ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে আক্রান্ত হয়েছেন ডাকসুর সাবেক ভিপি এবং বর্তমানে গণঅধিকার পরিষদের একাংশের সভাপতি নুরুল হক নুর। গতকাল বুধবার বিকেলে টিএসসির রাজু ভাস্কর্যের সামনে এই হামলায় নূরসহ ৩০–৩৫ জন আহত হয়েছেন বলে দলটির নেতারা জানিয়েছেন। হামলাকারী সরকার সমর্থক ছাত্রলীগের নেতা–কর্মী বলে দাবি করেছেন নুরের দলের নেতারা। খবর বিডিনিউজের।
এর আগে একটি মামলার আসামি ছাত্র অধিকার পরিষদের সভাপতি বিন ইয়ামিন মোল্লাকে বুধবার ভোররাতে নুরের হাতিরঝিল এলাকার বাসা থেকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। তবে এ বিষয়ে গোয়েন্দা পুলিশের আনুষ্ঠানিক কোনো ভাষ্য পাওয়া যায়নি।
ছাত্র অধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক আরিফুল ইসলাম আদীব বলেন, মঙ্গলবার রাত ২টায় নুরুল হক নুরের হাতিরঝিলের বাসার তালা ভেঙে ভেতরে ঢুকে ইয়ামিন মোল্লাকে তুলে নিয়ে যায় গোয়েন্দা পুলিশ। সে সময় বাসার সিসি ক্যামেরা ও হার্ডডিস্কও তারা নিয়ে যায়। বিন ইয়ামিন মোল্লা সাংগঠনিক বিষয়ে কথা বলার জন্য নুরের বাসায় অবস্থান করছিলেন। সেখান থেকে তাকে নিয়ে যাওয়া হয়।
এদিকে ছাত্র অধিকার পরিষদ বুধবার বিকেলে বিরোধী রাজনৈতিক দলের উপর হামলা–মামলা–হয়রানি বন্ধ, গুলিস্তানে মাদ্রাসা শিক্ষার্থী হাফেজ রেজাউল করিম হত্যা এবং বুয়েট শিক্ষার্থীদের আটকের প্রতিবাদে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসির সামনে সমাবেশ ডাকে। সেই সমাবেশে যোগ দিতে শাহবাগ থেকে মিছিল নিয়ে টিএসসির কাছাকাছি এলে হামলার শিকার হন নুর। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, একদল লাঠিসোঁটা নিয়ে হামলা চালায় নুরের মিছিলে। নূরকেও বেধড়ক পেটান হয়। এই পরিস্থিতিতে নূর ও তার সহযোগীরা দোয়েল চত্বর দিয়ে তারা ক্যাম্পাস থেকে বেরিয়ে যান। হামলায় নূরসহ ছাত্র অধিকার ও গণঅধিকার পরিষদের ৩০–৩৫ জন আহত হন বলে জানান সংগঠনটির ঢাকা মহানগরের অর্থ সম্পাদক মো. ইয়ামিন।
তিনি বলেন, আমরা মিছিল নিয়ে শাহবাগ থেকে রাজু ভাস্কর্যের দিকে আসতেছিলাম। রাজু ভাস্কর্যের সামনে আসা মাত্রই ছাত্রলীগ আমাদের উপর অতর্কিত হামলা চালায়। হামলায় আমাদের ৩০– ৩৫ জন আহত হয়েছে।