‘দুই-তিনটা সমাবেশ করে মির্জা ফখরুলের ভাবখানা এমন যে, ক্ষমতায় এসেই গেছে!’ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের এমন বক্তব্যের সমালোচনা করে বিএনপির মহাসচিব বলেছেন, তিনটা সমাবেশ করে ক্ষমতায় চলে গেছি বলে মনে করছি না। আমরা মনে করেছি তিনটি সমাবেশ করে আপনাদের কম্পন শুরু হয়ে গেছে, কাঁপাকাঁপি শুরু হয়ে গেছে। যে কারণে সমাবেশগুলো বন্ধ করার জন্য আপনারা পরিবহন ধর্মঘট করাচ্ছেন। লজ্জা করে না আপনাদের, কী নির্লজ্জ আপনারা, কাপুরুষ আপনারা! বিরোধী দলের শান্তিপূর্ণ সমাবেশকে বন্ধ করার জন্য আপনারা আপনাদের পেটোয়া ইউনিয়নকে দিয়ে ধর্মঘট ডাকাচ্ছেন, বলেন মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। খবর বাংলানিউজের।
গতকাল বৃহস্পতিবার বিকেলে রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে যুবদলের ৪৪তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত যুব সমাবেশে এসব কথা বলেন তিনি। সমাবেশকে কেন্দ্র করে বড় ধরনের শোডাউন করে যুবদল। সমাবেশের বিস্তৃতি নয়াপল্টন ছাড়িয়ে ফকিরাপুল, কাকরাইল, পল্টন, বিজয়নগর পর্যন্ত ছড়িয়ে পড়ে। সমাবেশে ঢাকার আশপাশের জেলা থেকেও নেতাকর্মীরা অংশ নেন।
‘অনেকেই জানতে চায়, রিজার্ভের টাকা গেলো কোথায়। তাদের বলতে চাই, এটা কেউ চিবিয়ে খায়নি। রিজার্ভের টাকা গেল পায়রা বন্দরে। রিজার্ভের টাকা গেছে মানুষের খাদ্য কেনায়, সার কেনায়’- প্রধানমন্ত্রীর এমন বক্তব্যের প্রতিক্রিয়ায় বিএনপি মহাসচিব বলেন, রিজার্ভের টাকা পায়রা বন্দরে খরচ করার জন্য নয়। রিজার্ভের টাকা হচ্ছে বিদেশ থেকে যে আমদানি করবেন তা ডলার দিয়ে পরিশোধ করবেন। দেশে যখন ক্রাইসিস দেখা দেবে তখন খরচ করবেন।
মির্জা ফখরুল আরও বলেন, চট্টগ্রাম, মযমনসিংহ ও খুলনায় ধর্মঘট ডেকেছে, সেই ধর্মঘট দিয়ে কি গণতন্ত্রকামী মানুষকে আটকে রাখতে পেরেছে? পারেনি। জনগণ তাদের দাবি জানাতে পায়ে হেঁটে বিভিন্নভাবে সমাবেশে এসে উপস্থিত হয়েছে। বরিশালে ধর্মঘট দিয়েছে, রংপুরে ধর্মঘট দিয়েছে কেন? যাতে জনসমাবেশ বন্ধ করা যায়। মুন্সীগঞ্জে ও নারাযণগঞ্জে যুবদল নেতাদের নিহত হওয়ার ঘটনার প্রসঙ্গ টেনে বিএনপির মহাসচিব বলেন, শেখ হাসিনার অবৈধ সরকার আজকে গুলি করে দমন করতে চায়। তারা আজকে অত্যাচার করে, নির্যাতন করে দমন করতে চায়। দেশে নির্বাচন নেই, নির্বাচন ব্যবস্থাকে আওয়ামী লীগ ধ্বংস করে দিয়েছে দাবি করে মির্জা ফখরুল বলেন, নির্বাচন কমিশন করেছে, যাকে ডিসি-এসপি মানে না এবং তারা নির্বাচন করতে পারে না। সুতরাং নির্বাচনের প্রশ্নই উঠতে পারে না। আমরা খুব পরিষ্কারভাবে বলেছি, হাসিনার অধীনে কোনো নির্বাচন হতে পারে না। নির্বাচনের পূর্বে হাসিনাকে পদত্যাগ করতে হবে, তার সরকারকে পদত্যাগ করতে হবে, সংসদ বিলুপ্ত করতে হবে এবং একটি তত্ত্বাবধায়ক সরকারের হাতে ক্ষমতা হস্তান্তর করতে হবে।









