বঙ্গোপসাগরে মাছ ধরতে গিয়ে ভারতের জলসীমায় প্রবেশ করার অপরাধে মহেশখালীর ২৭ জেলেসহ চট্টগ্রাম ও কক্সবাজার এলাকার তিনটি ফিশিং ট্রলারসহ ৮৮ জেলেকে আটক করেছে ভারতীয় কোস্টগার্ড বাহিনী। গত মঙ্গলবার ভারত-বাংলাদেশ জলসীমার ৩৫ নটিক্যাল মাইলের ভেতরে প্রবেশ করলে ভারতীয় উপকূল রক্ষী বাহিনীর জাহাজ ঝাউখালিতে টহলের সময় বাংলাদেশের ৩টি ট্রলারকে আটক করে। পরে ফিশিং ট্রলার ও জেলেদের কলকাতার ফ্রেজারগঞ্জ কোস্টগার্ড ঘাঁটিতে নিয়ে যাওয়া হয়। গত বৃহস্পতিবার আটকদের ভারতের কাকদ্বীপ আদালতে হাজির করা হলে আদালত জেলেদের মধ্যে থাকা ৫ কিশোরকে সেইফহোমে ও বাকি ৮৩ জন জেলেকে জলসীমা অতিক্রম সংশ্লিষ্ট আইনে ১৪ দিনের সাজা প্রদান করে। বর্তমানে তারা কার্তিক মহুকুমা জেলখানায় রয়েছে।
ভারতে আটক হওয়া ফিশিং ট্রলারগুলোর একটির মালিক মহেশখালী উপজেলার কুতুবজোম ইউনিয়নের ঘটিভাঙ্গা গ্রামের রশিদ মিয়ার পুত্র মোহাম্মদ সাজ্জাদুল ইসলাম। তার মালিকানাধীন ট্রলারটির নাম এফবি শাহ-আমানত। তবে ভারতীয় গণমাধ্যমে ওই ট্রলারটিকে এফবি ফাতেমা নামে উল্লেখ করা হয়েছে। যার রেজি. নং ৬৩২৩। তিনি জানান, গত ১০ ফেব্রুয়ারি তার ফিশিং ট্রলারটি মহেশখালীর ঘটিভাঙ্গা ঘাট থেকে সাগরে রওনা হয়। গতকাল শুক্রবার ভারতের অমিত মন্ডল নামের এক গণমাধ্যম কর্মী ট্রলার মালিক সাজ্জাদুলকে ফোনের মাধ্যমে ট্রলারসহ জেলেদের আটকের বিষয়টি নিশ্চিত করেন। এ বিষয়ে সাজ্জাদুল ইসলাম মহেশখালী থানায় একটি জিডি করে আইনানুগ সহায়তার আবেদন করেন। ভারতে আটককৃত ফিশিং ট্রলারের মধ্যে এফবি আল রাফি ও এফবি সোনার মদিনা নামে বাঁশখালী ও কুতুবদিয়ার আরো দুটি ট্রলার রয়েছে বলে জানা গেছে।
মহেশখালী থানার ওসি আব্দুল হাই বলেন, কুতুবজোম ইউনিয়নের এফবি শাহ আমানত নামের একটি ফিশিং ট্রলার ২৭ জেলেসহ ভারতীয় কোস্ট গার্ড বাহিনী কর্তৃক আটকের বিষয়ে জেলেদের নাম-ঠিকানাসহ মহেশখালী থানায় লিখিতভাবে অবহিত করেছেন। বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।