তাজউদ্দিন আহমদ : সময়ের সাহসী, বিচক্ষণ কিন্তু নিঃসঙ্গ শেরপা

কানাই দাশ

| বৃহস্পতিবার , ১১ ডিসেম্বর, ২০২৫ at ৮:১২ পূর্বাহ্ণ

এদেশের প্রথম প্রধানমন্ত্রী, নয় মাসের ঘটনাবহুল সশস্ত্র মুক্তিযুদ্ধের প্রধান নেতা, সমকালীন রাজনৈতিক পরিমন্ডলের আত্ম নিবেদিত, প্রাজ্ঞ, প্রখর বুদ্ধিদীপ্ত ও দূরদর্শী এক ক্ষণজন্মা নেতা, এদেশের ইতিহাসের সবচে গৌরবোজ্জ্বল সময় ১৯৬৬-’৭১ কালপর্বের তথা এদেশের জাতীয় মুক্তি সংগ্রামের অন্যতম প্রধান রূপকার শহীদ তাজউদ্দিন আহমদের জন্মের শতবর্ষ পূর্ণ হল এ বছর। এদেশের অন্যতম প্রধান স্থপতির জন্মশতবর্ষ এক রকম নীরবে পেরিয়ে গেল। ‘নিরপেক্ষ’ মিডিয়া, বামডান কোন রাজনৈতিক দল কেউ কোথাও টু শব্দটি উচ্চারণ করল না।

গাজীপুরের কাপাসিয়ার দরদরিয়া গ্রামে ১৯২৫ সালে তাজউদ্দিন আহমদ জন্মগ্রহণ করেন। ছোট বেলা থেকেই তিনি ছিলেন মেধাবী ও বুদ্ধিদীপ্ত। ১৯৪৫ সালে প্রবেশিকা পরীক্ষায় মেধাতালিকায় তিনি স্থান পান। পরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অর্থনীতিতে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি লাভ করেন। তখন থেকে তিনি রাজনীতিতে সক্রিয় ও সচেতন ছিলেন। আওয়ামী মুসলিম লীগের প্রতিষ্ঠা লগ্ন থেকে তিনি এর নেতৃস্থানীয় সংগঠক ছিলেন। ১৯৫৪, ১৯৭০ ও ১৯৭৩ এ দেশে পর পর অনুষ্ঠিত তিনটি সাধারণ নির্বাচনে অংশগ্রহণ করে তিনি জয়ী হন মানুষের স্বতঃস্ফূর্ত সমর্থন, স্নেহ ও শ্রদ্ধায়। পরবর্তী নির্বাচন পর্যন্ত ’৭৫ এর ঘাতকরা তাঁকে জীবিত রাখেনি। তাঁর জন্মশত বার্ষিকী উপলক্ষে এই লেখা শুরু করতে গিয়ে মনে পড়ল এবছর তাঁর মৃত্যুর ৫০ বছর পূর্ণ হলো। ১৯৭৫ এর এই নভেম্বরে জেলের অভ্যন্তরে তাঁকে নির্মম ভাবে হত্যা করা হয়।

অন্য তিন জনের প্রতি যথোপযুক্ত শ্রদ্ধা রেখেও বলা যায় ‘চার জাতীয় নেতা’ বাক্য বন্ধে তাঁকে ব্র্যাকেটবন্দী করে তাঁর প্রকৃত স্বরূপের অবমূল্যায়নই করা হয়। তিনি ছিলেন চিন্তায় মননে উদার, সত্য উচ্চারণে সাহসী, একজন সৎ, ত্যাগী ও বিচক্ষণ রাজনীতিবিদ অথচ যথার্থ অর্থে সময়ের এক নিঃসঙ্গ শেরপাইতিহাসের ট্র্যাজিক নায়ক। অন্যরা চুপ থাকলেও মন্ত্রীসভার গুরুত্বপূর্ণ সদস্য হিসাবে নানা বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধুর মতের সাথে প্রকাশ্যেই তিনি দ্বিমত পোষণ করতেন, তর্ক করতেন কিন্তু তিনি ছিলেন তাঁর অকৃত্রিম শুভাকাঙ্ক্ষী যা তিনি জীবন দিয়ে প্রমাণ করেছেন। কিন্তু স্বজনদের প্ররোচনায় বঙ্গবন্ধু তাঁকে ভুল বুঝেছেন। অভিমানাহত, সংবেদনশীল আত্মমর্যাদাসম্পন্ন তাজউদ্দিন ‘মুজিব ভাইকে’ কিছু বলতেন না। বস্তুত তিনি ছিলেন পরিস্থিতির নির্মম শিকার। মুক্তিযুদ্ধ চলাকালীন সময়ে যেমন মোস্তাকশেখ মণিদের চক্রান্ত মোকাবেলা করেছেন দৃঢ়তার সাথে তেমনি ১৯৭২ সাল থেকে দলের বিভিন্ন স্তরের নেতাকর্মীদের আচরণ, কর্মকাণ্ড ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বিরোধী আপসকামী রাজনৈতিক গতি প্রবণতা দেখে বিজয়ের অনতিকালের মধ্যেই তিনি বিজিতের হিংস্র প্রতিশোধ স্পৃহার উৎকট অট্টহাসি যেন শুনতে পাচ্ছিলেন তাঁর তীক্ষ্ণধী, স্পর্শকাতর রাজনৈতিক উপলব্ধির মাধ্যমে এবং তা অধ্যাপক আনিসুজ্জামানের মত ঘনিষ্ঠ সুহৃদদের কাছে প্রকাশও করতেন। ’৭২ সাল থেকেই কোন রাষ্ট্রীয় বিষয়ে তাঁর নিয়ন্ত্রণ ছিল না। মুক্তিযুদ্ধের আদর্শ বিরোধী অনৈতিক ও বৈরী প্রতিকারহীন এক পরিস্থিতির অসহায় শিকার হচ্ছিলেন তিনি মানসিকভাবে ও বাস্তব কাজে। আসন্ন এক বিপর্যয়ের আশঙ্কায় তিনি তখন ভীষণ অস্থিরতায় ভুগছিলেন। শেষ পর্যন্ত মোস্তাককে রেখে তাঁকে মন্ত্রিসভা থেকে পদত্যাগের নির্দেশ দেন বঙ্গবন্ধু। বস্তুত সেদিন তিনি নিজের মৃত্যু পরোয়ানায় স্বাক্ষর করেছিলেন বলে আমার দৃঢ় বিশ্বাস। এর মধ্য দিয়েই সৃষ্ট গত ৫৪ বছরে ক্রমাবনতিশীল পরিস্থিতিতে এদেশ শেষ পর্যন্ত আজ মুক্তিযুদ্ধ বিরোধীদের হাতে চলে গেছে। শেখ মণির পরামর্শে ও বঙ্গবন্ধুর একক সিদ্ধান্তে বাকশাল গঠনের পরে তিনি নিশ্চিত হয়েছিলেন যে দেশ এক নির্মম পরিণতির দিকে এগিয়ে চলেছে। শুধু সখেদে বার বার বলেছেন মুজিব ভাই শত্রু মিত্র চিনলেন না। ’৭৫ এর ২২ আগস্ট তাঁকে গ্রেপ্তার করে নিয়ে যাবার সময় সৈয়দা জোহরা তাজউদ্দিনের কতদিন জেলে থাকতে হতে পারে এমনি এক প্রশ্নের জবাবে নির্লিপ্তভাবেই সরাসরি বলেছিলেন take it forever”। অপরিমেয় ত্যাগের বিনিময়ে অর্জিত বিজয়ের নিষ্কলুষ এক নায়কের এ মর্মন্তুদ সত্য উচ্চারণ যেন পৃথিবীর সব ট্র্যাজিক নায়কের সকরুণ আর্তি ছাড়িয়ে যায় অথচ তিনি তখন ক্ষমতার রাজনীতি থেকে দূরে যাপন করছিলেন নিঃসঙ্গ এক জীবন, কিন্তু নিশ্চিত ছিলেন ক্ষমতা ও দল থেকে দূরে থাকলেও সে সময়ে বঙ্গবন্ধুর রক্তের উপর দিয়ে ক্ষমতাসীন হওয়া পাকমার্কিন এজেন্ট ও চাটুকার মোস্তাক তাঁকে জীবিত রাখবে না। জেলখানায় তিনি শুধু আসন্ন মৃত্যুর প্রহর গুণছিলেন আর লিখছিলেন মুক্তিযুদ্ধের ৯ মাসের ইতিহাস। জাতির দুর্ভাগ্য তাঁর লেখা মুক্তিযুদ্ধের সেই অমূল্য সত্য ইতিহাসও হারিয়ে গেছে তাঁর দলের কতক স্বার্থপরদের চক্রান্তে।

লেনিনট্রটস্কি, মাওসেতুংচৌএনলাই, গান্ধীনেহেরু এর মত মুজিবতাজউদ্দিন ছিলেন ১৯৬৪– ’৭১এর ২৫ মার্চ পর্যন্ত এ দেশের ইতিহাসে এক অনন্যসাধারণ রাজনৈতিক জোড়। সেই জোড় যতদিন নির্বিঘ্ন ছিল কোন বৈরী শক্তি এর সামনে টিকতে পারেনি। গভীর দেশপ্রেম, মেধা, সততা, জনপ্রিয়তা ও অদম্য সাহসের প্রতীক ছিল এ জোড়। ১৯৬৪ সাল থেকে নানা চড়াই উৎরাই পেরিয়ে, জেল জুলম ভোগ করে দেশকে পাকিস্তানি ভাবাদর্শের বিপরীতে এগিয়ে নিতে গণমানুষের অকুণ্ঠ সমর্থনে তাঁরা এগুচ্ছিলেন এবং জানতেন গণআকাঙ্ক্ষা বাস্তবায়নে বাধা আসবে এবং শেষ পর্যন্ত দেশকে পাকিস্তানি শাসনের নিগড়মুক্ত এক স্বাধীন দেশে রূপান্তরের চূড়ান্ত কর্মসূচি ও সংগ্রামের প্রস্তুতিও তাঁরা নিজেদের মত করে নিচ্ছিলেন। সে লক্ষ্যেই ’৬৬ সালে ৬ দফা দাবী পেশ করা হয় আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে। এর ফলে পাকিস্তানি শাসকগোষ্ঠীর মধ্যে তীব্র প্রতিক্রিয়া দেখা দেয়। এ দিকে সব বাধা অতিক্রম করে বঙ্গবন্ধু ও তাজউদ্দিন মাঠে নেমে পড়েন ও সারা দেশে ৬ দফাকে মানুষের বাঁচার দাবী হিসাবে তুলে ধরে জনমত গড়ে তুলতে দেশব্যাপী একের পর এক জনসভা করে মানুষকে উদ্দীপ্ত করতে থাকেন। ইতোমধ্যে তাঁদের বার বার গ্রেপ্তার করা হলেও ’৬৮ সালে শেখ মুজিবকে আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলার প্রধান আসামী হিসাবে গ্রেপ্তার করা হয়। কিন্তু ’৬৯ এর ছাত্রগণ অভ্যুত্থান দেশের দৃশ্যপট পাল্টে দেয় এবং শেখ মুজিবকে আইয়ুব সরকার নিঃশর্তে মুক্তি দিতে বাধ্য হয়। সব দলকে ছাড়িয়ে বাঙালি জাতীয়তাবাদের এক সর্বজনীন আবেগ ও পূর্বপশ্চিম বৈষম্যের বিরুদ্ধে স্লোগান নিয়ে আওয়ামী লীগ তখন দেশের বৃহত্তম রাজনৈতিক শক্তিতে পরিণত হয়। ১৯৭০ এর জাতীয় পরিষদ নির্বাচনে ন্যাপ সিপিবির সমর্থনে আওয়ামী লীগের ভূমিধস বিজয়ের মাধ্যমে মুক্তিযুদ্ধের পটভূমি তৈরি হয়ে যায়।

২৫ মার্চ পূর্ব সিদ্ধান্ত অনুযায়ী পাকিস্তান সেনাবাহিনীর আক্রমণের মুখে বঙ্গবন্ধুসহ আত্মগোপনে ও অজ্ঞাত স্থানে গিয়ে স্বাধীনতার আনুষ্ঠানিক ঘোষণা ও মুক্তিযুদ্ধ পরিচালনার পরিকল্পনা সফল হয়নি। মৃত্যুর সম্ভবনা থাকা সত্ত্বেও বঙ্গবন্ধু আত্মগোপনে যেতে বা পলাতক হিসাবে চিহ্নিত হতে রাজী হননি বরং তিনি পাক বাহিনীর মুখোমুখি হতে চেয়েছিলেন। তাজউদ্দিন কিন্তু এতে কিংকর্তব্যবিমূঢ় হয়ে পড়েন কেননা তিনি ঠিকই আঁচ করতে পেরেছিলেন যে বঙ্গবন্ধুর অনুপস্থিতিতে যুদ্ধকালীন সরকার গঠন, যুদ্ধ পরিচালনা, আন্তর্জাতিক সমর্থন ইত্যাদি অতি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে দলে মতানৈক্য ও বিভক্তি দেখা দেবে যা শেষ পর্যন্ত মুক্তিযুদ্ধকে সংকটে ফেলবে এবং হয়েছেও তাই। শেখ মণির নেতৃত্বে ছাত্র যুবদের তাজউদ্দিন বিরোধিতা, মোস্তাকমিজানদের পাক মার্কিন প্রীতি পুরো মুক্তিযুদ্ধেকে এক অনিশ্চিত গন্তব্যে নিয়ে যাবার সমূহ সম্ভাবনা তৈরি করেছিল।

এমতাবস্থায় তিনি রাজনৈতিক জীবনের এক কঠিন অবস্থায় পড়েন কিন্তু তাজউদ্দিন স্বীয় প্রজ্ঞা, মর্যাদা, দূরদর্শিতা, একাগ্রতা, নিঃস্বার্থপরতা ও সাংগঠনিক প্রতিভা দিয়ে সমস্ত চক্রান্ত অতিক্রম করে যান। একদিকে খন্দকার মোস্তাকের পাকিস্তানের সাথে আপোষের প্রস্তাব নিয়ে ভারতের মার্কিন দূতাবাসের সাথে যোগাযোগ, অন্যদিকে শেখ মনি ও সিরাজুল আলম খানের নেতৃত্বে রাজ্জাক তোফায়েল সহ বলতে গেলে প্রায় পুরো যুব নেতৃত্বের ‘তাজউদ্দিন হঠাও’ এই ইস্যুতে তৎপরতা ও ভারত সরকারের ডানপন্থী একটি অংশের সহায়তায় কৌশলে ইন্দিরার সমর্থন আদায় করে আলাদা মুজিব বাহিনী গঠন ও প্রবাসী সরকার বিরোধী সমান্তরাল সামরিক বেসামরিক তৎপরতা মুক্তিযুদ্ধের ভবিষ্যত ও সাফল্যকে অনিশ্চিত করে তুলে। তাজউদ্দিন ধৈর্য ও প্রজ্ঞার সাথে ভারত সরকারের সহযোগিতায় তা সামলে নেন। মুক্তিযুদ্ধের পরে বঙ্গবন্ধুর উপস্থিতিতে তা ভিন্নমাত্রা লাভ করে এবং শেখ মণির প্ররোচনায় তাতে শেখ হাসিনা এবং বেগম মুজিব সহ মুজিব পরিবার জড়িত হয়ে পড়ে। এজন্য নয় মাসের ঘটনাবলী নিয়ে বিভ্রান্ত বঙ্গবন্ধুর প্রবাসী সরকারের কারো কাছ থেকে কোন দিন কিছুই জানতে চাননি। এ ক্ষেত্রে তিনি মানবিক সীমাবদ্ধতার ঊর্ধ্বে উঠতে পারেননি। মুক্তিযুদ্ধের সময় বিশেষজ্ঞদের দিয়ে তৈরি সমাজতন্ত্রমুখীন দেশ গঠনের লক্ষ্যে প্রণীত তাজউদ্দিনের ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা পরিত্যক্ত হয়।

মুক্তিযোদ্ধাদের দ্রুত পুনর্বাসন, দল ও সরকারের সবস্তরে পাকিস্তানি ভাবাদর্শের লোকদের অপসারণ, দুর্নীতির মূলোচ্ছেদ, প্রগতিশীল রাজনৈতিক অর্থনীতি চালু, জাতীয় ঐক্য প্রতিষ্ঠা, দেশ পুনর্গঠনে মানুষের স্বতোৎসারিত গণজাগরণ তৈরি করে আমেরিকা সহ মুক্তিযুদ্ধের দেশিবিদেশি প্রত্যক্ষ বিরোধিতাকারীদের মোকাবিলা করা, মুক্তিযুদ্ধের ভাবাদর্শিক প্রশাসন গড়ে তোলা, তাজউদ্দিনের পরিকল্পনার এ সবের কোনটাই বঙ্গবন্ধু আমলে নেননি। এতে করে দ্রুত দলে, সমাজে, প্রশাসনে, সেনাবাহিনীতে নানা মাত্রিক দ্বন্দ্ব শুরু হয়। ফলে ’৭৫ এর রক্তাক্ত পট পরিবর্তন ঘটে ও মুক্তিযুদ্ধ বিরোধী ধর্মান্ধ রাজনীতি সামাজিক ভিত্তি অর্জন করে।

আশঙ্কা থাকার পরেও ১৫ আগস্টের নির্মম হত্যাকাণ্ডে তিনি মুষড়ে পড়েন। ৩ নভেম্বর নিজের জীবন দিয়ে তিনি মাতৃভূমির ঋণ স্বীকার করলেন। প্রমাণ করলেন বঙ্গবন্ধু ভুল বুঝলেও তিনি আন্তরিকভাবে বঙ্গবন্ধু ও বাংলাদেশকে প্রগতির পথে এগিয়ে নিতে চেয়েছিলেন। আজ মনে হয় তাজউদ্দিনের মত স্থিতধী, বিচক্ষণ, বিরল গুণসম্পন্ন রাজনৈতিক নেতার প্রকৃত মূল্যায়ন তাঁর আত্মত্যাগের পূর্বাপর সময়ে হয়নি। ’৯০ এর দশক থেকে অধঃপতিত আওয়ামী লীগ তাজউদ্দিনকে বিস্মৃতির অতলে নিক্ষেপ করে। বিগত হাসিনা সরকার স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীর উৎসবে স্বাধীন দেশের প্রথম প্রধানমন্ত্রী, সশস্ত্র মুক্তিযুদ্ধের এই কাণ্ডারীর নাম পর্যন্ত উল্লেখ করার শালীনতা দেখায়নি। তাঁর জন্মশতবর্ষের এই দুর্বিনীত দুঃসময়ে তিনি যে উপেক্ষিতই হবেন এতে তো অবাক হবার কিছু নেই। ইতিহাস কাউকে ক্ষমা করেনা। এই মহান নেতার জন্মশতবর্ষে তাঁর প্রতি জানাই গভীর শ্রদ্ধা।

লেখক: প্রাবন্ধিক, কলামিস্ট, অবসরপ্রাপ্ত কলেজ শিক্ষক।

পূর্ববর্তী নিবন্ধটার্মিনাল হস্তান্তর এবং বাংলাদেশের লাভক্ষতি
পরবর্তী নিবন্ধরাঙ্গুনিয়ায় ইসলামপন্থী ৮ দলীয় জোটের তিন প্রার্থী একই মঞ্চে