তাইওয়ানের উপকূলে চীনের ক্ষেপণাস্ত্র ও রকেট নিক্ষেপ

| শুক্রবার , ৫ আগস্ট, ২০২২ at ৬:৪৯ পূর্বাহ্ণ

মার্কিন প্রতিনিধি পরিষদের স্পিকার ন্যান্সি পেলোসির তাইওয়ান সফরের একদিন পরেই ক্ষিপ্ত চীন দ্বীপটির উপকূল-জুড়ে যে সামরিক মহড়া শুরু করেছে তাতে রকেট এবং ব্যালিস্টিক মিসাইলসহ তাজা গোলাবারুদ ব্যবহার করা হচ্ছে। তাইওয়ানের সবচেয়ে কাছে সমুদ্রের যে এলাকায় রকেট নিক্ষেপ করা হয়েছে তা এই দ্বীপটি থেকে মাত্র ১২ মাইল দূরে।

স্বশাসিত এই দ্বীপটিকে ঘিরে চীন ওই অঞ্চলে এর আগে কখনো এতো বড় সামরিক মহড়া চালায় নি। চীনের রাষ্ট্রীয় মাধ্যমে যেসব ফুটেজ প্রচার করা হচ্ছে তাতে মহড়ায় যুদ্ধবিমান, রণতরী এবং ভূমি থেকে নিক্ষেপ করা হয় এরকম সমরাস্ত্র ব্যবহার করতে দেখা যাচ্ছে।

তাইওয়ান বলছে, তাদের উত্তর-পূর্ব এবং দক্ষিণ-পশ্চিম উপকূলের আশেপাশে চীন বেশ কয়েকটি ব্যালিস্টিক মিসাইল নিক্ষেপ করেছে। এর জবাবে তাইওয়ান তাদের প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা সক্রিয় করে রেখেছে।

তাইপে বলছে, তারা পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছে। তাইওয়ানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলছে, তাদের এতো কাছে সমুদ্রে ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করে চীন ‘উত্তর কোরিয়াকে অনুকরণ’ করছে। এক বিবৃতিতে তারা বলেছে, চীনের এই মহড়া তাইওয়ানের নিরাপত্তাকে হুমকির মুখে ফেলে দিয়েছে এবং এই দ্বীপের ‘স্বাধীনতা ও গণতন্ত্রকে’ রক্ষায় এগিয়ে আসার জন্য তারা অন্যান্য দেশগুলোর প্রতি আহ্বান জানিয়েছে। তারা এই সামরিক মহড়ার তীব্র নিন্দা করে বলেছে, এটি ‘অযৌক্তিক তৎপরতা এবং এর ফলে আঞ্চলিক শান্তি ঝুঁকির মুখে পড়েছে।’ তাইওয়ানের অভিযোগ, এই সামরিক মহড়ার মাধ্যমে চীন দ্বীপটিকে অবরোধ করে ফেলার চেষ্টা করছে। এর ফলে কোনো জাহাজ ও বিমান তাইওয়ানে ঢুকতে এবং বের হতে পারছে না। তাইওয়ান প্রণালীর এমন সব জায়গায় চীনা এই মহড়া চলছে যা বিশ্বের ব্যস্ততম সমুদ্রপথ যেখানে দিয়ে প্রতিদিন বহু জাহাজ চলাচল করে। তাইওয়ান বলছে এই অবরোধ তাদের সার্বভৌমত্বের লঙ্ঘন।

এদিকে চীনের রাষ্ট্রীয় সংবাদ মাধ্যমে সামরিক বিশ্লেষকরা বলছেন, তাইওয়ানকে শক্তি-প্রয়োগের মাধ্যমে চীনের মূল ভূখণ্ডে ফিরিয়ে আনার সম্ভাব্য সামরিক অভিযানের অনুশীলন হিসেবে দেখা হচ্ছে। বেইজিং চায় দ্বীপটি আবার চীনের নিয়ন্ত্রণে চলে যাক।

পূর্ববর্তী নিবন্ধ‘এক চীন’ নীতিতে সমর্থন দিয়ে বাংলাদেশ বলল সংলাপই সমাধান
পরবর্তী নিবন্ধপাহাড়তলীতে পুকুর ভরাট করায় পরিবেশের মামলা