আজাদী প্রতিবেদন
তদন্তকাজ নির্ধারিত সময়ের মধ্যে শেষ করার প্রতি সচেতন হওয়ার জন্য সংশ্লিষ্টদের নির্দেশ দিয়েছেন চট্টগ্রামের চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট কাজী মিজানুর রহমান। গতকাল বুধবার চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে অনুষ্ঠিত পুলিশ–ম্যাজিস্ট্রেসি কনফারেন্সে দেওয়া সভাপতির বক্তব্যে তিনি এ নির্দেশ দেন। ন্যায়বিচার নিশ্চিত ও মামলা দ্রুত নিষ্পত্তির লক্ষ্যে এ কনফারেন্স অনুষ্ঠিত হয়।
চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট বলেন, বিচারাধীন মামলার বিচার প্রক্রিয়া দ্রুত সম্পন্ন করার ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্টদের কার্যকর ভূমিকা পালন করতে হবে। থানার অফিসার ইনচার্জদের পেন্ডিং প্রসেসসমূহ ১ মাসের মধ্যে জারী করে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশনা দিয়ে চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট বলেন, দ্রুত ও দক্ষতার সাথে প্রতিবেদন দাখিলের পাশাপাশি মামলার সাক্ষী উপস্থাপন নিশ্চিত করতে হবে এবং তাদের নিরাপত্তা বিধানের ক্ষেত্রে কার্যকর ভূমিকা পালন করতে হবে।
কনফারেন্সে চট্টগ্রাম জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি মো. নাজিম উদ্দিন চৌধুরী চট্টগ্রাম আদালতের নিরাপত্তা বৃদ্ধি করতে সংশ্লিষ্ট সকলকে অনুরোধ করেছেন। মহানগর পিপি মো. মফিজুল হক ভূঁইয়া তার অফিসের সামনের বারান্দা থেকে সাম্প্রতিক চুরি হয়ে যাওয়া মামলার সিডি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেন।
কনফারেন্সে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট সরকার হাসান শাহরিয়ার, চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের স্পেশাল মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (যুগ্ম জেলা ও দায়রা জজ) তাহমিনা আফরোজ চৌধুরী, চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের স্পেশাল মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (যুগ্ম জেলা ও দায়রা জজ) মনীষা মহাজন, মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. আবু বকর সিদ্দিক, মো. আলমগীর হোসেন, কাজী শরীফুল ইসলাম, মোহাম্মদ মোস্তফা ও নুসরাত জাহান জিনিয়া।
আরো উপস্থিত ছিলেন, বিশেষ পুলিশ সুপার (পিবিআই–মেট্রো) নাঈমা সুলতানা, উপ–পুলিশ কমিশনার (প্রসিকিউশন) হুমায়ন কবির, অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট সৈয়দ মাহাবুবুল হক, ফরেনসিক মেডিসিনের চিকিৎসক ডা. খালেদ হাসান, টুরিস্ট পুলিশের বিশেষ পুলিশ সুপার হাসান ইকবাল চৌধুরী, অতিরিক্ত উপ–পুলিশ কমিশনার (ডিবি–উত্তর) শ্রীমা চাকমা, অতিরিক্ত উপ–পুলিশ কমিশনার ট্রাফিক (দক্ষিণ) মো. রবিউল ইসলাম, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (এডিসি–দক্ষিণ) মো. মাহামুদুল হাসান মামুন, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সিআইডি) সাইকুল আহমেদ, অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (প্রসিকিউশন) মো. মফিজ উদ্দিন ও অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার কাজী শাহাবুদ্দিন আহমেদসহ অন্যান্য অংশীজন।
কনফারেন্সে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাবৃন্দের চাহিদার প্রেক্ষিতে পূর্বের চেয়ে দ্রুত গতিতে মেডিকেল সনদ প্রদানের বিষয়ে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজের প্রতিনিধি ডা. জুনায়েদ আহমেদ যথাযথ পদক্ষেপ গ্রহণের আশ্বাস প্রদান করেন। মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. আলমগীর হোসেন তদন্তকার্যে আরো সচেতন হওয়ার উপর গুরুত্বারোপ করেন। অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট সরকার হাসান শাহরিয়ার ডিএনএ রিপোর্ট সঠিক সময়ে পাওয়ার বিষয়ে সংশ্লিষ্টদের দৃষ্টি আকর্ষণ করে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য মতামত ব্যক্ত করেন। পুলিশের প্রসিকিউশন বিভাগের উপ–পুলিশ কমিশনার হুমায়ুন কবির পুলিশ ম্যাজিস্ট্রেসি কনফারেন্স নিয়মিত আয়োজনের উপর গুরুত্বারোপ করেন। তিনি পুলিশ ও ম্যাজিস্ট্রেটদের সমন্বয়ে এমন কর্মশালার আয়োজনের মাধ্যমে দ্রুত ও মানসম্মত তদন্তকাজ সম্ভব মর্মে মতামত ব্যক্ত করেন।