তরুণ শিক্ষার্থীদের হাত ধরেই এগিয়ে যাবে স্মার্ট বাংলাদেশ

২৪ পদাতিক ডিভিশনের অনুষ্ঠানে জেলা প্রশাসক

আজাদী প্রতিবেদন | শুক্রবার , ২৬ মে, ২০২৩ at ৫:১৬ পূর্বাহ্ণ

বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ২৪ পদাতিক ডিভিশনের আয়োজনে চট্টগ্রাম সেনানিবাস মিলনায়তনে গতকাল ‘স্মার্ট বাংলাদেশ’ ও ‘স্মার্ট চট্টগ্রাম’ বাস্তবায়ন সংক্রান্ত অবহিতকরণ সভা অনুষ্ঠিত হয়। ২৪ পদাতিক ডিভিশনের জেনারেল কমান্ডিং অফিসারের (জিওসি) আমন্ত্রণে প্রধান আলোচক হিসেবে জেলা প্রশাসক আবুল বাসার মোহাম্মদ ফখরুজ্জামান ‘স্মার্ট চট্টগ্রাম’ বিনির্মাণে সরকারিবেসরকারি দপ্তরের ভূমিকা এবং জেলা প্রশাসনের কর্মপরিকল্পনা উপস্থাপন করেন।

তিনি স্মার্ট বাংলাদেশের তিনটি মূলনীতিক্যাসলেস, পেপারলেস, প্রেজেন্সলেস ব্যবস্থা এবং চারটি পিলার স্মার্ট সিটিজেন, স্মার্ট গভর্নমেন্ট, স্মার্ট সোসাইটি ও স্মার্ট ইকোনমি বিষয়ে রূপকল্প ২০৪১ অর্জনে লক্ষ্যমাত্রা নিয়ে আলোচনা করেন। স্মার্ট বাংলাদেশ বাস্তবায়নে আর্টিফিশিয়াল ইন্টিলিজেন্স, আইওটি, ক্লাউড কম্পিউটিং, ব্লক চেইন, ন্যানো প্রযুক্তি কিভাবে ব্যবহার করা যায় তার সংক্ষিপ্ত ধারণা প্রদান করেন। স্মার্ট সরকারি সেবা, স্মার্ট ভূমি ব্যবস্থাপনা, স্মার্ট বিচার ও আইনশৃঙ্খলা, স্মার্ট সামাজিক সুরক্ষা, স্মার্ট স্বাস্থ্যসেবা, স্মার্ট শিক্ষা ও পরিবহন ব্যবস্থা নিয়েও ধারণা প্রদান করেন। চট্টগ্রামেই প্রথম ‘স্মার্ট আশ্রয়ন’ বাস্তবায়নে পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে, এ লক্ষ্যে পটিয়া উপজেলায় হাইদগাঁও আশ্রয়নকে নির্বাচন করে সোলার প্যানেল, ট্যাপড ওয়াটার, পুকুর খনন, বৃষ্টির পানি সংরক্ষণ, সবুজায়ন, বর্জ্য ব্যবস্থাপনা, শতভাগ স্যানিটেশনসহ প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেয়া হচ্ছে বলে তিনি জানান। এ ছাড়াও জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে ‘স্মার্ট চট্টগ্রাম বেস্ট আইডিয়া অ্যাওয়ার্ড’ প্রতিযোগিতার আয়োজন, সকল বিদ্যালয়ে রোবোটিঙ ক্লাব গঠন, স্মার্ট চট্টগ্রাম বেস্ট আইডিয়া অ্যাওয়ার্ড প্রতিযোগিতার আয়োজন, প্রাপ্ত আইডিয়া/প্রকল্পসমূহ নিয়ে স্মার্ট চট্টগ্রাম শোকেসিং ও উৎসব আয়োজন করা হবে। জেলা প্রশাসক বলেন, ‘স্মার্ট চট্টগ্রাম’ বাস্তবায়ন করতে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করার সুযোগ রয়েছে। তিনি চট্টগ্রাম সেনানিবাসের কর্মকর্তাদের স্মার্ট বাংলাদেশ বাস্তবায়নের গুরুত্ব ও ব্যাপ্তি ব্যাপকভাবে প্রচারের অনুরোধ করেন। উপস্থিত শিক্ষার্থীদের জ্ঞান ও আইটিবেইসড পড়াশোনার উপর গুরুত্ব দেয়ার অনুরোধ করে জেলা প্রশাসক বলেন, আজকের তরুণ শিক্ষার্থীদের হাত ধরেই এগিয়ে যাবে স্মার্ট বাংলাদেশ।

সভার প্রধান অতিথি, ২৪ পদাতিক ডিভিশনের জিওসি ও এরিয়া কমান্ডার মেজর জেনারেল মিজানুর রহমান শামীম ‘স্মার্ট বাংলাদেশ’ বাস্তবায়নের আওতায় ‘স্মার্ট চট্টগ্রাম বিনির্মাণে জেলা প্রশাসনের চমৎকার উদ্যোগের প্রশংসা করে আন্তরিক ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন। তিনি বলেন, স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার প্রস্তুতি শুরু হয় মূলত জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের হাত ধরে। স্বাধীনতার অব্যবহিত পরে বঙ্গবন্ধু চট্টগ্রামের বেতবুনিয়ায় প্রথম ভূউপগ্রহ কেন্দ্র স্থাপন করেন। প্রধানমন্ত্রী ঘোষিত স্মার্ট বাংলাদেশ বাস্তবায়নে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী সকল দপ্তরের সাথে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে কাজ করবে বলে তিনি দৃঢ় প্রত্যয় ব্যক্ত করেন। এ সময় চট্টগ্রাম সেনানিবাসের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা এবং ক্যান্টমেন্টন বোর্ড ও ক্যান্টনমেন্ট স্কুল এন্ড কলেজের শিক্ষার্থীগণ উপস্থিত ছিলেন। আলোচনা শেষে জেলা প্রশাসক উপস্থিত শিক্ষার্থীদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাব দেন। চট্টগ্রাম সেনানিবাসের জিওসি জেলা প্রশাসককে সম্মাননা স্মারক প্রদান করেন।

পূর্ববর্তী নিবন্ধবিনামূল্যের সোলার প্রকল্পে অনিয়ম তদন্তে কমিটি
পরবর্তী নিবন্ধবালি স্মারকে গুরুত্বের শীর্ষে বাংলাদেশের প্রস্তাবনা