলবার , ৭ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ at ৫:০০ পূর্বাহ্ণ

রেলওয়ের অনুমোদনের অভাবে এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের নির্মাণ কাজ ব্যাহত হচ্ছিল। তিন বছরের বেশি সময় পর অবশেষে রেলওয়ের জায়গা ব্যবহারের অনুমোদন পাওয়া গেল। গতকাল রেলের ৭০ শতক জায়গা সিডিএকে ব্যবহারের অনুমোদন দেয়া হয়েছে। এ ব্যাপারে একটি দ্বিপাক্ষিক চুক্তিও স্বাক্ষরিত হয়েছে। অনুমোদনের পর লালখান বাজার থেকে শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর পর্যন্ত এক্সপ্রেসওয়ের নির্মাণকাজে আর কোনো প্রতিবন্ধকতা থাকল না।

সূত্রে জানা যায়, শহরের যানজট নিরসন, ব্যবসাবাণিজ্য ও বন্দরকেন্দ্রিক যানবাহন চলাচল স্বাভাবিক রাখতে ২০১৭ সালে লালখান বাজার থেকে পতেঙ্গা পর্যন্ত এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে নির্মাণ প্রকল্প গ্রহণ করা হয়। ২০১৯ সালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা চট্টগ্রামে এসে এক্সপ্রেসওয়ের পিলার পাইলিং কাজ উদ্বোধন করেন। প্রায় ৪ হাজার কোটি টাকার এ প্রকল্পের অর্ধেকের বেশি কাজ শেষ হলেও দেওয়ানহাট ওভারব্রিজের পাশে রেলওয়ের জায়গার উপর দিয়ে ফ্লাইওভার নির্মাণের অনুমোদন নিয়ে জটিলতা তৈরি হয়।

দেওয়ানহাট ওভারব্রিজের পশ্চিম পাশে ফ্লাইওভারের ল্যান্ডিং পয়েন্টের জন্য প্রায় ৭০ শতক জায়গা দীর্ঘমেয়াদী ইজারা নেয়ার আগ্রহ দেখায় সিডিএ। কিন্তু সিডিএ রেলওয়ের কাছ থেকে জায়গা ব্যবহারের অনুমোদন পাচ্ছিল না। এতে করে উক্ত এলাকাটিতে প্রকল্পের কাজ বন্ধ ছিল। দেওয়ানহাটে শেখ মুজিব রোড এবং টাইগারপাসে প্রকল্পের কাজ চললেও মাঝের ওভারব্রিজের পাশে কোনো কাজ করা সম্ভব হয়নি। সিডিএ ইতোমধ্যে উক্ত এলাকায় একাধিক বহুতল ভবন ভেঙে এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে নির্মাণের ব্যবস্থা করলে রেলের অনুমোদনের অভাবে পাইলিং কিংবা মাটি পরীক্ষার মতো প্রাথমিক কাজও করতে পারছিল না।

প্রায় তিন বছরের চেষ্টার পর অবশেষে সিডিএ রেলওয়ের ৭০ শতক জায়গা ব্যবহারের অনুমোদন পেয়েছে। সিডিএ দীর্ঘমেয়াদে লিজ নিয়ে উক্ত জায়গার উপর দিয়ে এক্সপ্রেসওয়ে নির্মাণ এবং ল্যান্ডিং পয়েন্ট তৈরি করবে। গতকাল সিডিএর চিফ ইঞ্জিনিয়ার কাজী হাসান বিন শামস এবং রেলওয়ের চিফ এস্টেট অফিসার সুজন চৌধুরী স্ব স্ব পক্ষে চুক্তিতে স্বাক্ষর করেন। এই চুক্তির ফলে শীঘ্রই উক্ত এলাকায় নির্মাণ কাজ শুরু হবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করা হয়েছে। সিডিএ বলছে, লালখান বাজার থেকে পতেঙ্গা পর্যন্ত ১৬ কিলোমিটার দীর্ঘ এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে নির্মাণে আর কোনো বাধা থাকল না।

সিডিএর এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের প্রকল্প পরিচালক ইঞ্জিনিয়ার মাহফুজুর রহমান বলেন, রেলওয়ের অনুমোদনের মাধ্যমে গুরুত্বপূর্ণ প্রকল্পটির বড় একটি বাধা দূর হলো। আমরা জায়গাটি কিনছি না, ভাড়া নিচ্ছি। প্রাথমিকভাবে ১০ বছরের ভাড়া বাবদ সাড়ে তিন কোটি টাকা প্রদান করা হবে।

পূর্ববর্তী নিবন্ধভেজাল ওষুধ উৎপাদন বা মজুদ করলে যাবজ্জীবন
পরবর্তী নিবন্ধছেলে থানায় এসে বললেন, বাবাকে খুন করেছি, আমাকে গ্রেপ্তার করুন