হেমন্তের সন্ধ্যায় তার চলে যাওয়ার পথের ধূলায়,
অনুরক্ত অনুরাগ লুটোপুটি খায় শিউলির কমলা আভায়;
গেরুয়া নদীর পাড় ঘেঁষে হলুদ পাতারা ঝরে যায়;
বিষাদের নীরব কান্নায়!
নিঃস্বতার নিঃশ্বাসের ভীড়ে, পাঁজরের ধ্বনি গুচ্ছ পুড়ে,
মিশে যায় ধোঁয়া ধোঁয়া কুয়াশায়!
লুকোনো মায়ারা লুকোচুরি খেলে ছাতিমের পড়ন্ত ছায়ায়;
তার গন্ধ টের পাই!
অবসাদের নির্জন উদ্যানে অর্ধেক আলো পড়ে,
বাকিটা লুকানো থাকে মেঘের ভেতর আবছায়ায়!
ক্ষতের আড়ালে অনিবার্য আর্তিটুকু ঢেকে যায় ব্যঞ্জনায়;
নি:সঙ্গের গূঢ় আঁধারে, তীব্র সুন্দর ভুলগুলো বিদ্রুপ করে ;
দুচোখ ভেসে যায় নীরব কান্নায়,
লেপ্টে যাওয়া কাজলে তার স্পর্শ খুঁজে বেড়াই!
স্বপ্নগুলো তবুও রোজ রাতে জোনাকি হয়ে উড়ে,
নিবিড় উষ্ণতায়!
খসে পড়ে মোহ
পুরুষ্টু ভালোবাসার অবদমিত হাহাকার শুধু রয়ে যায়,
শপথের মালা গলায়, তার ফেরার প্রত্যাশায়!