আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, প্রহসন ও প্রতারণা বিএনপির অপরাজনীতির নীতি। তারা জনগণের সঙ্গে প্রতারণা করতে করতে নিজেরাই প্রতারণার গোলকধাঁধায় দিশেহারা।
গতকাল গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে তিনি এ কথা বলেন। বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের প্রহসনমূলক বিভ্রান্তিকর বক্তব্যের নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাতেই এই বিবৃতি প্রদান করা হয়। কাদের বলেন, কপটতা, শঠতা ও প্রতারণাপূর্ণ রাজনৈতিক কৌশলের জন্য জনগণ তাদের ওপর আস্থা হারিয়েছে। গণতন্ত্র, সংবিধান ও মানুষের ভোটাধিকার নিয়ে বার বার ছিনিমিনি খেলায় জনগণ তাদেরকে প্রত্যাখ্যান করেছে। খবর বাসসের।
তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ কখনো জনগণের সঙ্গে প্রতারণা করে নাই। আওয়ামী লীগ ও এদেশের জনগণের সম্পর্ক ঐতিহাসিক ভিত্তির ওপর প্রতিষ্ঠিত। আওয়ামী লীগ জনগণের কাছে যখন যে ওয়াদা করেছে তা বাস্তবায়ন করেছে। এ কারণে দেশের জনগণও বার বার আওয়ামী লীগকে ভোট দিয়ে ক্ষমতায় বসিয়েছে।
আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, তত্ত্বাবধায়ক সরকার নিয়ে মির্জা ফখরুল ইসলাম বরাবরের মতো ভাঙা রেকর্ড বাজিয়ে চলেছে। একমাত্র বিএনপি ও তাদের ঘিরে থাকা অগণতান্ত্রিক শক্তির কাছে তত্ত্বাবধায়ক সরকার লাইভ ইস্যু হলেও জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে গণতান্ত্রিক মূল্যবোধসম্পন্ন সকল মানুষের কাছে তত্ত্বাবধায়ক সরকার একটি ডেড ইস্যু।
তিনি বলেন, তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা নিয়ে আদালত অনেক আগেই ফয়সালা করে দিয়েছে। বিএনপি নেতৃবৃন্দ যতই আহাজারি করুক মৃত এ সত্তার জীবিত রূপ আর ফিরে আসবে না। আমরা স্পষ্ট ভাষায় বলতে চাই, এদেশের গণতান্ত্রিক মূল্যবোধের পাহারাদার অগণতান্ত্রিক কোনো ব্যবস্থা হবে না।
কাদের বলেন, ২০০৮ সালে জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিএনপি ১০ ভাগের বেশি আসন পায়নি। বিএনপি নেতারা সেই দুঃস্বপ্নের ট্রমা আজও কাটিয়ে উঠতে পারেনি। তাই তারা জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের আসন প্রাপ্তি নিয়ে পাগলের প্রলাপ বকছে। তিনি বলেন, এদেশের জনগণ তাদের ভবিষ্যৎ নিরাপদ করতে বার বার বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনার নেতৃত্বকে বেছে নিয়েছে। দেশবাসী জানে, সফল রাষ্ট্রনায়ক শেখ হাসিনার নেতৃত্বে পরিচালিত সরকার ধারাবাহিকভাবে ক্ষমতায় থাকলেই এদেশের উন্নয়ন ও অগ্রগতি অব্যাহত থাকবে।
তিনি বলেন, বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর সংলাপ নিয়ে উদ্ভট ও মনগড়া বক্তব্য রাখছেন। তারা যতদিন এদেশের গণতান্ত্রিক ধারাবাহিকতা ব্যাহত এবং নির্বাচন ও নির্বাচনী ব্যবস্থাকে প্রশ্নবিদ্ধ করার অপতৎপরতা থেকে বিরত না হবে ততদিন পর্যন্ত সংলাপের কোনো প্রশ্নই আসে না।
