২০১৪–২০১৫ মৌসুমে ঢাকা প্রিমিয়ার লিগের চ্যাম্পিয়ন হওয়ার রেকর্ড আছে প্রাইম ব্যাংক ক্রিকেট ক্লাবের। ১০ বছর পর প্রাইম ব্যাংক কি আবারও ঢাকা লিগ বিজয়ী হবে? তার উত্তর দেবে সময়। তবে হোম অব ক্রিকেটে রীতিমতো হৈচৈ ফেলে দিয়েছেন প্রাইম ব্যাংকের ব্যাটাররা। বিশেষ করে বাঁহাতি ওপেনার নাইম শেখ। গতকাল রোববার শেরে বাংলা ক্রিকেট স্টেডিয়ামে ব্রাদার্স ইউনিয়নের বিপক্ষে নাইম শেখ উপহার দিয়েছেন ক্যারিয়ারের সবচেয়ে লম্বা সেঞ্চুরি। তার ব্যাট থেকে এসেছে ১২৫ বলে ১৭৬ রানের টাইফুন ইনিংস। যার মধ্যে শুধু ১৮টি চার আর ৮টি আর ছক্কা হাঁকিয়েই নাইম শেখ তুলেছেন ১২০ রান। ওই ইনিংসের সঙ্গে যোগ হয় আর দুটি ফিফটি। একটি আসে নাইম শেখের ওপেনিং পার্টনার সাব্বির হোসেনের ব্যাট থেকে। তিনি করেন ৬৩ বলে ৭৩ রান। অপরটি উপহার দেন লেট মিডল অর্ডার সাজ্জাদুল হক রিপন । তিনি করেন ৩৭ বলে ৫০ রান। এছাড়া অলরাউন্ডার আব্দুল্লাহ আল মামুন করেন ২২ বলে ৪০ রান। যার যোগফলে প্রাইম ব্যাংকের সংগ্রহ দাঁড়ায় ৪২২ রান। যা ঢাকার প্রিমিয়ার ক্রিকেট লিগের লিস্ট ‘এ’ ফরম্যাটে তো বটেই, বাংলাদেশের মাটিতেও ‘লিস্ট ‘এ’ ক্রিকেটে দেশি ও বিদেশি দলেরও সর্বোচ্চ স্কোর। শুধু তাই নয় বাংলাদেশের মাটিতে ভীনদেশি দলগুলোর মধ্যে ওয়ানডেতে একমাত্র দল হিসেবে ৪০০ এর বেশি রান আছে ভারতের। ২০২২ সালে চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে বাংলাদেশের বিপক্ষে ৮ উইকেটে ৪০৯ রানের হিমালয় সমান স্কোর গড়েছিল ভারত। ভারতের ইশান কিষান একাই করেছিলেন ডাবল সেঞ্চুরিসহ ১৩১ বলে ২১০ রান। আর বিরাট কোহলির ব্যাট থেকে বেরিয়ে এসেছিল আরেক শতক। ৯১ বলে ১১৩ রান করেছিলেন তিনি। ঢাকা লিগে এর আগে প্রাইম ব্যাংক ও আবাহনী ৪০০ রানের সম্ভাবনা জাগিয়েও শেষ পর্যন্ত পারেনি। এর মধ্যে ২০১৮ সালের প্রিমিয়ার লিগে আবাহনীর ৩৯৩ রান আছে প্রাইম দোলেশ্বরের বিপক্ষে। প্রাইম ব্যাংক এরপর দুই দফা ৪০০ রানের রেকর্ড স্কোর গড়ার সম্ভাবনা জাগিয়েও পারেনি। এর মধ্যে ২০২২ সালে শাইনপুকুর ক্রিকেট ক্লাবের বিপক্ষে এনামুল হক বিজয়ের ১৮৪ রানের বিরাট ইনিংসের ওপর ভর করে প্রাইম ব্যাংক তোলে ৫ উইকেটে ৩৮৮। আর কাকতালীয়ভাবে গত বছর এই ব্রাদার্সের বিপক্ষেই ৩৮০ রানের বিশাল স্কোর গড়েছিল প্রাইম ব্যাংক।