তারেক-জোবায়দার মামলায় এক দিনে ৫ জনের সাক্ষ্য

| সোমবার , ৫ জুন, ২০২৩ at ৫:৫৪ পূর্বাহ্ণ

খালেদা জিয়ার ছেলে তারেক রহমান এবং পুত্রবধূ জোবায়দা রহমানের বিরুদ্ধে অবৈধ সম্পদের মামলায় আরও পাঁচজন সাক্ষ্য দিয়েছেন। গতকাল রোববার ঢাকার মহানগর জ্যেষ্ঠ বিশেষ জজ মো. আছাদুজ্জামানের আদালতে তারা সাক্ষ্য দেন বলে দুদকের আইনজীবী মোশাররফ হোসেন কাজল জানিয়েছেন। তারা হলেনসোনালী ব্যাংক নৌ সদরদপ্তর শাখার ব্যবস্থাপক খন্দকার শহিদুর রহমান, ইন্টারন্যাশনাল ট্রাভেল কর্পোরেশনের চেয়ারম্যান সেলিম ভূঁইয়া, ওই কোম্পানির ব্যবস্থাপক (অ্যাকাউন্টস অ্যান্ড অ্যাডমিনিস্ট্রেশন) শহীদুল ইসলাম, ব্যবস্খাপক (বিপণন) এ কে এম হামিদুর রহমান এবং ঢাকা জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের প্রকাশনা শাখার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জেসমিন আক্তার। এ নিয়ে অভিযোগপত্রভুক্ত ৫৭ সাক্ষীর মধ্যে ১৫ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ শেষ হল। খবর বিডিনিউজের। ১৬ বছর আগের এই মামলায় গত ২১ মে বাদী দুদকের উপপরিচালক জহিরুল হুদা সাক্ষ্য গ্রহণের মধ্য দিয়ে বিচার শুরু হয়। এর আগে বিএনপি সমর্থক আইনজীবীরা বিক্ষোভও দেখিয়েছিল আদালত অঙ্গনে। তার পাল্টায় আওয়ামী লীগ সমর্থকরাও সরব হলে ব্যাপক হট্টগোল হয়। তাতে একদিন বিচারকের এজলাস ছেড়ে যাওয়ার ঘটনাও ঘটেছিল। গতকাল রোববারও আদালত প্রাঙ্গণে বিএনপির আইনজীবীরা বিক্ষোভ মিছিল করেন। আদালতে সাক্ষ্য চলাকালে বিকাল ৩টার দিকে মিছিল নিয়ে ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালতের সামনে অবস্থান নেন জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের নেতারা। কিছুক্ষণ পর তারা আদালতের সিঁড়িতে অবস্থান নিয়ে সংক্ষিপ্ত সমাবেশে করেন।

সেনা নিয়ন্ত্রিত তত্ত্বাবধায়ক সরকার আমলে তারেক গ্রেপ্তার থাকা অবস্থায় ২০০৭ সালের ২৬ সেপ্টেম্বর ঢাকার কাফরুল থানায় মামলাটি করেন দুদকের তৎকালীন উপপরিচালক জহিরুল হুদা। তিনি সমপ্রতি আদালতে সাক্ষ্য দিয়ে গেছেন। মামলায় অভিযোগ করা হয়, তারেক ও জোবায়দার ঘোষিত আয়ের বাইরে ৪ কোটি ৮১ লাখ ৫৩ হাজার ৫৬১ টাকার অবৈধ সম্পদ রয়েছে। মামলায় জোবায়দার মা ইকবাল মান্দ বানুকেও আসামি করা হয়েছিল। ২০০৮ সালে তিনজনের বিরুদ্ধেই অভিযোগপত্র জমা দেওয়া হয় আদালতে।

পূর্ববর্তী নিবন্ধকুতুবদিয়ায় পুকুরে ডুবে ১ শিশুর মৃত্যু, ২ শিশু হাসপাতালে ভর্তি
পরবর্তী নিবন্ধযুবলীগ নেতার মাথায় পিস্তল ঠেকানো খোকন গ্রেপ্তার